আমেরিকার ক্রিকেট দলে গোলাপগঞ্জের শাকের

ক্রীড়া প্রতিবেদক


জানুয়ারি ২৫, ২০২১
০৯:৪৫ অপরাহ্ন


আপডেট : জানুয়ারি ২৫, ২০২১
০৯:৪৫ অপরাহ্ন



আমেরিকার ক্রিকেট দলে গোলাপগঞ্জের শাকের

সতীর্থ ছিলেন টেস্ট অধিনায়ক মুমিনুল হক-আবুল হাসান রাজুদের। খেলেছেন ২০১০ অনুর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ। ছিলেন কনিষ্ঠ বাংলাদেশ দলের নির্ভরযোগ্য বাঁহাতি স্পিনার। কিন্তু সুযোগ হয়নি জাতীয় দলে খেলার। নিজ বিভাগ সিলেটের হয়ে ২০১৪ সাল পর্যন্ত খেলেছেন। ইনজুরিতে পড়ার পর বিসিবির দ্বারস্থ হয়েছিলেন। কিন্তু সাড়া না পাওয়ায় একটা সময় পাড়ি জমান যুক্তরাষ্ট্রে। সেখানেই হয়েছেন স্থায়ী বাসিন্দা।

তিনি সিলেটের ছেলে শাকের আহমেদ। বিসিবির অবহেলার শিকার এই বাঁহাতি স্পিনারের ক্যারিয়ার মোড় নিয়েছে ভিন্নভাবে। ৪৪ জনের মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ক্রিকেট দলের ক্যাম্পে ডাক পেয়েছেন তিনি। আগামী মার্চে একটি ত্রিদেশীয় ওয়ানডে সিরিজের জন্য প্রস্তুতি ক্যাম্পের দল ঘোষণা করেছে যুক্তরাষ্ট্র। তাতে ঠাঁই হয়েছে তিন বছর ধরে টানা যুক্তরাষ্ট্রে থাকা বাংলাদেশের এই বাঁহাতি স্পিনারের। সেখানকার স্থায়ী বাসিন্দা হয়ে তার সামনে সুযোগ এখন আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলার।

শাকের যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমান ২০১৭ সালে। তার গ্রামের বাড়ি সিলেটের গোলাপগঞ্জ উপজেলার ঢাকাদক্ষিণ ইউনিয়নের ফুলশাইন গ্রামে। টানা তিন বছর যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসের সূত্রে নাগরিকত্ব নিয়ে সেদেশের হয়ে ক্রিকেট খেলার সুযোগ পেয়েছেন তিনি।

শাকের আহমেদ ছিলেন দেশের ক্রিকেটের প্রতিভাবান একজন খেলোয়াড়। বয়সভিত্তিক দলের পর শুরু করেন সিলেট বিভাগের হয়ে ঘরোয়া ক্রিকেট। বিভাগীয় দলের হয়ে তিনি ১৭টি প্রথম শ্রেণির ম্যাচ খেলেছেন। যার সবশেষটি ছিল ২০১৪ সালে। সিলেটের হয়ে ৪ ম্যাচে ২৪ উইকেট নিয়ে নজর কেড়েছিলেন বিসিবির। এক পর্যায়ে সুযোগ হয় এইচপি দলের। ২০১৪ সালে ইনজুরিতে পড়েন। প্রয়োজন হয় অস্ত্রোপচারের। এ সময় আর্থিক সহযোগিতার জন্য দ্বারস্থ হন বিসিবির। কিন্তু কোনো সাড়া পাননি।

এ বিষয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সিলেট বিভাগীয় ক্রিকেটের দায়িত্বশীল এক কর্মকর্তা বলেন, ‘শাকের নিঃসন্দেহে ভালো একজন ক্রিকেটার। প্রতিভা ছিল বলেই এইচপি দলে জায়গা হয়েছিল। কিন্তু তিনি আহত হওয়ার পর বিসিবির কোনো সহযোগিতা পাননি। এরপর যুক্তরাষ্ট্রে চলে যান। আমি মনে করি বিসিবির অবহেলার কারণেই এরকম একটি প্রতিভাকে হারাতে হয়েছে।’

আইসিসির নিয়মানুযায়ী কোনো দেশের হয়ে খেলতে গেলে সে দেশে কমপক্ষে তিন বছর অবস্থান করতে হবে। সেই নিয়মের সূত্রেই শাকেরকে খেলার অনুমতি দিয়েছে আইসিসি। ফলে ভারত, পাকিস্তান, বাংলাদেশ ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের বেশ কয়েকজন মধ্য সারির ক্রিকেটার জায়গা পেয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্তুতি দলে।

২০১০ সালের অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে শাকেরের সঙ্গে সৌম্য, মুমিনুল ছাড়াও ছিলেন সাব্বির রহমান, এনামুল হক বিজয়, নুরুল হাসান সোহান, আবুল হাসান রাজুরা। বাংলাদেশ জাতীয় দলের হয়ে আন্তর্জাতিক মঞ্চে খেলেছেন এরা সবাই।

আরসি/বিএ-১৪