দোয়ারাবাজারে দখলমুক্ত হলো স্মৃতিসৌধের ভূমি

দোয়ারাবাজার প্রতিনিধি


আগস্ট ০২, ২০২১
০৭:৩৬ অপরাহ্ন


আপডেট : আগস্ট ০২, ২০২১
০৭:৩৬ অপরাহ্ন



দোয়ারাবাজারে দখলমুক্ত হলো স্মৃতিসৌধের ভূমি

মহান মুক্তিযুদ্ধকালীন ৫ নম্বর সাব-সেক্টর হেডকোয়ার্টার সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার উপজেলার অন্যতম পর্যটন এলাকা বাঁশতলা-হকনগর শহীদ স্মৃতিসৌধ এলাকার সরকারি ভূমি দখলমুক্ত করা হয়েছে।

সোমবার (২ আগস্ট) সকালে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ফয়সাল আহমদের তৎপরতায় অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদ করে সরকারি সম্পত্তি উদ্ধার করা হয়েছে। এদিন সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত উপজেলার বাংলাবাজার ইউনিয়নে থাবলী মৌজায় ৩৭৪ দাগে পাথর কোয়ারি এলাকার মোট ২ একর ২৫ শতাংশ সরকারি খাস জমি উদ্ধার করা হয়। এ সময় স্থানীয় ভূমি কর্মকর্তা, জনপ্রতিনিধি, পুলিশসহ সচেতন এলাকাবাসী উপস্থিত ছিলেন। 

জানা যায়, স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান জসিম মাস্টারের যোগসাজশে ইউপি সদস্য খোরশেদ আলম ও তার সহযোগী প্রভাবশালী ব্যক্তিরা পর্যটন এলাকায় অঘোষিত পাথর কোয়ারির মূল অংশের ২ একর ২৫ শতক সরকারি খাস ভূমি দখল করে সীমানা প্রাচীর স্থাপন করার প্রস্তুতি নেওয়া হয়। সম্প্রতি উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ফয়সাল আহমদ দোয়ারাবাজারে যোগদানের পর এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে বিষয়টি তার দৃষ্টিগোচরে আনা হলে তিনি অভিযান চালিয়ে সীমানা প্রাচীরের খুঁটি গুড়িয়ে দেন এবং কাটাতার উচ্ছেদ করে জায়গাটি দখলমুক্ত করেন।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে বাংলাবাজার ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জসিম আহমদ চৌধুরী রানা (জসিম মাস্টার) বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিবিজড়িত পর্যটন এলাকা বাঁশতলা-হকনগরে আগৎ পর্যটকদের খাবার গ্রহণের বা বিশ্রাম নেওয়ার মতো কোনো ব্যবস্থা নেই। সেজন্য আমি চারজন লোককে উদ্ধুদ্ধ করেছি তারা যেন পর্যটকদের সুবিধার জন্য এখানে একটি রিসোর্ট তৈরি করেন এবং সরকারি জায়গায় যথাযথ প্রক্রিয়ার মাধমে প্রশাসনের অনুমতি সাপেক্ষে কাজগুলো সম্পন্ন করেন। এ নিয়ে আমি সমন্বয় সভায় আলোচনাও করেছি। কিন্তু অতিমারীকালে লকডাউনের জন্য প্রশাসনিক প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা সম্ভব হয়নি। এর মধ্যে ইউপি সদস্য খোরশেদ আলম এখানে সীমানা নির্ধারণ করে খুঁটি দিলে স্থানীয় প্রশাসন সোমবার তা উচ্ছেদ করেন। প্রশাসনের এমন উদ্যোগকে আমি স্বাগত জানাই। 

ইউপি সদস্য খোরশেদ আলম বলেন, পর্যটকদের কথা চিন্তা করে ইউপি চেয়ারম্যান জসিম মাস্টারেরর পরামর্শে আমরা এখানে রিসোর্ট করার চিন্তা-ভাবনা করে সীমানা নির্ধারণ করেছিলাম। 

স্থানীয়রা বলছেন, পর্যটন এলাকার সরকারি ভূমি জবরদখল করে আরও কিছু প্রভাবশালী এখানে দোকানপাট করেছে ও জমি নিজেদের দখলে রেখেছে। তাদেরকেও উচ্ছেদ করার দাবি জানাচ্ছি। এতদিন এরাই সরকারি সম্পত্তি বেহাত করে বালি ও পাথর লোপাট করেছে। এখন ভূমি অবৈধ দখলে নিয়ে নিজেদের স্বার্থ হাসিলের চেষ্টা করছে। আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাই।

এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দেবাংশু কুমার সিংহ বলেন, সরকারি ভূমি দখলমুক্ত করার অভিযান অব্যাহত থাকবে। পর্যায়ক্রমে সকল দখলদারকে উচ্ছেদ করা হবে। 


এইচএইচ/আরআর-০৬