বজ্রপাতে মসজিদের ইমামের মৃত্যু

ধর্মপাশা প্রতিনিধি


জুন ০১, ২০২১
১১:২৩ অপরাহ্ন


আপডেট : জুন ০১, ২০২১
১১:২৩ অপরাহ্ন



বজ্রপাতে মসজিদের ইমামের মৃত্যু

সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা উপজেলার বংশীকুণ্ডা দক্ষিণ ইউনিয়নের সাতুরের বন্দ নামক স্থানে বজ্রপাতে আবদুল খালেক (৫০) নামের এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। তার বাড়ি ওই ইউনিয়নের সাতুর গ্রামে। তিনি পাশের কাকরহাটি গ্রামের জামে মসজিদে ইমামতি করতেন।

সোমবার (৩১ মে) রাত ১০টার দিকে সাতুরের বন্দ নামক স্থান থেকে ওই ইমামের লাশ উদ্ধার করেছেন এলাকাবাসী।

মধ্যনগর থানার পুলিশ, এলাকাবাসী ও নিহতের পরিবার সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার বংশীকুণ্ডা দক্ষিণ ইউনিয়নের সাতুর গ্রামের বাসিন্দা আবদুল খালেক পাশের কাকরহাটি গ্রামের জামে মসজিদে ইমামতি করতেন। সোমবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে তিনি নিজের গরুকে ঘাস খাওয়ানোর জন্য নিজ গ্রাম সাতুরে যান। এ সময় গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি ও বজ্রপাতের বিকট শব্দ হচ্ছিল। একপর্যায়ে বজ্রাঘাতের শিকার হয়ে তিনি সেখানে মারা যান।

পরিবারের লোকজন মনে করেছিলেন তিনি বাড়িতে না এসে মসজিদেই রয়েছেন। আর মসজিদের মুসুল্লীরা মনে করেছিলেন আবহাওয়া খারাপ থাকার কারণে হয়তো ইমাম বাড়িতে রয়ে গেছেন। রাত সোয়া ৮টার দিকে ওই ইমামের খোঁজে তার এক আত্মীয় কাকরহাটি গ্রামের জামে মসজিদে যান। তাকে মসজিদে না পেয়ে তার সন্দেহ হয়। পরে রাত সাড়ে ৮টার দিকে মসজিদের ইমাম নিখোঁজ থাকার বিষয়টি মাইকিং করে এলাকাবাসীকে জানিয়ে দেওয়া হয়।

এরপর ইমামের স্বজন ও এলাকাবাসী মিলে খোঁজাখুঁজি করে সাতুর বন্দ নামক নামক স্থান থেকে রাত ১০টার দিকে মৃত অবস্থায় ইমাম আবদুল খালেকের লাশ উদ্ধার করেন।

বংশীকুণ্ডা দক্ষিণ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আজিম মাহমুদ এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, বজ্রপাতে নিহত ওই ইমামের লাশ মঙ্গলবার (১ জুন) বেলা আড়াইটার দিকে দাফন করা হয়েছে।

মধ্যনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নির্মল দেব বলেন, বজ্রপাতে ওই নিহতের বুকের কিছু অংশ ঝলসে গেছে। কান দিয়েও রক্ত বের হচ্ছিল। আর এ কারণেই ইমাম আবদুল খালেকের মৃত্যু হয়েছে।


এসএ/আরআর-০৩