মাধবপুরে ভাসুরদের বিরুদ্ধে নারীর মামলা

মাধবপুর প্রতিনিধি


জানুয়ারি ২৬, ২০২১
০৬:৪৫ অপরাহ্ন


আপডেট : জানুয়ারি ২৬, ২০২১
০৬:৪৫ অপরাহ্ন



মাধবপুরে ভাসুরদের বিরুদ্ধে নারীর মামলা

হবিগঞ্জের মাধবপুরে ছোট ভাইকে বাবার সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত করা ও পুলিশ দিয়ে বিভিন্নভাবে হয়রানি করার অভিযোগ এনে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ছোট ভাই। অবস্থা এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে বঞ্চিত ছোট ভাইয়ের স্ত্রী তার ভাসুরদের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেছেন। 

এলাকাবাসী ও বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, উপজেলার ধর্মঘর ইউনিয়নের দত্তপাড়া গ্রামের আক্তার সোলাইমানকে তার তিন ভাই তাদের পৈত্রিক সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত করতে চাইছেন। তার স্ত্রী ও ছেলেকে পুলিশ দিয়ে হয়রানি করছেন তারা। এ ঘটনায় আক্তার সোলাইমান গত ২১ জানুয়ারি হবিগঞ্জ প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেছেন।

এদিকে আক্তার সোলাইমানের স্ত্রী মোছা. হেলেনা খাতুন চৌধুরী বাদী হয়ে নিজামুল ইসলাম, মঞ্জুরুল ইসলাম ও মো. তফাজ্জল ইমলামসহ ৪ জনকে আসামি করে হবিগঞ্জ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি মামলা দায়ের করেছেন। মামলায় তিনি উল্লেখ করেন, তার স্বামীর তিন ভাই মো. নিজামুল ইসলাম, মঞ্জুরুল ইসলাম, মো. তফাজ্জল ইসলামের সঙ্গে তাদের বিরোধ চলছে। তাই তারা যেকোনো সময় আক্তার সোলাইমানের পরিবারের সদস্যদের ক্ষতি করতে পারে। এ কারণে তারা নিরাপত্তাহীনতায় আছেন। 

আক্তার সোলাইমানের মেয়ে তানজিনা আক্তার জানান, দাদার সম্পত্তি থেকে তার বাবাকে বঞ্চিত করা হচ্ছে। মো. নিজামুল ইসলাম, মঞ্জুরুল ইসলাম ও মো. তফাজ্জল ইসলাম প্রভাবশালী হওয়ায় তার বাবা ও ভাইদের নামে মিথ্যা অভিযোগ করে পুলিশ দিয়ে হয়রানি করছেন। এ বিষয়ে তার বাবা হবিগঞ্জে সংবাদ সম্মেলন করেছেন। আর তার মা বাদী হয়ে হবিগঞ্জ আদালতে একটি মামলা করেছেন।

দত্তপাড়া গ্রামের বাসিন্দা আবুল খায়েরের ছেলে আক্কাছ আলী বলেন, শুনেছি তাদের জায়গা নিয়ে বিরোধ চলছে। কিছুদিন আগে পুলিশ এসে আক্তার সোলাইমানের স্ত্রীর সঙ্গে খারাপ আচরণ করেছে।

পার্শ্ববর্তী মালঞ্চপুর গ্রামের মসজিদের ইমাম মোহাম্মদ উল্লাহ জানান, কিছুদিন আগে পুলিশ এসে আক্তার সোলাইমানের খোঁজ করে। তারপর থেকে আক্তার সোলাইমান ভয়ে নামাজ পড়তে আসেন না।

ওই গ্রামের বাসিন্দা ফতেকুল ইসলাম দিপু বলেন, আক্তার সোলাইমানের নামে তার বাবা আলাদা কিছু জায়গা দিয়ে গেছেন বলে শুনেছি। ওই জায়গাটির কাগজপত্র হয়নি। কিন্তু আক্তার সোলাইমানের ভাইয়েরা এখন ওই জায়গা দিতে অস্বীকার করছে। বিষয়টি নিয়ে কয়েকবার সালিশ বৈঠক হয়েছে।

এ ব্যাপারে আক্তার সোলাইমানের ভাই অভিযুক্ত মো. মঞ্জুরুল ইসলাম বলেন, আক্তার সোলাইমান এবং তার স্ত্রী ও ছেলে-মেয়েরা যে অভিযোগ করেছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা। আক্তার সোলাইমান ও তার ছেলেরা আমাদের জায়গাতে থাকা গাছ বিক্রি করে দিয়েছে। ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সামসুল ইসলাম কামাল বিষয়টি সমাধান করতে চেয়েছেন, কিন্তু সমাধান হয়নি।

ধর্মঘর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সামসুল ইসলাম কামাল বলেন, বিষয়টি সমাধানের জন্য উভয়পক্ষকে ডেকেছিলাম। কিন্তু তারা কেউ আসে, কেউ আসে না। তাই বিষয়টি সমাধান করা যায়নি।

মাধবপুর থানার অন্তর্গত তেলিয়াপাড়া পুলিশ ফাঁড়িতে কর্মরত এসআই আতিকুল ইসলামের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, বতর্মানে তিনি কাশিমনগর ফাঁড়ির দায়িত্বে নেই। অভিযোগটি কাশিমনগর ফাঁড়ির ইনচার্জ (ইন্সপেক্টর) উত্তম কুমার দাসকে বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে।

 

এসএম/আরআর-০১