ধর্মপাশায় মাঠে বৈদ্যুতিক খুঁটি, ঝুঁকিতে শিক্ষার্থীরা

শামীম আহমেদ, ধর্মপাশা


জুন ১১, ২০২১
১১:১৮ অপরাহ্ন


আপডেট : জুন ১১, ২০২১
১১:১৮ অপরাহ্ন



ধর্মপাশায় মাঠে বৈদ্যুতিক খুঁটি, ঝুঁকিতে শিক্ষার্থীরা

সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা উপজেলার মধ্যনগর থানাধীন গলইখালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের খেলার মাঠে পল্লী বিদ্যুতের একটি বৈদ্যুতির খুঁটি থাকায় ওই বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীসহ এলাকার বিভিন্ন বয়সী খেলোয়াড়দের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে খেলাধুলা করতে হচ্ছে। এ নিয়ে স্থানীয় ক্রীড়ামোদীদের মধ্যে চরম ক্ষোভ ও হতাশা দেখা দিয়েছে।

এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, ধর্মপাশা উপজেলা নেত্রকোনা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির অধীনে রয়েছে। এ উপজেলার ধর্মপাশা ও মধ্যনগর এই দু'টি স্থানে পল্লী বিদ্যুত সমিতির দু'টি অভিযোগ কেন্দ্র রয়েছে। উপজেলার মধ্যনগর থানাধীন মধ্যনগর ইউনিয়নের গলইখালী গ্রামে ৬/৭ বছর আগে পল্লী বিদ্যুতের সংযোগ দেওয়া হয়। পল্লী বিদ্যুতের লাইন সম্প্রসারণের জন্য স্থানীয় গলইখালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠের ভেতরে প্রায় তিন বছর আগে একটি পল্লী বৈদ্যুতির খুঁটি বসানোর উদ্যোগ নেয় পল্লী বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষ। কিন্তু স্থানীয় লোকজন এতে বাধা দেন। পরে রাতের আঁধারে ওই মাঠের ভেতরে বৈদ্যুতিক খুঁটিটি বসানো হয়। এ অবস্থায় দীর্ঘদিন ধরে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ওই বিদ্যালয়টির শিক্ষার্থীরা এবং এলাকার তরুণসহ বিভিন্ন বয়সী খেলোয়াড়রা এখানে ফুটবলসহ বিভিন্ন ধরনের খেলাধুলা করে আসছে।

মধ্যনগর ইউনিয়নের গলইখালী স্টুডেন্ট ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সুব্রত সরকার বলেন, মাঠের মধ্যে বৈদ্যুতিক খুঁটি থাকায় খেলাধুলা করতে গিয়ে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে হরহামেশাই খেলোয়াড়রা দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে। পল্লী বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষের প্রতি দ্রুত ওই খুঁটি স্থানান্তর করার দাবি জানাচ্ছি।

গলইখালী স্পোর্টিং ক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা অসীম সরকার বলেন, সুস্থ দেহ আর সুস্থ মন গঠনে খেলাধুলার কোনো বিকল্প নেই। মাঠের মধ্যে বৈদ্যুতিক খুঁটি থাকায় প্রাণ খুলে ওই মাঠে খেলোয়াড়রা খেলাধুলা করতে পারছে না। দ্রুত এ সমস্যা সমাধানের দাবি জানাচ্ছি।

গলুইখালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি দুলাল কিরণ সরকার বলেন, ওই মাঠের ভেতরে প্রায় তিন বছর আগে রাতের আঁধারে পল্লী বিদ্যুতের একটি খুঁটি বসায় স্থানীয় পল্লী বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষ। ফলে বিদ্যালয়টির শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন বয়সী খেলোয়াড়েরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে খেলাধুলা করছে। ওই খুঁটিটি সরিয়ে খানিকটা পূর্বদিকে নেওয়ার জন্য অনেক আগে থেকে দাবি জানিয়ে এলেও কোনো সুফল পাইনি। 

এ ব্যাপারে পল্লী বিদ্যুত সমিতির মধ্যনগর অভিযোগ কেন্দ্রের ইনচার্জ মো.ফয়েজ উদ্দিন বলেন, রাতের বেলা খুঁটি বসানোর অভিযোগটি সঠিক নয়। এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে ওই খুঁটিটি সরানোর জন্য লিখিত আবেদন পেলে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

নেত্রকোনা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির মোহনগঞ্জ আঞ্চলিক কার্যালয়ের (ডিজিএম) আবুল কালাম আজাদ বলেন, আমি এখানে নতুন এসেছি। খোঁজ নিয়ে দ্রুত এ সমস্যা সমাধানের জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।


এসএ/আরআর-০৪