চৈত্রের ভ্যাপসা গরমে আখের রসে তৃপ্তি

সৈয়দ হাবিবুর রহমান ডিউক, শায়েস্তাগঞ্জ


মার্চ ২৪, ২০২১
০৬:৪৫ পূর্বাহ্ন


আপডেট : মার্চ ২৪, ২০২১
০৬:৪৫ পূর্বাহ্ন



চৈত্রের ভ্যাপসা গরমে আখের রসে তৃপ্তি

প্রখর রোদ ও ভ্যাপসা গরমে জনজীবন অতিষ্ঠ। কখনো কখনো আপছায়া দেখা দিলেও বৃষ্টির দেখা নেই। চৈত্রের প্রচন্ড গরমে শায়েস্তাগঞ্জে পিপাসার্ত হয়ে মানুষ আখের রসে আত্মতৃপ্তির ভরসা খুজে পাচ্ছেন।

হবিগঞ্জ সদর উপজেলার কাশিপুর গ্রামের এমদাদুল হক। প্রায় তিন বছর যাবত হবিগঞ্জ ইন্ড্রাষ্ট্রিয়াল পার্কের সামনে আখের রস বিক্রি করে আসছেন। তিনি প্রতিদিন ২-৩ হাজার টাকার আখের রস বিক্রি করে থাকেন। এমদাদুল হক জানান, এতে করে তার প্রতিদিন হাজার খানেক টাকা লাভ হয়।

সরেজমিনে দেখা যায়, মেশিন মারা শেষ না হতেই ফুরিয়ে যাচ্ছে তার গ্লাসের রস। ছোট  গ্লাস ১০ টাকা ও বড় গ্লাস ২০ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে। এভাবেই সকাল হতে সন্ধ্যা পর্যন্ত তিনি রস বিক্রি করেন।

শ্যালো মেশিন তিনি বেশ পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করে রাখেন সব সময়, তাই তার ক্রেতার পরিমাণ ও বেশি। আখের রস বিক্রেতা এমদাদুল হককে গাড়ি করে আস্ত আখ দিয়ে যান মাধবপুরের মনতলা বাজারের ব্যবসায়ী নুরুল ইসলাম। তিনি বাহুবলের দক্ষিণ ডোবাওই বাজারের আনজব আলীর ছেলে।

তিনি জানান,  এক মিনি ট্রাকে আখ নিয়ে এসেছেন। তিনি প্রতি পিচ আখ ২০-২২ টাকা দরে পাইকারি বিক্রি করে থাকেন। ভাড়া গাড়ি নিয়ে বিভিন্ন স্থানে মালামাল পৌঁছে দেন। তার এক ট্রাকে ২০০০ পিস আখ রয়েছে। তিনি পাইকারী বিক্রি করে সব খরচ বাদ দিয়ে ১০-১২ হাজার টাকা লাভ করবেন। এক গাড়ি বিক্রি করতে তার ৪-৫ দিন লেগে যায়।

এদিকে, ওবায়দুল হকের ঠান্ডা ও স্বচ্ছ রস খেতে এগিয়ে আসছেন পিপাসার্তরা। তপ্ত রোদে পিপাসা নিবারণ করতে আখের রস দেখে অনেকেই গাড়ি থামিয়ে তৃষ্ণা মিটিয়ে যাচ্ছেন।

আখের রস খেতে আসা ইসমাঈল হোসেন জানান, আমি প্রতিদিনই এক গ্লাস আখের রস খাই। এই রস শরীরের জন্য অনেক উপকারী।

রস বোতলে করে কিনে নিয়ে যাচ্ছেন শাফুজ উদ্দিন, তিনি জানান, আমি আমার মেয়ের জন্য ৫ গ্লাস রস কিনেছি। এই রস জন্ডিসের জন্য খুবই উপকারী।

এভাবেই শায়েস্তাগঞ্জের বাজারে বাজারে তপ্ত গরমে আখের রসে পিপাসা নিবারণ করে আত্মতৃপ্তি পাচ্ছেন সাধারণ মানুষ।

আরসি-০১