নবীগঞ্জ প্রতিনিধি
আগস্ট ০৬, ২০২১
১২:৪৮ অপরাহ্ন
আপডেট : আগস্ট ০৬, ২০২১
১২:৪৮ অপরাহ্ন
আউশকান্দি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মহিবুর রহমান হারুন
হবিগঞ্জ জেলার নবীগঞ্জ উপজেলার আউশকান্দি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মহিবুর রহমান হারুনের বিরুদ্ধে কর্মসৃজন প্রকল্পের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) কাছে অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। সম্প্রতি দুদক চেয়ারম্যান বরাবরে অভিযোগটি দায়ের করেন আউশকান্দি ইউনিয়নের পারকুল গ্রামের জনৈক মুহিবুর রহমান।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, আউশকান্দি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান প্রতিবছরের মতো এবারও ২০২০-২১ অর্থবছরের টাকা ওঠানোর পাঁয়তারা করছেন। প্রতিবছর প্রথম পর্যায়ে ৪০ দিনের বিল এবং দ্বিতীয় পর্যায়ে ৪০ দিনের বিল শ্রমিকের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে না দিয়ে ব্যাংকের ব্যবস্থাপককে বড় অঙ্কের টাকা দিয়ে তিনি বিল উত্তোলন করেন এবং প্রকল্প সভাপতি-সম্পাদকসহ ভাগ-বাটোয়ারা করে টাকা আত্মসাৎ করেন। ১৭৯ জন শ্রমিককে প্রকল্পের আওতায় নিয়োগ দিয়ে চেক বই ও জব কার্ড চেয়ারম্যানের কাছে রেখে কাজবঞ্চিত করে সোনালী ব্যাংক থেকে চেকের পাতায় জাল স্বাক্ষর করে অবৈধভাবে টাকা উত্তোলন করে নামমাত্র কাজ দেখিয়ে টাকা ভাগ-বাটোয়ারা করেন।
আরও জানা গেছে, চেয়ারম্যান এলজিএসপি-৩ প্রকল্প বাস্তবায়নে নিজস্ব লোককে ঠিকাদার বানিয়ে প্রকল্পের বিপরীতে নামমাত্র কাজ দেখিয়ে ব্যাংক থেকে টাকা উত্তোলন করেন। এলজিএসপি-২ এর আওতায় নির্মাণাধীন আলমপুর সরকারি পুকুর থেকে আলমপুর পর্যন্ত রাস্তার ইট উঠিয়ে বিক্রি করেছেন তিনি। সেই সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর অগ্রাধিকার প্রকল্পের আওতায় ৬ লাখ টাকা বরাদ্দকৃত বিশ্ব রোড মিনাজপুর লেবু মিয়ার বাড়ির কাছ থেকে নদীর পাড় পর্যন্ত সড়কের ইট উঠিয়ে বিক্রি, এডিপি, কাবিখা/কাবিটা, টিআর, ট্যাক্স/ট্রেড লাইসেন্সের আয়, বয়স্ক ভাতা/বিধবা ভাতা/পঙ্গু ভাতা/খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি, প্রধানমন্ত্রীর করোনাকালীন ২ হাজার ৫০০ টাকা ও নিজ গ্রাম থেকে নিজস্ব শ্রমিক নিয়োগ এবং ভুয়া প্রকল্প তৈরিসহ বিভিন্ন খাতে অনিয়ম ও স্বজনপ্রীতি এবং দুর্নীতির মাধ্যমে লাখ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আবেদন করা হয়।
আউশকান্দি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মহিবুর রহমান হারুন অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, এটি আমার প্রতিপক্ষের সাজানো মিথ্যা অপবাদ। আমি কখনও এসব দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত নই।
নবীগঞ্জ উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মহি উদ্দিন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, অভিযোগের বিষয় অবগত হয়ে আমি কর্মসৃজন প্রকল্পের বিল বন্ধ রেখেছি। বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে।
এএম/আরআর-১১