সিলেট টি-টোয়েন্টি ব্লাস্ট’র প্লেয়ার ড্রাফট সম্পন্ন

ক্রীড়া প্রতিবেদক


ফেব্রুয়ারি ১১, ২০২১
০২:৩২ পূর্বাহ্ন


আপডেট : ফেব্রুয়ারি ১১, ২০২১
০৩:০২ পূর্বাহ্ন



সিলেট টি-টোয়েন্টি ব্লাস্ট’র প্লেয়ার ড্রাফট সম্পন্ন
# ৫ দলে জায়গা পেলেন ৬৫ জন খেলোয়াড় # প্রত্যেক দলে একজন করে আইকন

মুজিববর্ষ উপলক্ষে সিলেটে প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিত ফ্রাঞ্চাইজিভিত্তিক ‘সিলেট টি-টোয়েন্টি ব্লাস্ট’র প্লেয়ার ড্রাফট অনুষ্ঠিত হয়েছে। টুর্নামেন্টে মোট ৬৫ জন খেলোয়াড় তিনটি ক্যাটাগরিতে অংশগ্রহণকারি ৫টি দলে জায়গা পেয়েছেন। এছাড়া ড্রাফটের আগের দিনই ৫ দল ১ জন করে আইকন খেলোয়াড় দলে ভিড়িয়েছে।

বুধবার (১০ ফেব্রুয়ারি) রাতে সিলেটের দক্ষিণ সুরমা এলাকার একটি অভিজাত কনভেনশন হলে প্লেয়ার ড্রাফট অনুষ্ঠিত হয়।

ড্রাফটে সবদলের প্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করেন। টুর্নামেন্টের দলগুলো হলো- সিলেট ইউনাইটেড, কুশিয়ারা রয়্যালস, স্টার প্যাসিফিক স্ট্রাইকার্স, সিলেট সিটি করপোরেশন ওয়ারিয়র্স এবং এমকেবি প্লাটুন। ড্রাফট থেকে নিজ নিজ পছন্দ অনুসারে ক্রিকেটারদের দলে ভিড়িছে ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলো।

ড্রাফটে ৫ আইকন খেলোয়াড়ের দল নিশ্চিত হয়। আইকন খেলোয়ড়দের মধ্যে স্টার প্যাসিফিক স্ট্রাইকার্সে অলক কাপালি, এনামুল হক জুনিয়র এমকেবি প্লাটুনে, কুশিয়ারা রয়্যালসে ইমতিয়াজ হোসেন তান্না, আবু জায়েদ রাহি সিলেট ইউনাইটেডে এবং জাকির হাসান সিলেট সিটি করপোরেশন ওয়ারিয়র্সে।

মোট ৯০ জন স্থানীয় ক্রিকেটার ‘এ’, ‘বি’ এবং জুনিয়র একাডেমি এই তিন ক্যাটাগরিতে খেলোয়াড়রা টুর্নামেন্টের ড্রাফটে ছিলেন। তবে ড্রাফটে থাকা ২৫ খেলোয়াড় দলে সুযোগ পাননি। এই বিষয়ে জানতে চাইলে সিলেট ক্রিকেটার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক আহমেদ সাদেকুর তাজিন বলেন, ড্রাফট থেকে দলে সুযোগ পাননি মানেই সুযোগ শেষ নয়। যদি কোনো কারণে কোনো দলের খেলোয়াড় খেলতে না পারেন, তাহলে ড্রাফটে থাকা বাকি ২৫ খেলোয়াড়দের মধ্য থেকে কয়েকজনের সুযোগ হতে পারে।

এছাড়া সামনেই নিউজিল্যান্ড সফর রয়েছে বাংলাদেশ দলের। বাংলাদেশের টেস্ট স্কোয়াডে আছেন সিলেটের দুই পেসার আবু জায়েদ চৌধুরী রাহী ও খালেদ আহমদ। তাই টুর্নামেন্টে তাদের থাকা না থাকা নিয়ে আছে শঙ্কা। তবে অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক তাজিনের আশা, খেলবেন এই দুজন।

