সিলেট মিরর ডেস্ক
ফেব্রুয়ারি ১৫, ২০২১
০৪:৪২ পূর্বাহ্ন
আপডেট : ফেব্রুয়ারি ১৫, ২০২১
০৪:৪৩ পূর্বাহ্ন
বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের বলেছেন, ‘আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের সাহেব হয় তো ক্ষমতার জন্য তার নীতি নৈতিকতা বিসর্জন দিতে পারেন, কিন্তু আমি পারি না।’ সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রীর এ সহোদর বলেন, ‘আজকে আমার মুখ বন্ধ করার জন্য ওবায়দুল কাদের সাহেব ষড়যন্ত্র ও চক্রান্ত করছেন।’
আজ রবিবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় প্রেসক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলন তিনি এসব কথা বলেন। নোয়াখালীর অন্যায়, অনিয়ম, টেন্ডারবাজি, চাকরি বাণিজ্য ও অপরাজনীতির বিরুদ্ধে কথা বলতে তিনি এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন।
কাদের মির্জা বলেন, ‘আজকের সংবাদ সম্মেলন না করার জন্য সরকারি বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা থেকে আমাকে ধমক দেওয়া হয়েছে। আমার পরিবারকে হত্যা ও আমাদের বাড়িঘর উচ্ছেদ করার জন্য নোয়াখালীর সংসদ সদস্য একরামুল করিম চৌধুরী ৫০ কোটি টাকা ব্যয় করার পরিকল্পনা করেছেন। আমি বসুরহাট থেকে সন্ধ্যায় বের হয়ে যাওয়ার সময় সেদিন আমার গাড়ি বহরে হামলা করা হয়েছিল। সৌভাগ্যবশত ওদের হামলা থেকে আমার জীবন রক্ষা পেয়েছে। এ ঘটনায় আমি ওবায়দুল কাদেরের কাছে বিচার চেয়েছিলাম। ওবায়দুল কাদের আমাকে ফোন করে শান্ত থাকতে বলেছিলেন। আমি হরতাল ধর্মঘটের কর্মসূচি দিয়েছিলাম। তার কথাতে সেগুলো প্রত্যাহার করে নিয়েছি। কিন্তু আজ পর্যন্ত একটা পিঁপড়াও ধরতে পারেনি। এখন যখন প্রতিবাদ করতে চাই, আমার মুখ বন্ধ করার জন্য ওবায়দুল কাদের সাহেব চক্রান্ত, ষড়যন্ত্র করছেন।’
‘আমি কোনো পদ পদবি চাই না’ মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘সামনে আওয়ামী লীগের একটা মিটিং (সভা) হবে সেই পর্যন্ত আমি দেখব। এর মধ্যে যদি সবকিছু সমাধান না হয়, তখন আমি পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করব। প্রতিহিংসার কারণে আমার ওপর আক্রমণ করা হচ্ছে। ভালোবাসা পাওয়াটাও আমার জন্য একটা অপরাধ।’
দলের বিরুদ্ধে আপনার এত অভিযোগ তাহলে দল ছাড়ছেন না কেন- এমন প্রশ্নের জবাবে এ পৌর মেয়র বলেন, ‘আমি ৪৭ বছর ধরে রাজনীতি করি। আমার রক্তে এই রাজনীতি প্রবাহিত হচ্ছে। শ্রম ঘাম সবই দিলাম, জেল জুলুম অত্যাচার সহ্য করলাম, মওদুদ আহমেদ আমার বিরুদ্ধে ১৮টি মামলা দিয়েছে। তার মধ্যে পাঁচটা মার্ডার (হত্যা) মামলা। যদি এগুলোর একটির সঙ্গে আমি সম্পৃক্ততা থাকে তাহলে আল্লাহ আমাকে এখনই নিয়ে যাবে। আমি কেন দল ছাড়ব? আমি বঙ্গবন্ধুর রাজনীতি করি।’
‘সরকারি কিছু কর্মকর্তা দেশ লুটপাট করে খাচ্ছে’ মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘শেখ হাসিনা ৭০ হাজার মানুষের মধ্যে ঘর দিয়েছেন। নেত্রকোনার ১২টা ঘরে ফাটল ধরেছে। এটা কি শেখ হাসিনা পাহারা দেবেন? এইসব চোরদের সামাল দিতে হবে। সরকারি কিছু কর্মকর্তা মনে করেন, তারা শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় এনেছে। যা ইচ্ছে তাই করছে, লুটপাট করে খাচ্ছে দেশকে। শেখ হাসিনাকে এটা বন্ধ করতে হবে।’
তিনি দাবি জানিয়ে বলেন, ‘নোয়াখালী থেকে অপরাজনীতি বন্ধ করা হোক। মানুষের ভোটাধিকার নিশ্চিত করার জন্য যা যা দরকার সেগুলো অবশ্যই করতে হবে। বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ আমরা ভোটবিহীন নির্বাচন দেখতে চাই না। বাংলাদেশ থেকে দুর্নীতি বন্ধ করতে হবে।’
এএফ/০৭