সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি
জুন ২২, ২০২১
১২:২১ পূর্বাহ্ন
আপডেট : জুন ২২, ২০২১
১২:২৬ পূর্বাহ্ন
শহিদুল ইসলাম স্বাধীন মিয়া
সুনামগঞ্জের শাল্লায় হিন্দু ধর্মাবলম্বী অধ্যুষিত গ্রামে হামলা, লুটপাট ও ভাঙচুরের ঘটনায় দায়ের করা মামলার প্রধান আসামি শহিদুল ইসলাম স্বাধীন মিয়া জামিন পেয়েছেন। সোমবার (২১ জুন) দুপুরে সুনামগঞ্জের জেলা ও দায়রা জজ মো. ওয়াহিদুজ্জামান শিকদার তাকে জামিন প্রদানের আদেশ দেন।
গত ১৯ মার্চ ইউপি সদস্য যুবলীগকর্মী শহিদুল ইসলাম স্বাধীন মিয়াকে মৌলভীবাজারের কুলাউড়া থেকে গ্রেপ্তার করেছিল পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। পরদিন স্বাধীন মিয়াকে শাল্লা থানার পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে পিবিআই। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে পুলিশ আদালতে হাজির করে স্বাধীনের ১০ দিন রিমান্ডের আবেদন করে। ২৩ মার্চ আদালত তার ৫ দিনের রিমাণ্ড মঞ্জুর করেন। রিমাণ্ডে পুলিশের কাছে নোয়াগাঁওয়ের হামলায় নিজের যুক্ত থাকার কথা স্বীকার করেন তিনি। হামলার সময় বিভিন্ন ভিডিও ফুটেজেও তার ছবি দেখা গেছে।
সোমবার আদালতে জামিন চাওয়ার সময় কারাগারেই ছিলেন স্বাধীন মিয়া। শুনানি শেষে তাকে জামিন প্রদানের আদেশ দেন জেলা ও দায়রা জজ মো. ওয়াহিদুজ্জামান শিকদার।
আসামিপক্ষে আইনজীবী ছিলেন আবু মোহাম্মদ জালাল উদ্দিন আসপিয়া, সাদিকুর রহমান স্বপন, রবিউল লেইছ রোকেস ও আপ্তাব উদ্দিন। বাদীপক্ষে ছিলেন পিপি শামছুন নাহার বেগম শাহানা। পিপি শামছুন নাহার শাহানা বেগম স্বাধীন মিয়ার জামিন লাভের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
প্রসঙ্গত, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্যবিরোধী আন্দোলনের নেতা মাওলানা মামুনুল হকের সমর্থকরা গত ১৭ মার্চ হামলা, লুটপাট ও ভাঙচুর চালায় নোয়াগাঁও গ্রামের ৮৮টি বাড়িতে। এ সময় গ্রামের ৫টি মন্দির ভাঙচুর করা হয়। নোয়াগাঁও গ্রামের ঝুমন দাস আপন নামের এক যুবকের ফেসবুক আইডি থেকে মাওলানা মামনুল হককে কটাক্ষ করে কথিত স্ট্যাটাসের প্রতিক্রিয়ায় এই তাণ্ডব চালানো হয়। এ ঘটনায় গ্রামবাসীর পক্ষে পরদিন স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান বিবেকানন্দ মজুমদার বকুল বাদী হয়ে দায়ের করা মামলায় ৫০ জনের নামোল্লেখ করে ১ হাজার ৫০০ জন, শাল্লা থানার এসআই আব্দুল করিম বাদী হয়ে দায়ের করা মামলায় ১ হাজার ৫০০ জন এবং ঝুমন দাসের মা নিভা রানী দাসের দায়ের করা মামলায় ৭০ জনের নামোল্লেখ করে ১ হাজার ৫০০ জনকে আসামি করা হয়। সকল মামলায় প্রধান আসামি হিসেবে আছেন স্বাধীন মিয়া।
এএম/আরআর-০৬