ছাতকে চিকিৎসকের বিরুদ্ধে তদন্ত সম্পন্ন

সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি


জুন ৩০, ২০২১
০১:৩৫ পূর্বাহ্ন


আপডেট : জুন ৩০, ২০২১
০১:৩৫ পূর্বাহ্ন



ছাতকে চিকিৎসকের বিরুদ্ধে তদন্ত সম্পন্ন

ডা. মোজাহারুল ইসলাম

সুনামগঞ্জের ছাতক উপজেলার ২০ শয্যা বিশিষ্ট কৈতক হাসপাতালের বিতর্কিত চিকিৎসক ডা. মোজাহারুল ইসলামের বিরুদ্ধে গঠিত তদন্ত কমিটি সরেজমিনে হাসপাতালে গিয়ে তদন্ত কার্যক্রম পরিচালনা করেছে। গত ২১ জুন তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদনের আলোকে ৩ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেন সিভিল সার্জন ডা. শামসুদ্দিন। এই কমিটিকে ৭ কার্যদিবসের মধ্যে তদন্তকাজ পরিচালনার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল।

মঙ্গলবার (২৯ জুন) বিকেলে সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. সৌমিত্র চক্রবর্তী তদন্ত কার্যক্রম পরিচালনা করেন। এ সময় হাসপাতালের ভুক্তভোগী কর্মচারী, এলাকাবাসীসহ বিভিন্ন পেশাজীবী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ বিতর্কিত চিকিৎসক মোজাহারুল ইসলামের বিরুদ্ধে বক্তব্য দেন।

উল্লেখ্য, প্রায় এক দশক ধরে ডা. মোজাহারুল ইসলাম কৈতক হাসপাতালে কাজ করছেন। দীর্ঘদিন একই স্থানে কর্মরত থাকায় হাসপাতালে নানা অব্যবস্থাপনায় জড়িয়ে পড়েছেন তিনি। ফলে তার বিরুদ্ধে দুর্নীতি, অনিয়ম, স্বজনপ্রীতি, অসদাচারণসহ নানা বিষয়ে কর্মসূচি পালন করেছে হাসপাতালের কর্মচারীরা। দীর্ঘদিন একই স্টেশনে থাকায় তিনিও একটি সুবিধাভোগী গোষ্ঠী সৃষ্টি করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আপত্তিকর লেখালেখি করছেন নিয়মিত। বিষয়টি সম্প্রতি সিভিল সার্জন ডা. শামস উদ্দিনের উপস্থিতিতে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নানকেও অবগত করা হয়েছে।

ওই চিকিৎসকের অনিয়মের বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশ করায় বিভিন্ন সময়ে দুইজন সাংবাদিককে তিনি হুমকিও দিয়েছেন। হুমকির পরে তিনি তার সুবিধাভোগী গোষ্ঠী দিয়ে ওই সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে মানববন্ধনও করিয়েছেন। সম্প্রতি তিনি এক সংবাদকর্মীকে টাকা দিয়ে হাসপাতালের কর্মীদের বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশ করিয়েছেন মর্মে একটি অডিও ভাইরাল হয়। যার ফলে তার ওপর ক্ষুব্ধ হয় উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ। ওই সংবাদকর্মীকে শাসিয়েছে তার উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ।

বিভিন্ন অভিযোগের প্রেক্ষিতে তদন্ত কমিটি গঠন করে ৭ কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত কাজ সম্পাদন করে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে। কমিটি মঙ্গলবার শেষ কার্যদিবসে তদন্ত কাজ সম্পন্ন করেছে।

তদন্ত কমিটির প্রধান ডা. সৌমিত্র চক্রবর্তী বলেন, ডা. মোজাহারুল ইসলামের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগের প্রেক্ষিতে তদন্ত কমিটি তদন্ত কাজ সম্পাদন করেছে। আমরা বিভিন্নজনের সঙ্গে কথা বলেছি। শিগগির আমরা প্রতিবেদন জমা দেব।


এএম/আরআর-২০