দাবদাহে কাহিল কৃষক-শ্রমিক

সৈয়দ হাবিবুর রহমান ডিউক, শায়েস্তাগঞ্জ


এপ্রিল ২৭, ২০২১
০৪:০৬ অপরাহ্ন


আপডেট : এপ্রিল ২৭, ২০২১
০৪:০৬ অপরাহ্ন



দাবদাহে কাহিল কৃষক-শ্রমিক

তীব্র দাবদাহে হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জে বোরো ধান কাটা শুরু হয়েছে। তবে ধান কাটা শুরু হলেও এখনও অনেক ধানের ছড়াই বের হয়নি, আবার কিছু ধান কাঁচা রয়ে গেছে, কিছু ধান পেকেছে। যেসব বোরো ধান পেকে গেছে, সেগুলো কৃষকরা ঘরে তুলতে শুরু করেছেন। একদিকে রমজান মাসের রোজা থাকা, অন্যদিকে প্রচন্ড গরমে কৃষকদের খুব কষ্ট করে ধান কাটতে দেখা গেছে। বৃষ্টি বা বন্যার পূর্বাভাস পেয়েছেন অনেকেই। তারা আধাপাকা ধানই ঘরে তুলছেন।

এদিকে, শায়েস্তাগঞ্জে এবার বোরো ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। কষ্টের ফসল ঘরে তুলে কৃষকদের মাঝে হাসি দেখা গেছে। যারা ধান কেটেছেন, তাদেরকে ব্যস্ত সময় পার করতে হচ্ছে। কেউ বোরো ধান সিদ্ধ দিয়ে রোদে শুকাচ্ছেন, আবার কেউ ধানের খড় শুকিয়ে গরুর খাবারের জন্য তৈরি করে রাখছেন।

এবার শায়েস্তাগঞ্জে ২৮ ও ২৯ জাতের বীজ, ৫৮ ধানের বীজ ও নতুন একটি ধানের বীজ 'হিরা' বেশিরভাগ জমিতে চাষ করা হয়েছে। শায়েস্তাগঞ্জে প্রতি একর ধান ২ হাজার ৫০০ টাকা থেকে ৩ হাজার টাকা দরে কাটছেন শ্রমিকরা। ধান কেটে কাঁধে ভার নিয়ে পৌঁছে দিচ্ছেন ধান।

সরেজমিনে গিয়ে কথা হয় ধান কাটার শ্রমিক ধলাই মিয়ার সঙ্গে। তিনি জানান, এ মৌসুমে ধানের ফলন বেশ ভাল হয়েছে। কিন্তু প্রচণ্ড রোদে ধান কাটতে তাদের অনেকটা বেগ পোহাতে হচ্ছে।

ধান কাটার আরেক শ্রমিক সজল মিয়া জানান, তুলনামূলকভাবে বাজারে ধানের দাম কম। তিনি সরকারের প্রতি ধানের দাম বাড়ানোর জন্য আহ্বান জানান।

শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলার কৃষক কামরুল হাসান জানান, তিনি ৫ একর জমিতে ধান চাষ করেছেন। এর মধ্যে ২ একর ধান তিনি ইতোমধ্যে ঘরে তুলেছেন। প্রতি একরে ১০-১২ মণ ধানের ফলন হয়েছে। মৌসুমের প্রথমে শিলাবৃষ্টি ধানের কিছু ক্ষতি করলেও ফসল বেশ ভালো হয়েছে।

এ ব্যাপারে শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা সুকান্ত ধর বলেন, 'এবার শায়েস্তাগঞ্জে বোরো ধান আবাদ হয়েছে ১ হাজার ৩৫০ হেক্টর এবং উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ৮ হাজার ৫০০ মেট্রিক টন। এখন পর্যন্ত কর্তন হয়েছে প্রায় ৩৫০ হেক্টর জমির ধান। সম্ভাব্য কর্তন আসছে মে মাসের শেষের দিকে শেষ হতে পারে। আমি আশা করছি ধানের বাজারমূল্য মোটামুটি ভালোই আছে। তবে সরকারি গুদামে ধান ক্রয় শুরু হলে দাম কিছুটা বাড়তে পারে।'

তিনি আরও বলেন, 'শায়েস্তাগঞ্জে এখন পর্যন্ত শ্রমিক সংকট নেই। তাছাড়া মাঠে কম্বাইন হারভেস্টার রয়েছে। আশা করা যায় শ্রমিক সংকট হবে না।'

 

এসডি/আরআর-০৯