কিংবদন্তি ম্যারাডোনাকে পরিকল্পিত খুনের অভিযোগ

খেলা ডেস্ক


মে ২০, ২০২১
১০:৪২ অপরাহ্ন


আপডেট : মে ২০, ২০২১
১০:৫০ অপরাহ্ন



কিংবদন্তি ম্যারাডোনাকে পরিকল্পিত খুনের অভিযোগ

আর্জেন্টাইন ফুটবল কিংবদন্তি দিয়েগো ম্যারাডোনার মৃত্যুকে পরিকল্পিত খুন বলে অভিযোগ করা হয়েছে। তার চিকিৎসকসহ সাতজনের বিরুদ্ধে এ অভিযোগ। অভিযোগ প্রমাণ হলে আট থেকে ২৫ বছরের কারাদণ্ড হতে পারে তাদের। খুনের অভিযোগ নিষ্পত্তি হওয়ার আগ পর্যন্ত অভিযুক্তদের আর্জেন্টিনা ত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার আবেদন করা হয়েছে আদালতে।

গত ২৫ নভেম্বর ৬০তম জন্মদিনে হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন ম্যারাডোনা। এর দুই সপ্তাহ আগে তার মস্তিষ্কে অস্ত্রোপচার হয়েছিল।

১৯৮৬ বিশ্বকাপ জয় ও ব্যক্তিগত বিভিন্ন কাণ্ডকীর্তির কারণে তুমুল আলোচিত এ ফুটবলারের মৃত্যুর ঘটনাটি অস্বাভাবিক হিসেবে অভিযোগ ওঠে। এরপর আর্জেন্টিনার সান ইসিদরো অ্যাটর্নি জেনারেলের কার্যালয় মৃত্যুর ঘটনা তদন্তে নামে। খবর এএফপির।

কয়েক মাস তদন্তের পর আদালতে জমা দেওয়া প্রতিবেদনে সাতজনের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ তুলেছেন প্রসিকিউটররা। তাদের মধ্যে আছেন ম্যারাডোনার নিওরোসার্জন লিওপোলদো লাক, সাইক্রিয়াট্রিস্ট অগাস্টিনা কোসাচভ, সাইকোলজিস্ট কার্লোস ডায়াসসহ আরও একজন চিকিৎসক, দু’জন নার্স ও একজন নার্স কোঅর্ডিনেটর।

বিচারিক প্রক্রিয়ার সঙ্গে জড়িত একটি সূত্র এএফপিকে জানিয়েছে, অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ম্যারাডোনাকে পূর্বপরিকল্পিত খুনের অভিযোগ আনা হয়েছে। কয়েকজন বিশেষজ্ঞের সমন্বয়ে তৈরি প্রতিবেদনের উপসংহারে বলা হয়েছে, মৃত্যুর আগে ম্যারাডোনার চিকিৎসায় অপর্যাপ্ত মনোযোগ ছিল, যা তার ‘যন্ত্রণায়দায়ক সময়কে দীর্ঘায়িত’ করে। এতে উল্লেখ করে ‘বেশ কয়েকটি অনিয়মের ফলে ঘটনা চূড়ান্ত অবস্থায় পৌঁছায়।’

আগামী ৩১ মে থেকে ১৪ জুন পর্যন্ত অভিযুক্তদের সাক্ষ্য নেওয়া হবে। এর আগে ম্যারাডোনার পাঁচ মেয়ের দু’জনও লিওপোলদো লাককে দায়ী করে অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। অবশ্য প্রসিকিউটররা এও উল্লেখ করেন, তারা বিশ্বাস করেন চিকিৎসকদের অবহেলায় ম্যারাডোনার মৃত্যু ঘটেনি, বরং তারা জানতেন তিনি মারা যাবেন, কিন্তু প্রতিরোধে তারা কিছুই করেননি।

এর সপক্ষে তারা এমন কিছু মেসেজ ও অডিও পেয়েছেন, যেখানে নিশ্চিত হওয়া গেছে, মারা যাওয়ার শেষ মাসেও ম্যারাডোনা অ্যালকোহল ও মারিজুয়ানা নিয়েছেন বলে চিকিৎসকরা জানতেন। মূলত ম্যারাডোনার ‘জীবন ঝুঁকির চিহ্ন’ দেখেও কিছু না করাই চিকিৎসায় জড়িতদের মূল দায় বলে মন্তব্য করেন প্রসিকিউটররা।

বিএ-০৩