সৌদিতে নির্যাতনের শিকার নবীগঞ্জের পারুল

নবীগঞ্জ প্রতিনিধি


জুলাই ০৫, ২০২১
১০:১০ অপরাহ্ন


আপডেট : জুলাই ০৫, ২০২১
১০:১০ অপরাহ্ন



সৌদিতে নির্যাতনের শিকার নবীগঞ্জের পারুল

পারুল বেগম

হবিগঞ্জের নবীগঞ্জের বাসিন্দা পারুল বেগম দালালের খপ্পড়ে পড়ে সৌদি আরবে পাড়ি দিয়ে পড়েছেন বিপাকে। ওই দেশে গৃহকর্তার নির্যাতনের শিকার হয়ে তিনি অনাহারে-অর্ধাহারে দিনাতিপাত করছেন বলে অভিযোগ করেছেন তার স্বামী কাজী তোফাজ্জুল। স্ত্রীকে ফিরিয়ে আনতে দালাল লালন মিয়ার বিরুদ্ধে নবীগঞ্জ থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন পারুলের স্বামী কাজী তোফাজ্জুল।

জানা গেছে, নবীগঞ্জ পৌর এলাকার পূর্ব তিমিরপুর গ্রামের কাজী আবু তাহেরের ছেলে কাজী তোফাজ্জুল বানিয়াচং থানার বক্তারপুর গ্রামের পারুল বেগমকে বিয়ে করেন। তাদের একটি কন্যাসন্তান রয়েছে। শ্বশুরবাড়ির লোকজনের সুবাদে তোফাজ্জুলের পরিচয় হয় নবীগঞ্জ সদর ইউনিয়নের আলীপুর গ্রামের মৃত তৈয়ব আলীর ছেলে আদম ব্যবসায়ী লালন মিয়ার সঙ্গে। দালাল লালন মিয়া কাজী তোফাজ্জুল ও তার স্ত্রী পারুল বেগমকে সৌদি আরবে যাওয়ার জন্য ভালো ভিসা দেওয়ার প্রলোভন দেখায়। তার প্রলোভনে সরল বিশ্বাসে কাজী তোফাজ্জুল সম্মতি দেন তার স্ত্রীকে সৌদি আরবে পাঠানোর ব্যাপারে।

প্রায় ৫ মাস পূর্বে সৌদি আরবে পাড়ি জমান কাজী তোফাজ্জুলের স্ত্রী পারুল বেগম। কিন্তু তিনি সেখানে পৌঁছার পর দালাল লালন মিয়ার কথাবার্তা পাল্টে যায়। যেখানে কাজ দেওয়ার কথা ছিল, সেখানে কাজ না দিয়ে অন্য একটি বাসায় কাজ দেওয়া হয় পারুলকে। ওই বাসার গৃহকর্তার নির্যাতনের শিকার হয়ে বর্তমানে অনাহারে-অর্ধাহারে মানবেতর জীবনযাপন করছেন গৃহকর্মী পারুল বেগম। দেওয়া হয় না তার কাজের মজুরী।

এ ঘটনা পারুল তার স্বামীকে জানালে তিনি দালাল লালন মিয়ার শরনাপন্ন হন। স্ত্রী পারুল বেগমকে দেশে ফেরত আনার জন্য লালন মিয়াকে অনুরোধ করেন তিনি। কিন্তু দালাল লালন তাতে কর্ণপাত না করায় অবশেষে বাধ্য হয়ে স্ত্রীকে ফিরিয়ে আনতে ওই দালালের বিরুদ্ধে নবীগঞ্জ থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন তোফাজ্জুল।

এ ব্যাপারে জানতে লালন মিয়ার মোবাইলে একাধিকবার কল দিলেও তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।


এএম/আরআর-১৫