ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়ে ধেয়ে আসছে 'যশ'

সিলেট মিরর ডেস্ক


মে ২০, ২০২১
১১:১৭ অপরাহ্ন


আপডেট : মে ২০, ২০২১
১১:১৭ অপরাহ্ন



ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়ে ধেয়ে আসছে 'যশ'

আন্দামানের উত্তরে এবং পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগরের কাছে সৃষ্ট নিম্নচাপ ক্রমান্বয়ে শক্তি বাড়িয়ে প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে যাচ্ছে। এই ঝড় ভারতের পশ্চিমবঙ্গ প্রদেশের উপকূলীয় এলাকায় আঘাত হানার পর আগামী বুধবার সকালের দিকে বাংলাদেশের সুন্দরবন উপকূলের দিকে আছড়ে পড়তে পারে। বৃহস্পতিবার পশ্চিমবঙ্গ প্রদেশের আলিপুর আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাসে এই তথ্য জানানো হয়েছে। 

এতে বলা হয়েছে, আগামী বুধবার সকালের দিকেই পশ্চিমবঙ্গে আছড়ে পড়তে পারে ঘূর্ণিঝড় যশ। তার আগে মঙ্গলবার থেকে উপকূলবর্তী জেলাগুলোতে হালকা থেকে মাঝারি মাত্রার বৃষ্টিপাত শুরু হতে পারে। কিছু কিছু এলাকায় ঝড়ো বাতাসের সঙ্গে প্রবল বৃষ্টিপাতের আভাসও রয়েছে।

আলিপুর আবহাওয়া দফতর বলছে, আন্দামানের উত্তরে এবং পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগরের কাছে আগামী ২২ মে একটি নিম্নচাপ তৈরি হতে যাচ্ছে। নিম্নচাপটি ক্রমান্বয়ে শক্তি সঞ্চয় করে ২৪ মের মধ্যে ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নেবে।

পরে সেটি ছুটেবে ওড়িশা, পশ্চিমবঙ্গ এবং বাংলাদেশের উপকূলের দিকে। নিম্নচাপ তৈরি হওয়ার পর ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হওয়া এবং স্থলভূমিতে আছড়ে পড়া পর্যন্ত বিভিন্ন সময়ে বাতাসের গতিবেগ বৃদ্ধি পেতে পারে।

আগামী রবিবার আন্দামান এবং বঙ্গোপসাগরে বাতাসের গতিবেগ ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৬৫ কিলোমিটার হতে পারে বলে পূর্বাভাসে জানিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর। পরদিন সোমবার ওই নিম্নচাপ শক্তি বাড়ানোর পর বাতাসের গতিবেগ ঘণ্টায় ৬৫ থেকে ৮৫ কিলোমিটার হতে পারে। মঙ্গলবার বঙ্গোপসাগরের উত্তরে এবং ওড়িশা, পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের কাছে এসে গতি কিছুটা হারিয়ে ফেললেও বুধবার থেকেই তা ফের বাড়তে শুরু করবে।

পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকার ইতোমধ্যে বঙ্গোপসাগরে মৎস্যজীবীদের ঘূর্ণিঝড়ের ব্যাপারে ইতোমধ্যে সতর্ক করে দিয়েছে। সাগরে মাছ ধরতে যাওয়া ট্রলার ও অন্যান্য নৌকাকে রবিবারের মধ্যে ফিরতে বলা হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত পরদিন থেকে সাগরে মাছ ধরতে যাওয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞাও আরোপ করা হয়েছে।

গত সোমবার ভারতের পশ্চিমাঞ্চলীয় উপকূলে ‌‌অত্যন্ত মারাত্মক ঘূর্ণিঝড় তওকতের আঘাতে অন্তত ৪৫ জনের প্রাণহানি ঘটে। এই ঝড়ের তাণ্ডবে পশ্চিম উপকূলের গুজরাট প্রদেশের বিভিন্ন এলাকায় রাস্তা-ঘাট, অবকাঠামো ও কৃষির ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। এছাড়া মুম্বাই উপকূল থেকে ৩৫ নটিক্যাল মাইল দূরে ঘূর্ণিঝড় তওকতের প্রভাবে ডুবে যাওয়া বার্জ পি-৩০৫ এর ২৬ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এখনও নিখোঁজ রয়েছেন ৪৯ জন।

বিএ-০৫