টেস্টের ১৪৪ বছরের রেকর্ড ভাঙলেন মায়ার্স

খেলা ডেস্ক


ফেব্রুয়ারি ০৮, ২০২১
০২:১১ পূর্বাহ্ন


আপডেট : ফেব্রুয়ারি ০৮, ২০২১
০২:১৮ পূর্বাহ্ন



টেস্টের ১৪৪ বছরের রেকর্ড ভাঙলেন মায়ার্স

কেইল মায়ার্সের টেস্ট খেলার সামর্থ্য যে আছে সেটা তিনি জানান দিয়েছিলেন প্রথম ইনিংসেই। মেহেদী হাসান মিরাজের বলে আউট হয়ে ৪০ রানের ইনিংসটির অপমৃত্যু ঘটেছিল। কিন্তু দ্বিতীয় ইনিংসে দলের বিপর্যয়ের মধ্যে চোয়ালবদ্ধ করে মাঠে নেমেছিলেন। আরেক অভিষিক্ত এনক্রুমা বোনারের সঙ্গে ২১৬ রানের অসাধারণ এক জুটি গড়লেন। নিজে করলেন অভিষেক টেস্টে ডাবল সেঞ্চুরি।

টেস্ট ক্রিকেটের ১৪৪ বছরের ইতিহাসে অভিষেকে চতুর্থ ইনিংসে দ্বি–শতক তুলে নেওয়া প্রথম ব্যাটসম্যান–ই শুধু নন, দলের জয়েও ‘নিউক্লিয়াস’ মায়ার্সের ৩১০ বলে ২১০ রানের অপরাজিত এই ইনিংস। ৭ ছক্কা ও ২০ চারে ইনিংসটি সাজান এ বাঁহাতি।

চতুর্থ ইনিংসে এ দুজনের ২১৬ রানের জুটি দুই অভিষিক্তের মধ্যকার সর্বোচ্চ। দারুণ এই জুটি লিখে দিল ম্যাচের ভাগ্য। চা-বিরতির পর বোনার ফিরলেও ডাবল সেঞ্চুরি করে দল জিতিয়ে মাঠ ছেড়েছেন মেয়ার্স। অভিষেকে ডাবল সেঞ্চুরি করা ষষ্ঠ ক্রিকেটার তো হয়েছেনই, আরও একটা অনন্য কীর্তি দিয়ে টেস্টের ইতিহাসে নিজেকে অমর করে রাখলেন তিনি—অভিষেকে চতুর্থ ইনিংসে ডাবল সেঞ্চুরির রেকর্ড যে আর কারোরই নেই!

অভিষেক টেস্টে ডাবল সেঞ্চুরি প্রথম এসেছিল ১১৮ বছর আগে। ১৯০৩ সালে ২৮৭ রানের ইনিংস খেলেছিলেন টিপ ফস্টার। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সিডনিতে এ অসাধারণ কীর্তি গড়েছিলেন ইংলিশ ব্যাটসম্যান। এরপর দীর্ঘ ৬৯ বছরের বিরতি। ওয়েস্ট ইন্ডিজের লরেন্স রো নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে কিংস্টনে খেললেন ২১৪ রানের ইনিংস।

১৯৮৭ সালে শ্রীলঙ্কার ব্রেন্ডন কুরুপ্পু যোগ দিলেন এ দলে। তাঁর ইনিংসটি ছিল কলম্বোতে, নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে। এ কীর্তির শিকার হওয়া নিউজিল্যান্ড সে কীর্তিতে নাম লেখাল ১৯৯৯ সালে। ম্যাথু সিনক্লেয়ারের কীর্তি ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ওয়েলিংটনে। টিপ ফস্টারের কীর্তির ঠিক ১০০ বছর পর দক্ষিণ আফ্রিকার জ্যাকুয়েস রুডলফ অভিষেকে আরও একটি ডাবল সেঞ্চুরি করেন, এই চট্টগ্রামেই, বাংলাদেশের বিপক্ষে। সেটি অবশ্য এম এ আজিজ স্টেডিয়ামে।

মায়ার্সের এই কীর্তি চট্টগ্রামকেও দ্বিতীয়বারের মতো ইতিহাসের অংশ করল। অভিষেকে ডাবল সেঞ্চুরির মঞ্চ হিসেবে দ্বিতীয়বার ইতিহাসে নাম উঠল এই শহরের। ১৮ বছর আগে জ্যাক রুডলফের পর এবার মায়ার্স।

আরসি-০১