জগন্নাথপুর প্রতিনিধি
জুন ২৩, ২০২১
১১:৪৯ অপরাহ্ন
আপডেট : জুন ২৩, ২০২১
১১:৪৯ অপরাহ্ন
সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার মিরপুর ইউনিয়নের শ্রীরামসী গ্রামের বাসিন্দা তফজ্জল আলী গংদের অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছেন গ্রামবাসী।
বুধবার (২৩ জুন) বিকেলে জগন্নাথপুর প্রেসক্লাবে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে লিখিতভাবে এমন অভিযোগ করা হয়। এ বিষয়ে মঙ্গলবার (২২ জুন) জগন্নাথপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে বলে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে গ্রামবাসীর পক্ষে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন জামাল উদ্দিন। লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, শ্রীরামসী গ্রামের মৃত হবিব উল্লার ছেলে তফজ্জুল আলী ও তার ছেলেরা এলাকায় অন্যায়, অত্যাচার চালিয়ে সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করতে চায়। গ্রামের আকিল আলীর বাড়ির পশ্চিমে মেঘাখালি খালের মাছ ধরে জীবন-জীবিকা চালিয়ে আসছিলেন স্থানীয়রা। সম্প্রতি তফজ্জুল আলীর লোকজন এলাকার লোকজনকে মাছ ধরতে বাধা প্রদান করে। সেখানে তফজ্জুল আলী জোরপূর্বক মাছ ধরে বিক্রি করেন। এছাড়া বেল জালের পাশে একটি ছাপটা ঘর তৈরি করে প্রতিনিয়ত মদ, গাঁজা সেবনসহ অসামাজিক কার্যকলাপ চালিয়ে আসছেন তফজ্জুল। এতে এলাকার লোকজন বাধা দিলে তফজ্জুল আলীর লোকজন উল্টো স্থানীয়দের হুমকি-ধমকি দেয়। এমনকি প্রাণনাশেরও হুমকি প্রদান করা হয়। এতে এলাকার লোকজন ক্ষিপ্ত হয়ে সম্মিলিতভাবে জুয়ার ঘরটি ভেঙে দেন। এ ঘটনার পর গ্রামবাসীকে হয়রানির জন্য এলাকার শান্তিপ্রিয় ৩৩ জন সাধারণ লোকের বিরুদ্ধে গত সোমবার অভিযোগ দায়ের করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে দাবি করা হয়, গত বোরো মৌসুমে তফজ্জুল আলী ও তাদের ছেলেদের বাধার কারণে মেঘাখালি খাল থেকে বোরো জমিতে পানি সেচ দিতে পারেননি স্থানীয় কৃষকরা। এতে প্রায় অর্ধ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
এছাড়া অভিযোগ করা হয়, শ্রীরামসী গ্রামের মসজিদের এসি নিয়ে মসজিদ কমিটির মাঝে ঝগড়া-বিবাদ সৃষ্টি হয়। বছরখানেক পূর্বে তফজ্জুল আলীর নেতৃত্বে মসজিদের মধ্যে ঝগড়া সৃষ্টি হলে পরে পুলিশের উপস্থিতিতে মুসল্লিরা নামাজ আদায় করেন।
সংবাদ সম্মেলনে আরও জানানো হয়, বিরোধপূর্ণ জায়গায় তফজ্জুল আলীর কোনো অধিকার কিংবা স্বত্ব নেই। গ্রামের শান্তিশৃঙ্খলা বজায় রাখতে সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে প্রশাসনকে দ্রুত ব্যবস্থাপনা গ্রহণের জন্য সংবাদ সম্মেলনে আহ্বান জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা ইলিয়াস মিয়া, চেরাগ আলী, আব্দুল মমিন, মতিউর রহমান, দুদু মিয়া, সুনু মিয়া, আহমদ আলী, মুজিবুর রহমান, ময়নুল আলম, সাদিক মিয়া, মাসুম মিয়া প্রমুখ।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত তফজ্জুল আলীর সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, 'তারা যা ইচ্ছা তা করুক'। এটুকু বলে তিনি কল কেটে দেন।
জগন্নাথপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরী জানান, দুইপক্ষ থানায় লিখিত অভিযাগ দায়ের করেছেন। তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এএ/আরআর-১০