হিন্দু প্রার্থী দিয়ে রাজনৈতিক চমক আব্বাস সিদ্দিকীর

সিলেট মিরর ডেস্ক


মার্চ ১৫, ২০২১
০৮:২০ অপরাহ্ন


আপডেট : মার্চ ১৫, ২০২১
০৮:২২ অপরাহ্ন



হিন্দু প্রার্থী দিয়ে রাজনৈতিক চমক আব্বাস সিদ্দিকীর

পশ্চিমবাংলায় একুশের বিধানসভা নির্বাচনে চমকের পর চমক। এবারেই প্রথম পশ্চিমবাংলায় ভোটের ময়দানে নেমেছে ফুরফুরা শরীফের পীরজাদা আব্বাস সিদ্দিকীর দল ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্ট। বাংলার মুসলিম সম্প্রদায়ের উন্নয়নের লক্ষ্যেই তার দল কাজ করবে। আর রাজনীতিতে প্রথম পা রেখেই বাংলার রাজ্য রাজনীতিতে তোলপাড়ে ফেলে দিয়েছিলেন তিনি।

পশ্চিমবাংলায় ভোট বাজারে বাম-কংগ্রেসের সঙ্গে জোট বেঁধে ভোটের ময়দানে নেমেছে তারা। কিন্ত আব্বাস সিদ্দিকীর দল প্রথম প্রার্থী ঘোষণা করেই রীতিমতো চমক দিয়ে দিলেন বাংলার রাজনীতিতে। আব্বাস সিদ্দিকীর দল ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্ট (আইএসএম) বাংলায় মোট ২০ টি আসনের প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করেছে।

সেই প্রার্থী তালিকাতেই আব্বাস বুঝিয়ে দিলেন, তিনি মুসলিম সম্প্রদায়ের উন্নয়নকে পাখির চোখ করে রাজনীতিতে নামলেও আদতে তারা ধর্মনিরপেক্ষ ভাবমূর্তীকে পাথেয় করেই রাজনীতিটা করতে চান। আর সেই কারণেই আব্বাস সিদ্দিকী তার ২০ আসনের প্রার্থী তালিকায় অগ্রাধিকার দিয়েছেন হিন্দু প্রার্থীদের। এই তালিকায় একাধিক হিন্দু ও পিছিয়ে পড়া সম্প্রদায়ের প্রার্থীদের ঠাঁই দিয়েছেন তিনি।

আইএসএফের প্রার্থী তালিকায় নাম রয়েছে সিমল সোরেন, বিক্রম চট্টোপাধ্যায় এবং তাপস চক্রবর্তীর নাম। যারা প্রার্থী হয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের জঙ্গিপাড়া, মহিষাদল এবং অশোকনগর বিধানসভা কেন্দ্র থেকে। এছাড়াও প্রার্থী তালিকায় স্থান পেয়েছেন মিলন মান্ডি। ফলে পশ্চিমবাংলায় রাজনীতিতে পা রেখেই ধর্ম নিরপেক্ষ ভাবমূর্তীকে তুলে ধরে রীতিমতো আব্বাস সিদ্দিকীর দূরদর্শী রাজনৈতিকসিদ্ধান্ত বলে মনে করছেন রাজনৈতিক মহল।

ইতিমধ্যেই আইএসএম প্রধান আব্বাস সিদ্দিকী জোরের সঙ্গে দাবি করেছেন, একুশের ভোটে পশ্চিমবাংলায় সরকার গঠনের ক্ষেত্রে তারা নির্ণায়ক শক্তি হিসাবে উঠে আসবে। আর সেই লক্ষ্যেই যে সদ্য রাজনীতিতে পা রেখেই রীতিমতো বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে ধর্মনিরপেক্ষ ভাবমূর্তিকে তুলে ধরে পথ চলা শুরু করেছেন তিনি।

একুশের ভোট বাজারে যেখানে বিজেপি বাংলায় মেরুকরণের রাজনীতিকে তাস করে নিয়েছে, সেখানে দাঁড়িয়ে মুসলিম সম্প্রদায়ের উন্নয়নের বার্তা দিয়ে ভোটের ময়দানে নেমে আব্বাস সিদ্দিকী যেভাবে নিজের দলের ধর্মনিরপেক্ষ ভাবমূর্তিকে তুলে ধরে হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রার্থীদের অগ্রাধিকার দিলেন তাতে আগামী দিনে পশ্চিমবাংলার রাজনীতিতে আব্বাসের দল একটা বড় ভূমিকায় উঠে এলেও অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না বলে মনে করছেন রাজনৈতিক মহল।

আরসি-০৮