নবীগঞ্জ প্রতিনিধি
জুন ১৪, ২০২১
০২:৪৫ পূর্বাহ্ন
আপডেট : জুন ১৪, ২০২১
০২:৪৫ পূর্বাহ্ন
নবীগঞ্জ উপজেলার নোয়াগাঁও হাওড় পাড়ে মুক্তিযোদ্ধা নুর উদ্দিন (বীর প্রতীক) এর ফিশারীতে গৃহবধূকে ধর্ষণের চেষ্টায় ব্যর্থ হয়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে জখম করার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় গ্রেপ্তার ৫ আসামিকে জেল হাজতে প্রেরণ করেছেন আদালত।
রবিবার (১৩ জুন) উক্ত আসামিরা হবিগঞ্জের আমলি আদালত-৫ (নবী) এ হাজির হয়ে জামিন প্রার্থনা করলে আদালত তাদের জামিন নামঞ্জুর করে জেলহাজতে পাঠানোর আদেশ দেন।
জানা যায়, উপজেলার সাতাইহাল গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা নুর উদ্দিনের মালিকানাধীন একটি মৎস্য ফিশারী রয়েছে। ফিশারীতে পাহারাদার হিসেবে সাতাইহাল গ্রামের আব্দুর নুরের ছেলে আবুল মিয়া, তার স্ত্রী ঝাড়ু বিবি শিশু সন্তানকে নিয়ে বসবাস করে আসছে। বিগত ২৬ মে দিবাগত রাতে নোয়াগাঁও গ্রামের একদল দুর্বৃত্ত আবুল মিয়ার বসতঘরে ঢুকে জোরপূর্বক তার স্ত্রী ঝাড়ু বিবিকে ধর্ষণের চেষ্টা করে। এতে আবুল মিয়া বাধা দিলে ৬/৭ জনের দল ধারালো অস্ত্র দিয়ে স্বামী-স্ত্রীর উপর হামলা চালায়। এতে আবুল মিয়া (২৭) ও তার স্ত্রী ঝাড়ু বিবি (২২) গুরুতর আহত হন। আহত ঝাড়ু বিবির হাতের কব্জি দ্বিখন্ডিত হয়ে পড়ে। মাথায় উপর্যুপরি কুপিয়ে ক্ষতবিক্ষত করে দুর্বৃত্তরা। পরে পুলিশ স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় আহতদের উদ্ধার করে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন। বর্তমানে ঝাড়ু বিবির অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে তার পরিবার জানিয়েছেন।
হামলার ঘটনায় বীর মুক্তিযোদ্ধা বাদী হয়ে নবীগঞ্জ থানায় সংশ্লিষ্ট আইনে ৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। লোমহর্ষক এ ঘটনায় ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেন গজনাইপুর ইউপির সাতাইহাল গ্রামসহ ৬ মৌজার মানুষ। এই ঘটনার জের ধরেই পরবর্তীতে নোয়াগাঁও গ্রামে তান্ডবের ঘটনা ঘটে।
এদিকে গতকাল রবিবার হবিগঞ্জ আমল আদালত-৫ (নবী)তে হাজির হয়ে জামিন প্রার্থনা করেন নোয়াগাঁও গ্রামের সফর আলীর ছেলে রমজান মিয়া (৩৫), হেলাল মিয়া (৩২), আফজল মিয়ার ছেলে এমরান মিয়া (৩৫), আওলাদ মিয়া (৩২) ও আবু বক্কর (২৭)। বাদী-বিবাদী পক্ষের বিজ্ঞ কৌশলীদের শুনানী শেষে আদালতের বিজ্ঞ বিচারক সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট পবন চন্দ্র বর্বণ তাদের জামিন না মঞ্জুর করে জেল হাজতে প্রেরণ করেন।
এএম/ বিএ-০৬