তাহিরপুর প্রতিনিধি
জুলাই ০২, ২০২১
০৮:৫১ অপরাহ্ন
আপডেট : জুলাই ০২, ২০২১
০৮:৫২ অপরাহ্ন
তখনও ভোরের আলো ভালো করে ফুটেনি। করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে সরকারের নির্দেশনা কার্যকর করতে স্থানীয় পুলিশ প্রশাসন বাজারের কয়েকটি প্রবেশপথ দড়ি দিয়ে আটকে দেয় যেন কোনও যানবাহন ঢুকতে না পারে।
এদিকে কঠোর লকডাউন হবে ভেবে সাতসকালেই লোকজন তাদের নিত্যপ্রয়োজনীয় কেনাকাটা সেরে নিতে বাজারে ভিড় করতে থাকে।
বেলা যত গড়াচ্ছে সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়ে চলছিল মানুষের আনাগোনা সেই সঙ্গে বাড়তে থাকে দোকানপাট খোলা ও যানবাহন চলাচলের সংখ্যা। আর এতটুকু সময়ের মধ্যেই ক্রেতা-বিক্রেতার সমাগমে বাজারের ফুটপাত বেশ ভালোই দখলে চলে যায়।
লোকজন যে যার মতো করে কেনাকাটা করছে যেখানে দোকানী কিংবা ক্রেতা কারো মুখে মাস্ক আছে তো কারো মুখে নেই।
এই অবস্থা যখন চলমান এর মধ্যেই লকডাউন কার্যকরে পুলিশের একটি টহল বাজারের কয়েকটি প্রবেশপথসহ বিভিন্ন গলিতে লোকজনদের সরিয়ে দিতে ও অপ্রয়োজনীয় দোকানপাট বন্ধ করতে জোর প্রচেষ্টা চালিয়েও তা সামলাতে বেগ পেতে হচ্ছে।
দেখা গেছে বাজারের একেকটি গলির উত্তর দিক থেকে মানুষের জটলা সরিয়ে দেয়া হচ্ছে তো পরক্ষণেই দক্ষিণ দিক থেকে উৎসুক লোকজন জটলা বেঁধে ঠাঁই দাঁড়িয়ে দেখছেন!
এমন করে ঠাঁই দাঁড়িয়ে থাকার কারণ জানতে চাইলে প্রায় সবাই মৃদু হাসি ঝেড়ে ইশারা আকারে বুঝিয়ে দিচ্ছেন, কঠোর লকডাউন পরিস্থিতি কেমন হয় মূলত তা দেখার জন্যই এমন করে দাঁড়িয়ে থাকা!
বৃহস্পতিবার (১ জুলাই) দুপুর দেড়টা পর্যন্ত এটাই ছিল সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার অন্যতম ব্যস্ত হাট বাদাঘাট বাজারের দৃশ্যপট। এই পরিস্থিতিতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এবং থানার ওসি বাদাঘাট বাজারে পৌছে নিত্যপ্রয়োজনীয় দোকানপাট ব্যতীত বাকি সব দোকান বন্ধ করার দশ মিনিটের আলটিমেটাম বেঁধে দিলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।
এ এইচ/বি এন-১১