ফিলিস্তিনজুড়ে বিজয় মিছিল

সিলেট মিরর ডেস্ক


মে ২১, ২০২১
০৬:০৫ অপরাহ্ন


আপডেট : মে ২১, ২০২১
০৬:০৯ অপরাহ্ন



ফিলিস্তিনজুড়ে বিজয় মিছিল

মিসরের মধ্যস্থতায় ইসরায়েলের সঙ্গে গাজার শাসক হামাস ও ইসলামিক জিহাদের মধ্যকার যুদ্ধবিরতি কার্যকরের পর ফিলিস্তিনের সর্বত্র বিজয় মিছিল হয়েছে। টানা ১১ দিনের রক্তক্ষয়ী এক যুদ্ধের পর বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ২টা থেকে এই যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়। 

যুদ্ধবিরতি কার্যকরের পরপরই গাজা ও পূর্ব জেরুজালেমসহ ফিলিস্তিনের বিভিন্ন শহরের মানুষ রাস্তায় নেমে আসেন। এসময় তারা মহান আল্লাহর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে নানা শ্লোগান নেন। আতশবাজিতে আলোকিত হয়ে ওঠে আকাশ।

যুদ্ধবিরতি শুরুর পর পরই ফিলিস্তিনিরা গাযার রাস্তায় নেমে আসে এবং ‌‘আল্লাহ মহান’ ‘আল্লাহকে ধন্যবাদ’ এসব শ্লোগান দিতে থাকে।

বিভিন্ন গণমাধ্যম ও সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা যায়, হামাসের নেতারা বিজয় ভাষণ শুরু করেন ঈদের খুতবা দিয়ে। মঞ্চের সামনের দাঁড়িয়ে থাকা জনতাকেও ঈদের তাকবির দিতে শোনা যায়। গাযার মসজিদগুলোতে ইসরায়েলের বিরুদ্ধ জয়ের ঘোষণা দেয়া হচ্ছে।

গাজা উপত্যকায় হামাসের রাজনৈতিক ব্যুরোর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ নেতা খলিল আল-হাইয়া তার ভাষণের শুরুতেই তাকবির দেন। এরপর সমাবেত জনতার উদ্দেশে তিনি বলেন, ‌‘আজ আমাদের বিজয়ের ঈদ। হে রব, আপনার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই, আপনি আমাদের শত্রুদের পরাজিত করে আমাদের জনগণকে বিজয় দিয়েছেন। আল কুদসকে বিজয়ী করেছেন, শেখ জাররাহকে বিজয়ী করেছেন, সকল স্থানের জনগণকে বিজয় দান করেছেন।’

ইসরায়েল বলছে যে, তারা যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব গ্রহণ করেছে সর্বসম্মতভাবে। আর নজিরবিহীন সামরিক সাফল্য দাবি করে টুইট করেছেন দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী। ইসরায়েল ও হামাস উভয় পক্ষই এবারের সংঘাতে তাদের জয় দাবি করেছে।

গাজায় হামলা বন্ধের পাশাপাশি আল-আকসা মসজিদ ও শেখ জাররাহ এলাকা থেকে সেনা সরিয়ে নেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে ইসরায়েল। হামাসের পলিটিক্যাল ব্যুরোর প্রধানের গণমাধ্যম বিষয়ক উপদেষ্টা তাহের আল-নুনু গাজায় সাংবাদিকদের বলেছেন, তেল আবিব যতক্ষণ পর্যন্ত শর্ত মেনে চলবে ততক্ষণ পর্যন্ত হামাসও যুদ্ধবিরতি বাস্তবায়ন করবে।

গত ৭ মে পবিত্র মাহে রমজানের শেষ শুক্রবার বিশ্ব কুদস দিবসে বিপুল মুসল্লি আল-আকসা মসজিদে সমবেত হলে ইসরায়েলি বাহিনী তাদের ওপর হামলা চালায়। মসজিদে ঢুকে মুসল্লিদের লক্ষ্য করে রাবার বুলেট ও টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে বর্বর ইসরাইলি বাহিনী।

এর দুদিন পর পবিত্র শবে কদরেও আল-আকসা মসজিদে ইসরায়েলি বাহিনীর সঙ্গে মুসল্লিদের সংঘর্ষ হয়। এর প্রতিবাদে গাজা সীমান্তে বিক্ষোভ শুরু হয়। পরে গত ১০ মে থেকে গাজায় বিমান হামলা শুরু করে ইসরায়েল। ফিলিস্তিনিরা রকেট ও ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে কঠোর প্রতিরোধ গড়ে তোলে।