এভারেস্টেও পৌঁছেছে করোনাভাইরাস

সিলেট মিরর ডেস্ক


এপ্রিল ২৪, ২০২১
০৪:৪০ পূর্বাহ্ন


আপডেট : এপ্রিল ২৪, ২০২১
০৪:৪০ পূর্বাহ্ন



এভারেস্টেও পৌঁছেছে করোনাভাইরাস

মাউন্ট এভারেস্টে পর্বতারোহণে যাওয়া অন্তত একজন পর্বতারোহীর দেহে করোনা শনাক্ত হয়েছে। মহামারির কারণে প্রায় এক বছর বন্ধ থাকার পর মাত্র কয়েক সপ্তাহ আগে বিশ্বের সর্বোচ্চ এই পাহাড় আবার পর্বতারোহীদের জন্য খুলে দেওয়া হয়।

করোনা পজিটিভ হওয়া নরওয়ের পর্বতারোহী আরলেন্ড নেসকে আট রাত একটি হাসপাতালে আইসোলেশনে রাখা হয়। স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমের খবর অনুযায়ী, নেসের দলের একজন শেরপাও করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন।

এভারেস্টে করোনাভাইরাস সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়া নিশ্চিতভাবেই নেপালের জন্য একটি বড় ধাক্কা। কারণ দেশটির অর্থনীতি অনেকাংশে এভারেস্ট পর্যটনের ওপর নির্ভরশীল। কোথা থেকে করোনাভাইরাস সংক্রমিত হয়েছেন তা নিশ্চিত হয়ে বলতে পারছেন না নেস। তবে তিনি জানান, তিনি খুম্বু ভ্যালিতে একটি চায়ের দোকানে চা খেতে গিয়েছিলেন এবং সম্ভবত সেখান থেকেই আক্রান্ত হয়েছেন।

নিজেকে ভাইরাস আক্রান্ত হওয়া থেকে রক্ষা করতে 'খুবই সতর্ক' ছিলেন জানিয়ে নেস আরও বলেন, তিনি বারবার হাত ধুয়েছেন এবং সারাদিন মাস্ক ব্যবহার করতেন। ট্রেকে খুব বেশি মানুষই কিন্তু মাস্ক ব্যবহার করতেন না।

এভারেস্টের চূড়ার পথে রওনা হওয়ার ছয় দিন পর নেস অসুস্থ বোধ করেন। ১৫ এপ্রিল তাকে হেলিকপ্টারে উদ্ধার করে আনা হয়। নেসকে রাজধানী কাঠমান্ডুর দুটি আলাদা হাসপাতালে তিনবার পরীক্ষা করা হয়। তিনবারই তার পরীক্ষার ফল 'পজিটিভ' আসে।

হাসপাতালে আইসোলেশনে থাকার পর ২২ এপ্রিল নেসকে পুনরায় পরীক্ষা করা হয় এবং তার পরীক্ষার ফল নেগেটিভ আসে। বর্তমানে তিনি কাঠমান্ডুতে বন্ধুদের সঙ্গে আছেন।

এভারেস্টে এখন বসন্তকাল চলছে, যেটি এপ্রিলে শুরু হয়েছে। এই সময়ে বিদেশ থেকে শত শত পর্বতারোহী এভারেস্ট জয়ের জন্য নেপালে আসেন।

পর্যটন খাতে আয় বাদেও শুধু এভারেস্টে চড়ার অনুমতিপত্র দিয়ে নেপাল সরকার প্রতি বছর ৪০ লাখ ডলারের বেশি আয় করে বলে জানায় কাঠমান্ডু পোস্ট।

করোনাভাইরাস মহামারির কারণে প্রায় এক বছর ধরে নেপাল এভারেস্ট আরোহণ বন্ধ রেখেছে। কয়েক সপ্তাহ আগে সেটা খুলে দেওয়া হয়। নতুন নিয়মে নেপালে প্রবেশ করতে হলে পর্যটকদের অবশ্যই প্রথম ফ্লাইটে চড়ার ৭২ ঘণ্টা আগে করা করোনা পরীক্ষার 'নেগেটিভ' সনদ দেখাতে হবে।

আরসি-০৩