চালু হলো বাস ও ট্রেন, মানা হচ্ছে স্বাস্থ্যবিধি

শায়েস্তাগঞ্জ প্রতিনিধি


মে ২৪, ২০২১
০২:১৬ অপরাহ্ন


আপডেট : মে ২৪, ২০২১
০২:১৬ অপরাহ্ন



চালু হলো বাস ও ট্রেন, মানা হচ্ছে স্বাস্থ্যবিধি

পূর্বঘোষণা অনুযায়ী সোমবার (২৪ মে) থেকে সারাদেশে একযোগে চালু হয়েছে দূরপাল্লার বাস ও ট্রেন। দেশে করোনাভাইরাস মহামারি ব্যাপক আকার ধারণ করায় টানা লকডাউনে গত ৫ এপ্রিল থেকে বাস ও ট্রেন গত রবিবার পর্যন্ত বন্ধ ছিল। প্রায় দুইমাস বন্ধ থাকার পর সোমবার বাস ও ট্রেন চলাচল শুরু হয়। এতে যাত্রীরা নিজেদের স্বস্তির কথা জানিয়েছেন।

সরেজমিনে দেখা গেছে, সোমবার হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জে স্বাস্থ্যবিধি মেনে বাস ও ট্রেনের টিকিট বিক্রি হয়েছে। যাত্রীরাও স্বাস্থ্যবিধি মেনে এই সেবা গ্রহণ করেছেন। দূরপাল্লার বাসের ক্ষেত্রে স্বাস্থ্যবিধি মেনে যাত্রী ও বাসচালক-শ্রমিকদের যাতায়াত করতে দেখা গেছে। ট্রেনের মধ্যে ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা সিলেটগামী পারাবত এক্সপ্রেস সোমবার সকাল ৯টা ৫০ মিনিটে শায়েস্তাগঞ্জ রেলস্টেশনে এসে পৌঁছায়। আর জয়ন্তিকা সকাল ১১টা ১৫ মিনিটে সিলেট থেকে ঢাকার উদ্দেশে যাত্রা করে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, শায়েস্তাগঞ্জ রেলস্টেশনে যে পরিমাণ টিকিট বরাদ্দ আছে তা খুবই কম। টিকেট কাউন্টার থেকে জানা যায়, পারাবতের জন্য ৪০টি, উদয়নের জন্য ৪৫টি, পাহাড়িকার জন্য ৪৫টি ও জয়ন্তিকার জন্য ৪৫টি সিট আছে। এর মধ্যে আবার স্বাস্থ্যবিধি মেনে ৪৫টি সিটের বিপরীতে ২৩টি সিটের টিকিট অনলাইনে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। 

শায়েস্তাগঞ্জ রেলওয়ে স্টেশনের মাস্টার সাইফুল ইসলাম জানান, সারা বাংলাদেশে ১০৮টি আন্তঃনগর ট্রেন আছে। এর মধ্যে স্বাস্থ্যবিধি মেনে কেবলমাত্র ২৮টি ট্রেন সমগ্র দেশে সচল রয়েছে। সিলেটে মোট ৬টি আন্তঃনগর ট্রেন চলবে। ৭০৯-৭১০ পারাবত, ৭১৮-৭৩৯ জয়ন্তিকা, ৭১৯-৭২৪ উপবন, পাহাড়িকা ও উদয়ন ট্রেনগুলো ঢাকা এবং চট্টগ্রাম থেকে ছেড়ে সিলেটে আসবে এবং সিলেট থেকে আবার ছেড়ে ঢাকা ও চট্টগ্রামে যাবে। এছাড়া সমগ্র দেশে ৮টি পণ্যবাহী ও তৈলবাহী ট্রেন আপ অ্যান্ড ডাউন করে। এর মাঝে সিলেটে দু'টি পণ্যবাহী ও তৈলবাহী ট্রেন নিয়মিত যাতায়াত করে।

স্টেশন মাস্টার আরও জানান, প্রতিটি টিকিট অনলাইনে কাটতে হয় এবং যাত্রীগণ স্বাস্থ্যবিধি মেনে স্টেশনে অবস্থান করেন। কাউন্টারগুলো বন্ধ থাকে। সেখান থেকে কোনো রকম টিকিট দেওয়া হয় না এবং দূরত্ব বজায় রেখে যাত্রীরা স্টেশনে অবস্থান করছেন।

অন্যদিকে, দীর্ঘদিন পরে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে বাস চলাচল শুরু হলেও সোমবার তুলনামূলকভাবে গাড়ির সংখ্যা ছিল কম। গরমের তীব্রতা বেশি থাকায় কাউন্টারগুলোতে যাত্রীর সংখ্যা কম বলে জানা গেছে। তবে সীমিত যাত্রী নিয়ে বাস চলাচল শুরু হওয়ার কারণে বাসচালক ও শ্রমিকদের মাঝে কিছুটা হলেও স্বস্তি দেখা গেছে।

হবিগঞ্জ জেলা বাস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক শঙ্খ শুভ্র রায় বলেন, দূরপাল্লার বাস স্বাস্থ্যবিধি মেনে যাতায়াত শুরু করে দিয়েছে। নিয়মানুযায়ী এক সিট ফাঁকা রেখে যাত্রীদের বসতে হচ্ছে। সেক্ষেত্রে বাসভাড়া যাত্রীদেরকে ৬০ শতাংশ বেশি ভাড়া গুনতে হচ্ছে। এটি সরকারি নিয়ম অনুযায়ী হওয়ার কারণে আমাদের পক্ষে কিছু করার নেই। আমরা সরকারি বিধিনিষেধ মেনে গাড়ি চালানোর জন্য চালকদেরকে অবহিত করেছি।


এসডি/আরআর-০৮