ধর্মপাশায় যুবলীগ নেতার ওপর হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন

ধর্মপাশা প্রতিনিধি


ফেব্রুয়ারি ২২, ২০২১
০৬:০৩ অপরাহ্ন


আপডেট : ফেব্রুয়ারি ২২, ২০২১
০৬:০৩ অপরাহ্ন



ধর্মপাশায় যুবলীগ নেতার ওপর হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন

সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা উপজেলার সুখাইড় রাজাপুর দক্ষিণ  ইউনিয়ন যুবলীগ নেতা তানভীর হাসানের  (৩২) ওপর  বর্বোরোচিত সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদে ও ঘটনায়    জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে এক মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। 

আজ সোমবার (২২ফেব্রুয়ারি) দুপুরে ১২টার দিকে ওই ইউনিয়নের রাজাপুর মধ্যবাজারে রাজাপুর  গ্রামবাসী এই মানববন্ধনের আয়োজন করেন। 

এতে বিভিন্ন শ্রেণি পেশার পাঁচ শতাধিক মানুষ অংশ নেয়। গত ১৩ ফেব্রুয়ারি রাত  সাড়ে আটটার দিকে উপজেলার সুখাইড় রাজাপুর দক্ষিণ ইউনিয়নে রাজাপুর হোসাইনিয়া মাদ্রাসার সামনের সড়কে এই সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটে। 

মানববন্ধনে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন সুখাইড় রাজাপুর দক্ষিণ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি এরশাদুল ইসলাম বুলবুল,রাজাপুর বাজারের ব্যবসায়ী জিল্লুর রহমান,আহত তানভীর হাসানের মা হাসু বেগম,ভাগ্নী জেন্সী আক্তার, সুখাইড় রাজাপুর দক্ষিণ ইউনিয়ন যুবলীগের সহসভাপতি জুবায়ের আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক খতিয়ার আমিন অপু,সুখাইড় রাজাপুর দক্ষিণ ইউনিয়ন যুবলীগের সদস্য শাহাজুল মিয়া, সাদ্দাম হোসেন প্রমুখ।

এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার সুখাইড় রাজাপুর দক্ষিণ ইউনিয়নের রাজাপুর দক্ষিণ হাটি গ্রামের বাসিন্দা ও ইউনিয়ন যুবলীগ নেতা তানভীর হাসানের (৩২) সঙ্গে একই ইউনিয়নের রাজাপুর বড়কান্দা গ্রামের ইমামুল মিয়ার (৪০) ব্যক্তিগত ও   পারিবারিক নানা বিষয় নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছে।  

গত ১৩ ফেব্রুয়ারি রাত সাড়ে আটটার দিকে স্থানীয় রাজাপুর বাজার থেকে তানভীর নিজ বাড়ির দিকে যাচ্ছিলেন। 

আগে থেকে রাজাপুর হোসাইনিয়া মাদ্রাসার সামনের সড়কে ওৎ পেতে থাকা রাজাপুর বড়কান্দা গ্রামের ইমামুল মিয়া ও তার ছোট ভাই এনামুল মিয়া (৩০) নেতৃত্বে ১০/১৫জন রামদা,কিরিচ সহ অন্যান্য অস্ত্র দিয়ে  তানভীর হাসানের ওপর অতর্কিত হামলা করে।

দেশীয় ধারালো অস্ত্রের উপর্যুপুরি আঘাতে  তানভীর হাসান  গুরুতর আহত হয়। তার চিৎকারের আশপাশের লোকজন এগিয়ে এলে হামলাকারীরা দ্রুত সেখান থেকে পালিয়ে যায়।

স্থানীয় লোকজন তানভীরকে মুমুর্ষ অবস্থায় উদ্ধার করে রাতে সাড়ে নয়টার দিকে পাশের নেত্রকোনার মোহনগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে  জরুরি বিভাগে নিয়ে যায়।

সেখানকার ডাক্তাররা তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান। 

রাত ১২টার দিকে তাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। শারিরীক    অবস্থার অবনতি হওয়ায় রাত তিনটার দিকে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।

১৪ ফেব্রুয়ারি সকাল সাতটার দিকে তানভীর কে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।  

এ ঘটনা নিয়ে ইমামুল মিয়াসহ ১২জনকে আসামি করে ১৪ ফেব্রুয়ারি দুপুরে ধর্মপাশা থানায় একটি মামলা করে আহত তানভীর হাসানের বড় ভাই জিয়াউর রহমান (৪০)। 

বক্তারা আরও বলেন, এই ঘটনায়  থানায় এজহার কৃত ১২জন আসামি মধ্যে মাত্র দুইজন গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। 

বাকি আসামিরা দিনের বেলায় পালিয়ে থাকলেও রাতের বেলা এলাকায় এসে  একের পর এক চুরি চিনতাইয়ের ঘটনা ঘটাচ্ছে। দ্রুত সকল আসামিদের গ্রেপ্তার করার দাবি জানানো হয়।

আহত  তানভীর হাসানের ঘনিষ্ঠ বন্ধু সুমন মিয়া বলেন,  ‘সে (তানভীর) ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এখনো চিকিৎসাধীন রয়েছে। পুরোপুরি সুস্থ হতে আরও অনেকদিন সময় লাগবে। আমরা চাই এলাকায় সন্ত্রাসী এমন কার্যক্রম যাতে ভবিষ্যতে আর না ঘটে।’ 

ধর্মপাশা থানার ওসি দেলোয়ার  হোসেন বলেন, ‘এ ঘটনায় থানায় একটি মামলা হয়েছে।  এই মামলায় দুজন আসামিকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। অন্যান্য আসামিরা পলাতক রয়েছে।  আসামিদের গ্রেপ্তারের সর্বরকম চেষ্ঠা অব্যাহত রয়েছে।’

এস এ/বি এন-৮