ঘরমুখো মানুষের ভিড়, অতিরিক্ত ভাড়া আদায়

শায়েস্তাগঞ্জ প্রতিনিধি


এপ্রিল ০৪, ২০২১
০১:০৩ অপরাহ্ন


আপডেট : এপ্রিল ০৪, ২০২১
০৬:০৪ অপরাহ্ন



ঘরমুখো মানুষের ভিড়, অতিরিক্ত ভাড়া আদায়

আগামীকাল সোমবার (৫ এপ্রিল) থেকে এক সপ্তাহের লকডাউনে যাচ্ছে দেশ। এই সময়টুকু নিজের পরিবারের সঙ্গে কাটাতে গ্রামে ফিরতে আজ রবিবার (৪ এপ্রিল) যানবাহনে সাধারণ মানুষের উপচেপড়া ভিড় লক্ষ্য করা গেছে।

লকডাউন ঘোষণায় ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে ঘরমুখো যাত্রীদের চাপ বেড়েছে। বাড়ি ফেরার জন্য রাস্তায় রাস্তায় ঘরমুখো মানুষের ভিড় জমেছে। স্বাস্থ্যবিধি না মেনে পরিবহনগুলো গাদাগাদি করে যাত্রী নিচ্ছে আর সুযোগ পেয়ে প্রায় দ্বিগুণ ভাড়া আদায় করছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। সেই সঙ্গে দেখা গেছে, অতিরিক্ত ভাড়া দিয়েও সিট পাচ্ছেন না যাত্রীরা। সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার কোনো নির্দেশনাই মানছেন না কেউ। তবে অতিরিক্ত ভাড়া গুণতে হচ্ছে বাস ও ট্রেনসহ গণপরিবহণের যাত্রীদের।

সোমবার থেকে সারাদেশে এক সপ্তাহের লকডাউনের ঘোষণার পর রবিবার সকাল থেকেই শায়েস্তাগঞ্জের নতুন ব্রিজ বাসস্ট্যান্ডে ঘরমুখো যাত্রা শুরু করেন সাধারণ মানুষ। এতে শায়েস্তাগঞ্জ রেলওয়ে স্টেশন ও বাসস্টেশন এলাকায় যাত্রীদের ভিড় দেখা যায়।

যাত্রীদের অভিযোগ, অতিরিক্ত ভাড়া দিয়ে গাদাগাদি করে যেতে হচ্ছে তাদের। প্রশাসনিক তেমন কোনো নজরদারি লক্ষ্য করা যায়নি। অন্যান্য দিনের তুলনায় আজ যাত্রী ও যানবাহনের চাপ অধিক। এজন্য গাড়ির দীর্ঘ সারিও দেখা গেছে।

আবুল কালাম নামের এক যাত্রী বলেন, 'সিরাজগঞ্জে যাব। কিন্তু কোনো টিকেট পাচ্ছি না। কাউন্টারের লোকজন অতিরিক্ত ভাড়া চাইছে। ৬০০ টাকার ভাড়া ২ হাজার টাকা চাইছে তারা।'

রুয়েল আহমেদ নামের আরেক যাত্রী বলেন, 'ঢাকা যাব, কিন্তু সিট পাচ্ছি না।'

হাফিজা সুলতানা নামের এক যাত্রী বলেন, 'সুনামগঞ্জ যাওয়ার জন্য সকাল থেকে বসে আছি। গাড়ি এখন পর্যন্ত পাইনি। অতিরিক্ত ভাড়া দিয়ে টিকেট কেটেছি। কখন গাড়ি আসবে তাও বলতে পারছি না।'

মডার্ন পরিবহনের বাস কাউন্টারের মালিক মো. কুতুব বলেন, 'গাড়ির তুলনায় যাত্রী অনেক বেশি। লকডাউন ঘোষণা করায় সবাই বাড়িঘরে ফিরছে। তাই যাত্রীদের উপচেপড়া ভিড় আজ।'

এ বিষয়ে শায়েস্তাগঞ্জ হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাইনুল ইসলাম বলেন, 'ঘরমুখো মানুষের প্রচন্ড ভিড় সকাল থেকেই। আমরাও আছি। যাতে যাত্রীদের কোনো হয়রানি করা না হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখছি। স্বাস্থ্যবিধি মেনেই যাত্রী পরিবহন করা হচ্ছে।'

 

এসডি/আরআর-০৬