ধর্মপাশা প্রতিনিধি
জুন ০৮, ২০২১
১১:০৮ অপরাহ্ন
আপডেট : জুন ০৮, ২০২১
১১:০৮ অপরাহ্ন
সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা উপজেলার সুখাইড় রাজাপুর দক্ষিণ ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য সাদেকুর রহমানের বিরুদ্ধে ওই ইউনিয়নের একটি মসজিদে সরকারি অর্থায়নে উন্নয়ন কাজ করে দেওয়ার কথা বলে ও সরকারি ঘর পাইয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে স্থানীয় লোকজনদের কাছ থেকে ১ লাখ ১ হাজার টাকা হাতিয়ে নিয়ে তা আত্মসাৎ করার অভিযোগ উঠেছিল। এ অভিযোগের বিষয়টি প্রমাণিত হওয়ায় ওই ইউপি সদস্য ভুক্তভোগী লোকজনদের টাকা ফেরত দেওয়ার জন্য লিখিত অঙ্গীকার করেছেন।
মঙ্গলবার (৮ জুন) দুপুর ১২টার দিকে উপজেলা নির্বাহী কর্মর্কতার কার্যালয়ে তিনি এ অঙ্গীকার করেন।
উপজেলা প্রশাসন ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার সুখাইড় রাজাপুর দক্ষিণ ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের রাজাপুর আগলাহাটি গ্রামের বাসিন্দা সাদেকুর রহমান একই ওয়ার্ডের দয়ালপুর দক্ষিণপাড়া জামে মসজিদে সরকারি অর্থায়নে মাটি ভরাট করার করে দেওয়ার কথা বলে ৭/৮ মাস আগে মসজিদ পরিচালনা কমিটির সভাপতি আব্দুর রাশিদের কাছ থেকে ১৭ হাজার টাকা উৎকোচ নেন। এছাড়া আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের সরকারি ঘর পাইয়ে দেওয়ার কথা বলে স্থানীয় ১৪ জন ব্যক্তির কাছ থেকে ৮৪ হাজার টাকা উৎকোচ নেন ওই ইউপি সদস্য। এ নিয়ে ভুক্তভোগী লোকজন ইউএনও'র কাছে মৌখিক ও লিখিতভাবে অভিযোগ করেন।
ইউএনও'র নির্দেশে মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে সুখাইড় রাজাপুর দক্ষিণ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আমানুর রাজা চৌধুরী অভিযুক্ত ইউপি সদস্য সাদেকুর রহমানকে নিয়ে ইউএনও'র কার্যালয়ে হাজির হন। একই সময়ে ভুক্তভোগী লোকজনও সেখানে উপস্থিত হন। পরে স্বাক্ষ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে মসজিদের ১৭ হাজার টাকা এবং ১৪ জন ব্যক্তির কাছ থেকে ৮৪ হাজার টাকা আত্মসাতের সত্যতা পাওয়া যায়।
এ ঘটনায় অনুতপ্ত হয়ে ইউএনওসহ উপস্থিত লোকজনের কাছে ক্ষমা চান ওই ইউপি সদস্য। ইউএনও ওই মসজিদের ১৭ হাজার টাকার পরিবর্তে ৩০ হাজার টাকা আগামী ১১ জুন ও ঘর বাবদ ১৪ জন ব্যক্তির কাছ থেকে নেওয়া ৮৪ হাজার টাকা আগামী ২৫ জুন ফেরত দেওয়ার জন্য নির্দেশ দেন। ইউপি সদস্য টাকা ফেরত দেওয়ার লিখিত অঙ্গীকার করে ইউপি চেয়ারম্যান আমানুর রাজা চৌধুরীরর জিম্মায় তিনি সেখান থেকে মুক্তি পান।
এ ব্যাপারে ইউপি সদস্য সাদেকুর রহমান সদস্য বলেন, আমার ভুল হয়ে গেছে। ভবিষ্যতে আর এমনটি হবে না।
ইউএনও মো. মুনতাসির হাসান বলেন, আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের ঘর পেতে হলে কাউকে কোনোরকম টাকা খরচ করতে হয় না। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ইউপি সদস্য সাদেকুর রহমান ধার্যকৃত টাকা ফেরত না দিলে তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এসএ/আরআর-০৫