রোহিঙ্গা ইস্যুতে মিয়ানমারের ওপর মার্কিন অবরোধের আহ্বান

সিলেট মিরর ডেস্ক


ফেব্রুয়ারি ২৮, ২০২১
০১:১৮ অপরাহ্ন


আপডেট : ফেব্রুয়ারি ২৮, ২০২১
০১:১৮ অপরাহ্ন



রোহিঙ্গা ইস্যুতে মিয়ানমারের ওপর মার্কিন অবরোধের আহ্বান

বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন আশা প্রকাশ করেছেন, রোহিঙ্গারা যেন নিরাপত্তা ও সম্মানের সঙ্গে তাদের বাসভূমি রাখাইনে ফিরে যেতে পারে— সেই পরিবেশ সৃষ্টির জন্য যুক্তরাষ্ট্রের বাইডান প্রশাসন মিয়ানমারের ওপর রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক চাপ বাড়াবে।

রোহিঙ্গা সংকটের একটি টেকসই সমাধানের উপায় বের করতে দ্বিপক্ষীয় ও বহুপক্ষীয় পর্যায়ে অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে মার্কিন সরকারের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় প্রকাশিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে শনিবার বলা হয়, শুক্রবার ওয়াশিংটন ডিসিতে মার্কিন থিংক ট্যাংক ‘নিউলাইন্স ইনস্টিটিউট অন স্ট্র্যাটেজি অ্যান্ড পলিসি’র সঙ্গে মত বিনিময়কালে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ আহ্বান জানান।

ড. মোমেন আরও বলেন, বাংলাদেশ সরকার তার রোহিঙ্গা বিষয়ক একজন বিশেষ দূত নিয়োগের প্রস্তাব ও রোহিঙ্গা সংকটের একটি টেকসই সমাধান অর্জনসহ মার্কিন সরকারের সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপ ও অগ্রণী ভূমিকায় দেখতে আগ্রহী।

এ ব্যাপারেও মার্কিন প্রশাসনের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করবেন বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।

তিনি বলেন, বাংলাদেশে অস্থায়ীভাবে আশ্রয় নেওয়া এই ১১ লাখ বাস্তুচ্যুত মানুষকে তাদের নিজভূমি মিয়ানমারে প্রত্যাবাসনই এই রোহিঙ্গা সংকটের একমাত্র সমাধান।

এ সময় মোমেন বাংলাদেশে সরকার কীভাবে কভিড-১৯ মহামারীকালে রোহিঙ্গাদের কল্যাণে কাজ করেছে তাও তুলে ধরেন। শিবিরগুলোতে বাংলাদেশ সরকারের সময়োপযোগী পদক্ষেপ নেওয়ায় কভিড-১৯ আক্রান্ত হয়ে একজন রোহিঙ্গাও মারা যায়নি।

অতি-ঘনবসতিপূর্ণ কুতুপালং শরণার্থীশিবির থেকে কিছু রোহিঙ্গাকে ভাসানচরে স্থানান্তরের কারণও ব্যাখ্যা করেন।

ইনস্টিটিউটের পরিচালক ড. আজিম ইবরাহিম অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন।

অন্যদের মধ্যে জাতিসংঘে সাবেক মার্কিন দূত, ধর্মীয় স্বাধীনতা বিষয়ক মার্কিন কংগ্রেসের কমিশনার এবং প্রখ্যাত সাংবাদিক, কংগ্রেস সদস্য, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা, জাতিসংঘের কর্মকর্তা এবং ওআইসি’র সিনিয়র নেতারা অনুষ্ঠানে সশরীরে ও ভার্চ্যুয়ালি অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

পরে, পররাষ্ট্রমন্ত্রী মর্যাদাপূর্ণ কাউন্সিল অন ফরেন রিলেশনস (সিএফআর) আয়োজিত ‘বাংলাদেশ-মার্কিন দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক ও রোহিঙ্গা ইস্যু’ শীর্ষক একটি ভার্চ্যুয়াল অনুষ্ঠানে অংশ নেন।

একই দিন, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ভার্চ্যুয়ালি ইলিনইসের কংগ্রেসওমেন জ্যান স্কাকোওস্কির সঙ্গে বৈঠক করেন। এ সময় জ্যান বিপুলসংখ্যক রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দেওয়ায় বাংলাদেশের প্রশংসা করেন।

এই রোহিঙ্গা জনস্রোতকে আশ্রয় দিয়ে টিকে থাকতে বাংলাদেশকে মানবিক ও রাজনৈতিক সহযোগিতা করার জন্য ড. মোমেন মার্কিন সরকারকে ধন্যবাদ জানান।

মিয়ানমারের ওপর অর্থনৈতিক অবরোধ আরোপ ও জিএসপি সুবিধা প্রত্যাহারের মতো অধিকতর কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণে মার্কিন সরকারকে প্রভাবিত করতে আইনপ্রণেতা জ্যানের সমর্থন কামনা করেন মোমেন।

বিএ-০৩