মাধবপুর প্রতিনিধি
ফেব্রুয়ারি ১৩, ২০২১
০৫:৪৫ পূর্বাহ্ন
আপডেট : ফেব্রুয়ারি ১৩, ২০২১
০১:৪৬ অপরাহ্ন
মাধবপুর প্রতিনিধি
হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার বাঘাসুরা ইউনিয়নের শাহজীবাজার এলাকার ফতেহপুর গ্রামে এক নববধূর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শুক্রবার (১২ ফেব্রুয়ারি) রাতে বসতঘরের বাথরুম থেকে গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় সিমা আক্তার (২০) নামের ওই নববূধুর লাশ উদ্ধার করা হয়। নিহতের পরিবারের দাবি যৌতুকের টাকার জন্য স্বামীর বাড়ির লোকজন সিমাকে শ্বসরোধ করে হত্যা করেছে।
পুলিশ ও স্থানীয় এলাকাবাসী সূত্রে জানাযায়, তিন মাস আগে ওই এলাকার ফরিদ মিয়ার ছেলে সাইফুল ইসলাম হবিগঞ্জ সদর উপজেলার পইল এলাকার আউসপাড়া গ্রামের আব্দুস সহিদের মেয়ে সিমাকে বিয়ে করেন। বিয়ের সময় সাইফুলের চাহিদা অনুযায়ী একটি মোটরসাইকেল, ফার্নিসারসহ প্রায় চার লাখ টাকার মালামাল দেন সিমার বাবা আব্দুস সহিদ। বিয়ের একমাস যেতে না যেতেই আরো তিন লাখ টাকা যৌতুকের জন্য সাইফুল চাপ দিতে থাকে সিমাকে। এক পর্যায়ে সিমার বাবা দুই লাখ টাকা পরিশোধ করেন। কিন্তু এতে মন ভরেনি যৌতুক লোভি সাইফুলের। এনিয়ে তাদের মধ্যে প্রায়ই ঝগড়া লেগে থাকে।
সিমার চাচাত ভাই জাবেদ মিয়ার অভিযোগ বিয়ের পর থেকে যৌতুকের জন্য তার স্বামীর বাড়ির লোকজন সিমাকে নানা অত্যাচার শুরু করে। এ নিয়ে কয়েকটি সালিশ বৈঠক অনুষ্টিত হয়েছে। আমার বোনকে যৌতুকের জন্যই হত্যা করা হয়েছে।
খবর পেয়ে রাতেই ঘটনাস্থল পরিদর্শদন করেছেন হবিগঞ্জের সহকারী পুলিশ সুপার নিজাম উদ্দিন, মাধবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ইকবাল হোসেন।
শুক্রবার রাত একটায় সিমার শশুর বাড়ি ফতেপুর গিয়ে দেখা যায় সিমার লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। সিমার শাশুড়ি মিনু বেগম বলেন, এই বাড়িতে আমার ছেলে সাইফুল ও তার স্ত্রী সিমাকে নিয়েই আমাদের বসবাস। পরিবারে আমাদের মাঝে কোন ঝগড়া নেই। কি কারনে সিমা আত্মহত্যা করেছে আমি বলতে পারি না। সিমাকে হত্যা করা হয়েছে এমন অভিযোগ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমি অসুস্থ হয়ে বিছনায় শুয়ে আছি। ছেলে কোম্পানিতে চাকুরী করে।বাসায় আর কেউ ছিল না। তাকে হত্যা করা হয়েছে এমন অভিযোগ মিথ্যা।
মাধবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ইকবাল হোসেন বলেন, প্রাথমিক ভাবে ধারনা করা হচ্ছে এটি আত্মহত্যা। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে মর্গে প্রেরন করেছে। নিহতের পরিবার থানায় এসেছে। অভিযোগ দায়ের প্রস্তুতি চলছে।
এসএমআর/বিএ-১১