নবীগঞ্জ প্রতিনিধি
এপ্রিল ২৪, ২০২১
০৫:১২ অপরাহ্ন
আপডেট : এপ্রিল ২৪, ২০২১
০৫:১২ অপরাহ্ন
খালেদ আহমদ চৌধুরী
হবিগঞ্জের নবীগঞ্জে মহামারি করোনা কেড়ে নিল খালেদ আহমদ চৌধুরী (৫৬) নামের আরও একজনের প্রাণ। তিনি উপজেলার ইনাতগঞ্জ ইউনিয়নের ঘোলডুবা গ্রামের মৃত কটা মিয়ার পুত্র। করোনায় নবীগঞ্জ উপজেলায় এ পর্যন্ত ৫ জন মৃত্যুবরণ করলেন।
গতকাল শুক্রবার (২৩ এপ্রিল) রাত সাড়ে ৯টার দিকে সিলেট উইমেন্স মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় খালেদ আহমদ চৌধুরীর মৃত্যু হয়। আজ শনিবার (২৪ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ১১টায় জানাজার নামাজ শেষে তার দাফন সম্পন্ন হয়েছে। দাফনের কাজে পিপিই ব্যবহার করে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ৬ জন অংশ নিলেও জানাজার নামাজে অংশ নেন প্রায় ৩ শতাধিক লোক।
করোনায় মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন খালেদ আহমদ চৌধুরীর চাচাতো ভাই সাজ্জাদ আহমদ চৌধুরী।
জানা গেছে, ঘোলডুবা গ্রামের মৃত কটা মিয়া চৌধুরীর ছেলে খালেদ আহমদ চৌধুরী প্রায় ১০/১২ দিন আগে সর্দি ও জ্বর নিয়ে নবীগঞ্জ শহরে ডা. ননী গোপাল নাথের কাছে যান চিকিৎসা নিতে। তার অবস্থা দেখে চিকিৎসক তাকে সিলেটে যাওয়ার পরামর্শ দেন। এরপর তিনি সিলেট উইমেন্স মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হন। সেখানে তার করোনার রিপোর্ট পজিটিভ আসে। একপর্যায়ে গতকাল শুক্রবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে দিকে তিনি মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন। হাসপাতাল থেকে স্বাস্থ্যবিধি অনুযায়ী তার মরদেহ বাড়িতে নিয়ে আসা হয়।
শনিবার সকাল ১১টায় গ্রামের মাঠে মরহুমের জানাজার নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রায় ৩ শতাধিক মানুষের উপস্থিতি ঘটে। করোনায় মৃত ব্যক্তির জানাজায় এত লোকের সমাগমে সাধারণ মানুষের মাঝে আতঙ্ক বিরাজ করছিল।
জানাজায় অংশগ্রহণকারী একাধিক ব্যক্তির সঙ্গে আলাপকালে জানা যায়, খালেদ আহমদ চৌধুরী করোনায় মারা গেছেন- এ বিষয়টি পরিবারের লোকজন কাউকে বুঝতে দেননি। কিন্তু দাফনের সময় ৬ জন ব্যক্তি পিপি পরিহিত থাকায় এবং মৃতের কফিন লোহার যন্ত্র দিয়ে কবরস্থানে নামানোর ঘটনায় লোকজনের সন্দেহ হয়। পরে জানা যায় খালেদ আহমদ চৌধুরী করোনায় মৃত্যুবরণ করেছেন।
এ ব্যাপারে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের টিএইচও ডা. আব্দুস সামাদ জানান, করোনায় মৃত্যুর বিষয়টি কেউ তাকে অবগত করেনি। আর খালেদ আহমদ চৌধুরীর চিকিৎসা নবীগঞ্জ হাসপাতালে হয়নি।
এএম/আরআর-০৮