নবীগঞ্জে তাণ্ডবের মামলায় আ.লীগ সভাপতি গ্রেপ্তার

নবীগঞ্জ প্রতিনিধি


জুন ০২, ২০২১
১১:০৩ পূর্বাহ্ন


আপডেট : জুন ০২, ২০২১
১১:০৩ পূর্বাহ্ন



নবীগঞ্জে তাণ্ডবের মামলায় আ.লীগ সভাপতি গ্রেপ্তার

হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলার পানিউমদা ইউনিয়নের নোয়াগাঁও গ্রামে ১৩টি বাড়িতে অগ্নিসংযোগ ও লুটপাটের ঘটনায় হওয়া মামলার প্রধান আসামি গজনাইপুর ইউনিয়নের বরখাস্তকৃত চেয়ারম্যান ও নবীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ইমদাদুর রহমান মুকুলকে (৫৫) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

বুধবার (২ জুন) বিকেলে হবিগঞ্জ-বাহুবল সড়কের মশাজান ব্রিজ এলাকায় অভিযান চালিয়ে নবীগঞ্জ থানার একদল পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তারকৃত ইমদাদুর রহমান মুকুল উপজেলার গজনাইপুর ইউনিয়নের সাতাইহাল গ্রামের মৃত সৈয়দুর রহমানের ছেলে।

জানা যায়, নবীগঞ্জ উপজেলার নোয়াগাঁও গ্রামে ১৩টি বাড়িতে অগ্নিসংযোগ ও লুটপাটের মামলায় জড়িতদের গ্রেপ্তারে বেশ কয়েকদিন ধরে সাড়াঁশি অভিযান পরিচালনা করে আসছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। বুধবার বিকেলে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে নবীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ডালিম আহমেদের নেতৃত্বে একদল পুলিশ হবিগঞ্জ-বাহুবল সড়কের মশাজান ব্রিজ এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করে। 

নবীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ডালিম আহমেদ গ্রেপ্তারের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

উল্লেখ্য, গত ২৬ মে রাতে নোয়াগাঁও গ্রামের রোক্কা বিলে অবস্থিত উপজেলার গজনাইপুর ইউনিয়নের সাতাইহাল গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা নুর উদ্দিন বীর প্রতীকের ফিশারির পাহারাদার আবুল মিয়া ও তার স্ত্রী ঝারু বেগমকে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় নুর উদ্দিন বাদী হয়ে নোয়াগাঁও গ্রামের ৭ জনকে আসামি করে নবীগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। এর জের ধরে এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছিল।

গত রবিবার (৩০ মে) সকালে প্রশাসনের সঙ্গে সাতাইহালের স্থানীয় লোকজনের বৈঠক চলাকালে সাতাইহাল গ্রামের কয়েকশ লোক দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে নোয়াগাঁও গ্রামে হামলা করে লুটপাট, বাড়ি-ঘরে অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুর করে। এতে প্রায় ১ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়। এ ঘটনায় গতকাল মঙ্গলবার (১ জুন) নোয়াগাঁও গ্রামের মৃত আব্দুস শহীদের ছেলে জামাল হোসাইন বাদী হয়ে নবীগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলায় ৪৭ জনের নাম উল্লেখ করে ও আরও ২০০/২৫০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়।

এর আগে পুলিশ গত রবিবার রাতে সাতাইহাল গ্রাম ও আশপাশের বিভন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে মৃত কুতুব মিয়ার ছেলে লেবু মিয়া (৩০), লেদু মিয়া (৩৫), মৃত আব্দুস শহীদের ছেলে মামুন মিয়া (২০), নাঈম মিয়া (১৭), মৃত মৌলা বক্সের ছেলে মুহিবুর রহমান মানিক (৪৩), মৃত বাদশা মিয়ার ছেলে জলফু মিয়া (২৬) ও মৃত হাসিম উল্লার ছেলে রকিব উল্লা (৫০) নামের ৭ জনকে গ্রেপ্তার করে। অন্যান্য আসামিদের ধরতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে জানায় পুলিশ।


এএম/আরআর-০৫