নবীগঞ্জে ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে নিহত ১

নবীগঞ্জ প্রতিনিধি


মে ২৪, ২০২১
০৬:৩৬ পূর্বাহ্ন


আপডেট : মে ২৪, ২০২১
১১:০৭ পূর্বাহ্ন



নবীগঞ্জে ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে নিহত ১

নবীগঞ্জে ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে মোঃ দিলবার হোসেন (২৮) নামের এক ব্যক্তি নিহত এবং কমপক্ষে ২০ জন আহত হয়েছে।

এর মধ্যে গুরুতর আহত ৪ জনকে আশংকাজনক অবস্থায় সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।

অন্যান্য আহতদের নবীগঞ্জ, মৌলভীবাজারসহ বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। খবর পেয়ে নবীগঞ্জ থানা পুলিশ হাসপাতালে পৌঁেছ মৃতের ছুরতহাল তৈরী করে লাশ ময়না তদন্তের জন্য হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করেছে।

পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, উপজেলার ১০নং দেবপাড়া ইউনিয়নের কালাভরপুর গ্রামের মাঠে গত ৩/৪ দিন পুর্বে অনুষ্টিত ফুটবল খেলায় ওই গ্রামের আব্দুস শহীদ মিয়ার ছেলে সুমন মিয়া ও একই গ্রামের মৃত আকল মিয়ার ছেলে নবেল মিয়ার মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে।

এতে সুমন মিয়া আহত হয়।

এ ব্যাপারে সুমনের ভাই দিলবার  হোসেন শনিবার বিকালে নবেল মিয়ার মায়ের নিকট বিচার দেন।

এ নিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দিলে তাৎক্ষনিকভাবে স্থানীয় লোকজন পরিস্থিতি শান্ত করেন।

এর জের ধরে গতকাল রবিবার (২৩ মে) রাত সাড়ে ৮ টার দিকে নবেল মিয়া তার ভাই আলফাজ মিয়া ও বেলাল মিয়াসহ ৭/৮ জনের একদল লোক সুমন মিয়াকে স্থানীয় সারং বাজারে ধাওয়া করলে সুমন আত্মরক্ষার্থে দৌড়ে বাড়িতে চলে যায়।

এ সময় উভয় পক্ষই হাকডাক দিয়ে বের হলে উভয় পক্ষের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে দিলবার হোসেনসহ কমপক্ষে ২০ জন আহত হয়।

স্থানীয় লোকজন অজ্ঞান অবস্থায় দিলবার  হোসেনসহ অপর আহতদের নবীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক দিলবার হোসেন কে মৃত ঘোষণা করেন।

অপর আহত আব্দুস শহিদ মিয়ার পুত্র ও মৃতের ভাই রিপন রিপন মিয়া(৩০) ও বাছিত মিয়া (৪০) এবং মৃত আব্দুল বারিকের ছেলে আব্দুল হামিদ (৩২)ও আবুল কালাম (৪৫)কে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আশংকাজনক অবস্থায় প্রেরণ করেন।

অপর আহতদের মধ্যে আব্দুল মুমিন (৩১), সুমন মিয়া (২২), গিয়াস উদ্দিন (২৩), আলফাজ মিয়া (৩০), নবেল মিয়া (২২) বেলাল মিয়া (২৪)সহ অন্যান্য আহতদের নবীগঞ্জ উপজেলা কমপ্লেক্স, মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালসহ বিভিন্ন স্থানে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।

ঘটনার খবর পেয়ে নবীগঞ্জ থানার ওসি (তদন্ত) আমিনুল ইসলাম ও এস.আই অমিতাভ তালুকদারের নেতৃত্বে একদল পুলিশ নবীগঞ্জ হাসপাতাল উপস্থিত হয়ে মৃতের ছুরতহাল তৈরী করে লাশ হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করেছে।

রিপোর্ট  লেখা পর্যন্ত কোন মামলা দায়েরের খবর পাওয়া যায়নি।  

এ এইচ/বি এন-০১