দোয়ারায় গ্রাম পুলিশকে মারধর, অভিযুক্ত ইউপি চেয়ারম্যান

দোয়ারাবাজার প্রতিনিধি


জুলাই ১২, ২০২১
১২:২৩ পূর্বাহ্ন


আপডেট : জুলাই ১২, ২০২১
১২:২৩ পূর্বাহ্ন



দোয়ারায় গ্রাম পুলিশকে মারধর, অভিযুক্ত ইউপি চেয়ারম্যান

সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজারের বাংলাবাজার ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জসিম মাস্টার কর্তৃক এক গ্রাম পুলিশ সদস্যকে বেধড়ক মারধর করে আহত করার অভিযোগ উঠেছে।

রবিবার (১১ জুলাই) বিকেলে উপজেলার বাংলাবাজারে এ ঘটনার বিচার চেয়ে এক সংবাদ সম্মেলন করেছেন একই ইউনিয়নের বাসিন্দা গ্রাম পুলিশ সদস্য জামাল উদ্দিন।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে গ্রাম পুলিশ সদস্য জামাল উদ্দিন বলেন, গত ১ বছর ধরে চেয়ারম্যানের অধীনে গ্রাম পুলিশ হিসেবে দায়িত্বপালন করে আসছি উপজেলার বাঁশতলা হকনগর শহীদ স্মৃতিসৌধের রেস্ট হাউজে। নিয়োগ পাওয়ার আগে আমি আরও ৩ বছর বিনা বেতনে গ্রাম পুলিশের দায়িত্বপালন করি। গত ১ বছর ধরে দায়িত্বপালনকালে সীমান্ত এলাকা দিয়ে মাদকদ্রব্য, অস্ত্র ও চোরাচালান বন্ধে নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্বপালন করে আসছি। চেয়ারম্যানের বাড়িও ওই এলাকায় হওয়ায় চোরাচালান ও অপরাধের খবরাখবর প্রশাসনের কাছে জানালে চেয়ারম্যান আমার ওপর ক্ষিপ্ত হন এবং আমাকে এসব তথ্য দিতে নিষেধ করেন। 

তিনি বলেন, গত শুক্রবার (৯ জুলাই) গভীর রাতে আমি দায়িত্বপালনকালে একই ইউনিয়নের দক্ষিণ কলোনী গ্রামের আশক আলীর পুত্র চোরাকারবারি খাদিমের নেতৃত্বে চেয়ারম্যানের কিছু লোক মদ্যপ হয়ে রেস্ট হাউজের দরজায় কড়া নাড়ে এবং মাতাল অবস্থায় রেস্ট হাউজে প্রবেশের চেষ্টা করে। এতে আমি বাধা দেওয়ায় পরদিন শনিবার (১০ জুলাই) দুপুরে ইউপি চেয়ারম্যান জসিম মাস্টার আমাকে প্রকাশ্যে কিল-ঘুষিসহ বেধড়ক মারধর ও অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন এবং আমাকে চাকরিচ্যুত করার হুমকি দেন। পরে ঘটনাস্থল থেকে স্থানীয়রা আমাকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য দোয়ারাবাজার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রেরণ করে।

জামাল উদ্দিন বলেন, চিকিৎসা শেষে এ ঘটনার বিচার চেয়ে আমি দোয়ারাবাজার থানার পুলিশের দ্বারস্থ হলে পুলিশ প্রশাসন আমার কোনো অভিযোগ আমলে নেয়নি। উল্টো চেয়ারম্যানের সঙ্গে মিলে যাওয়ার পরামর্শ দিয়ে বলেন জলে থেকে কুমিরের সঙ্গে লড়ে আমি পারব না। ঘটনার পর দ্বারে দ্বারে ঘুরেও আমি কোনো বিচার পাইনি। আমি কেন মানুষের কাছে বিচার দিচ্ছি এজন্য চেয়ারম্যান জসিম মাস্টার উল্টো আমাকে চাকরিচ্যুত করার হুমকি দিচ্ছেন। আমি বর্তমানে পরিবার-পরিজন নিয়ে নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছি এবং প্রশাসনের কাছে ন্যায়বিচারের দাবি জানাচ্ছি। 

মারধরের বিষয়ে জানতে চাইলে বাংলাবাজার ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জসিম মাস্টার বলেন, আমি এখন ব্যস্ত আছি। পরে জানাব।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে দোয়ারাবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দেবদুলাল ধর বলেন, গ্রাম পুলিশ আমাকে বিষয়টি মৌখিকভাবে জানিয়েছেন। লিখিত অভিযোগ দিলে বিষয়টি খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


এইচএইচ/আরআর-০৫