প্লেয়ার ড্রাফটের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্যে তিনি বলেন, করোনা মহামারির মধ্যে অনেক বাধা-বিপত্তি পেরিয়ে এরকম একটি টুর্নামেন্টের আয়োজন করেছেন সিলেটের ক্রিকেটাররা। এই উদ্যোগ নিঃসন্দেহে প্রশংসার দাবি রাখে। প্রশংসিত এই উদ্যোগে সিলেট সিটি করপোরেশনের একটি দল অংশ নিচ্ছে। সিসিকের দলসহ টুর্নামেন্টে অংশ নেওয়া প্রত্যেক দলের জন্য শুভকামনা। একইসঙ্গে টুর্নামেন্টের সফল সমাপ্তি কামনা করি।

এই বিষয়ে জানতে চাইলে সিলেট ক্রিকেটার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি এনামুল হক জুনিয়র জানিয়েছেন, সিলেটের স্থানীয় ক্রিকেটারদের পাশাপাশি উঠতি ক্রিকেটার এবং জুনিয়র একাডেমির ক্রিকেটারদেরও সুযোগ দেওয়া হয়েছে। এই আয়োজনে আমরা অনেকের সহায়তা ও ভরসা পেয়েছি। তাদের দেওয়া সাহস ও ভরসার কারণেই সিলেট ক্রিকেট উৎসবে মাতবে।  

স্টার প্যাসিফিক: অলক কাপালি, তাওফিক খান, নাবিল সামাদ, সাইদুর সাঈদ, আহমেদ সাদেকুর তাজিন, রাশেদ খান মেনন, স্বাগৌত অর্ক, ফয়সাল, কামরুল ইসলাম, সালেহীন এফ নাহিয়ান, তোফায়েল আহমেদ, রাজু, নাহিদ।   

এমকেবি প্লাটুন: এনামুল হক জুনিয়র, আসাদুল্লাহ গালিব, এবাদত হোসেন, রুমান আহমেদ, ইমরান আলী এনাম, ফরহাদ আহমেদ, ময়নুল হাসেন, কামিল আহমেদ, নবাব আহমেদ, ফখরুল হোসাইন, সায়েম জুনিয়র, এমদাদ ও শরীফ।

কুশিয়ারা রয়্যালস: ইমতিয়াজ হোসেন তান্না, জাকের আলি অনিক, মাহবুব হাসান, রুহেল মিয়া, মিজানুর রহমান, ওয়াসিফ আহমেদ, নাঈম আহমেদ, আহমেদ আবিদুল হক, সিয়াম আহমেদ, নূর উদ্দিন, মুস্তাকিম মিয়া, তাজিদ, হৃদয়।

সিলেট ইউনাইটেড: আবু জায়েদ রাহি, রাহাতুল ফেরদৌস, মেহদী মাহবুব, শানাজ আহমেদ, তাসভির রায়হান, রিয়াদ, সফর আলি, মুজাক্কির হোসেন, আজির উদ্দিন, মুসাফফির আলি, বক্কর, বক্কর, মো. জয়।

সিলেট সিটি করপোরেশন ওয়ারিয়র্স: জাকির হাসান, সায়েম আলম রিজভী, আজাদ খান, জয়নুল আহমেদ, এজাজ আহমেদ, শাহনুর আহমেদ, ইরফান খান, নাজমুল ইসলাম, সাকিব, সুহাদুল হোসাইন, জালাল উদ্দিন, শাহরিয়ার, সুজন।

সিলেট ক্রিকেটার্স অ্যাসোসিয়েশন আয়োজিত এই টুর্নামেন্টের স্পন্সর করেছে ই-কমার্স ভিত্তিক একটি প্রতিষ্ঠান।

আরসি-০১