নবীগঞ্জ প্রতিনিধি
মার্চ ০৩, ২০২১
১০:১২ অপরাহ্ন
আপডেট : মার্চ ০৩, ২০২১
১০:১২ অপরাহ্ন
হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ পৌর এলাকার শিবপাশা নামক স্থান থেকে রোকতন মিয়া (৪০) নামে অপহরণ ও ধর্ষণ মামলার এক পলাতক আসামিকে বুধবার (৩ মার্চ) সন্ধ্যয় গ্রেপ্তার করেছে নবীগঞ্জ থানার পুলিশ।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, নেত্রকোনা জেলার মদন থানার ফতেহপুর গ্রামের মৃত কদ্দুছ মিয়ার ছেলে রোকতন মিয়ার পালকপুত্র আসিব ওরফে আসিফ দীর্ঘদিন ধরে নবীগঞ্জ শহরের শিবপাশা এলাকায় বসবাস করে আসছিল। সেই সুবাদে তাদের পাশের বাসার সাইদুল মিয়ার দশম শ্রেণিতে পড়ুয়া মেয়েকে স্কুলে আসা-যাওয়ার পথে প্রায়ই নানাভাবে উত্যক্ত করত আসিফ। এ ঘটনা ওই ছাত্রী তার পরিবারকে জানালে পরিবারের লোকজন রোকতন মিয়ার নিকট বিচারপ্রার্থী হন। রোকতন মিয়া বিচার না করে উল্টো মেয়ের মাকে গালমন্দ করে বিতাড়িত করেন।
এরপর গত ১৪ জানুয়ারি রাতে পূর্ব থেকে ওৎ পেতে থাকা আসিফ, রোকতন, সাহান ও রিয়াজ ওই স্কুলছাত্রীকে অপহরণ করে নিয়ে বিভিন্ন স্থানে রেখে ধর্ষণ করার অভিযোগ ওঠে। এ ঘটনায় গত ১৮ জানুয়ারি মেয়ের মা জুলেখা বেগম বাদী হয়ে হবিগঞ্জ নারী শিশু আদালতে আসিফসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। বিচারক মামলার শুনানি শেষে ৩ কার্যদিবসের মধ্যে মামলাটি এফআইআর হিসেবে গণ্য করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেন।
গত ২৪ জানুয়ারি মামলাটি থানায় রুজু করা হয়। এরপর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই আবু সাঈদ তদন্তে নামেন। গত ২৭ জানুয়ারি সকালে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে উপজেলার আউশকান্দি এলাকার একটি রেস্টুরেন্টের সামনে থেকে ভিকটিমকে উদ্ধার করেন তিনি। পরে তাকে মেডিকেল পরীক্ষার জন্য হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে প্রেরণ করেন। ডাক্তারি পরীক্ষা শেষে ওইদিনই ভিকটিম ঘটনার বর্ণনা দিয়ে আদালতে ২২ ধারায় জবানবন্দি প্রদান করে।
এদিকে, ঘটনার পরপরই রোকতন মিয়া তার পালকপুত্র আসিফকে নিয়ে পালিয়ে যায়। অন্য দুই আসামিও গা ঢাকা দেয়। বাদীর পরিবার আসামিদের গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়ে আসছিলেন। দীর্ঘদিন পলাতক থাকার পর অবশেষে বুধবার সন্ধ্যা ৭ টায় অভিযুক্ত রোকতন মিয়াকে শহরের শিবপাশা থেকে গ্রেপ্তার করে নবীগঞ্জ থানার এসআই সম্রাটসহ একদল পুলিশ।
এ ব্যাপারে এসআই সম্রাট জানান, রোকতন মিয়া নামে একজনকে অপহরণ ও ধর্ষণ মামলার আসামি হিসেবে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃত আসামি জানিয়েছে, সে হাইকোর্ট থেকে জামিন নিয়েছে। তবে জামিনের কোনো কাগজ দেখাতে পারেনি সে। পুলিশ বিষয়টি যাচাই করছে।
এএম/আরআর-১০
