জনসন এন্ড জনসনের দেড় কোটি ডোজ করোনার টিকা নষ্ট

সিলেট মিরর ডেস্ক


এপ্রিল ০১, ২০২১
০৪:৪৭ অপরাহ্ন


আপডেট : এপ্রিল ০১, ২০২১
০৪:৪৭ অপরাহ্ন



জনসন এন্ড জনসনের দেড় কোটি ডোজ করোনার টিকা নষ্ট

যুক্তরাষ্ট্রে বিখ্যাত প্রতিষ্ঠান জনসন এন্ড জনসনের তৈরি প্রায় দেড় কোটি ডোজ করোনা টিকা নষ্ট হয়ে গেছে। 

কারখানার ভুলের কারণে এই বিশাল সংখ্যক টিকা নষ্ট হয় বলে জানিয়েছে প্রভাবশালী মার্কিন গণমাধ্যম নিউইয়র্ক টাইমস। 

করোনার টিকা উৎপাদনে গতিশীলতা আনতে জনসন এন্ড জনসন চেষ্টা করলেও এই ঘটনা সংস্থাটির জন্য বড় একটি ধাক্কা।

এ বিষয়ে ফার্মাসিউটিক্যাল জগতের জায়ান্ট প্রতিষ্ঠান জনসন এন্ড জনসনের সঙ্গে যোগাযোগ করে বার্তাসংস্থা এএফপি। 

এসময় সংস্থাটি জানায়, যুক্তরাষ্ট্রের বাল্টিমোরে ইমার্জেন্ট বায়োসলিউশন পরিচালিত একটি কারখানায় জনসন এন্ড জনসনের উৎপাদিত করোনা টিকা রাখা ছিল। পরে তারা বুঝতে পারে, যথাযথ মান নিশ্চিত করে সেসব টিকাকে সংরক্ষণ করা হয়নি। যার কারণে টিকাগুলো নষ্ট হয়ে গেছে।

তবে ঠিক কী পরিমাণ টিকা নষ্ট হয়ে গেছে, সে বিষয়ে কোনো সংখ্যা উল্লেখ করেনি তারা। সংস্থাটি আরও জানিয়েছে, নিজেদের উৎপাদিত টিকায় যথাযথ মান ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করাই তাদের শীর্ষ অগ্রাধিকার।

নিউইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদনে ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে, একটি কারখানার ভুলে জনসন এন্ড জনসনের টিকা নষ্ট হওয়ার পর এই সংস্থার তৈরি অন্য টিকার মানের ব্যাপারেও ভবিষ্যতে প্রভাব পড়তে পারে। এছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশনও (এফডিএ) এ বিষয়ে তদন্ত করবে বলে আশা করা হচ্ছে।

এএফডিএ’র সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে সংস্থাটি এ বিষয়ে অবগত বলে এএফপিকে জানানো হয়। তবে টিকা নষ্টের বিষয়ে এর বেশি আর কোনো মন্তব্য করতে রাজি হয়নি সংস্থাটি।

জনসন এন্ড জনসন জানিয়েছে, কোভিড-১৯ টিকা উৎপাদনে প্রযোজনীয় তত্ত্বাবধান, দিকনির্দেশনা প্রদান এবং সার্বিক সহায়তা দিতে সাইটগুলোতে আরও বেশিসংখ্যক বিশেষজ্ঞ পাঠাচ্ছে তারা। এর ফলে চলতি এপ্রিল মাসজুড়ে আরও ২ কোটি ৪০ লাখ টিকা সরবরাহ করতে পারবে জনসন এন্ড জনসন।

সংস্থাটি আরও জানিয়েছে, জনসন এন্ড জনসনের করোনা টিকা উৎপাদন ও সংরক্ষণের জন্য বাল্টিমোরের ইমার্জেন্ট বায়োসলিউশনের কারখানাটি এখনও যুক্তরাষ্ট্রের যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমতি পায়নি। তবে মার্কিন গণমাধ্যমগুলো বলছে, অনুমোদন না থাকলেও কারখানাটিতে নিকট ভবিষ্যতে কোটি কোটি ডোজ করোনা টিকা উৎপাদনের কাজ শুরু হওয়ার কথা ছিল।

করোনাভাইরাস প্রতিরোধে জনসন এন্ড জনসনের একটি ডোজই যথেষ্ট। মডার্না ও ফইজারের টিকার মতো এটি ঠান্ডা বা হিমায়িত স্থানে সংরক্ষণেরও প্রয়োজন পড়ে না।

জনসন এন্ড জনসন বলছে, ‘২০২১ সালের শেষ নাগাদ আমরা ১০০ কোটি ডোজ করোনা টিকা সরবরাহ করতে পারবো।’