‘শাস্তি’ পাচ্ছেন টোকিও ফেরা অস্ট্রেলিয়ার ১৬ অ্যাথলেট

খেলা ডেস্ক


আগস্ট ১২, ২০২১
১১:০৭ পূর্বাহ্ন


আপডেট : আগস্ট ১২, ২০২১
১১:০৭ পূর্বাহ্ন



‘শাস্তি’ পাচ্ছেন টোকিও ফেরা অস্ট্রেলিয়ার ১৬ অ্যাথলেট
টোকিও অলিম্পিক

টোকিও অলিম্পিকে অস্ট্রেলিয়া ১৭টি স্বর্ণ পদকসহ ৪৬টি পদক জিতেছে।


টোকিও অলিম্পিক থেকে দেশে ফিরে ‘শাস্তির’ মুখে পড়েন অস্ট্রেলিয়ার ১৬ অ্যাথলেট। দেশের নিয়ম অনুসারে ২৮ দিন কোয়ারেন্টিনে থাকতে হচ্ছে তাদের।

সাধারণত ১৪ দিন কোয়ারেন্টিন করতে হয় সবার, কিন্তু নিয়মের বেড়াজালে এত দিন কোয়ারেন্টিন করতে হওয়াকে রীতিমতো ‘নিষ্ঠুর’ বলে বর্ণনা করছেন এই অ্যাথলেটরা। আর এভাবে কোয়ারেন্টিনে থাকাটা ‘শাস্তি’ বলেই মনে হচ্ছে দেশের অ্যাথলেট ও অলিম্পিক অ্যাসোসিয়শনের কর্মকর্তাদের।

যে ১৬ অ্যাথলেট টোকিও থেকে সিডনি হয়ে দক্ষিণ অস্ট্রেলিয়ায় গেছেন, তাঁদের বাড়তি দুই সপ্তাহ কোয়ারেন্টিনে থাকতে হচ্ছে। অস্ট্রেলিয়ান অলিম্পিক কমিটি (এওসি) সে দেশের সরকারের এমন বাড়াবাড়ি কিছুতেই মেনে নিতে পারছে না। তারা এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ‘যেখানে অন্য দেশের অ্যাথলেটরা ফেরার পর উৎসব করছে, সেখানে আমরা নিজেদের অ্যাথলেটদের সবচেয়ে নিষ্ঠুর ও অবহেলার চোখে দেখছি।’

এওসির কাছে মনে হচ্ছে, অস্ট্রেলিয়ার হয়ে খেলে যেন ‘অপরাধ’ করে ফেলেছেন অ্যাথলেটরা! ‘অলিম্পিক গেমসে তাঁরা গর্বের সঙ্গে দেশের হয়ে খেলে শাস্তি পাচ্ছেন।’

১৬ অ্যাথলেট নিউ সাউথ ওয়েলসের রাজধানী সিডনিতে কোয়ারেন্টিনে আছেন।

দক্ষিণ অস্ট্রেলিয়া সরকার এই অ্যাথলেটদের কোয়ারেন্টিনে রাখার একটা ব্যাখ্যা দিয়েছে। তারা বলছে, নিউ সাউথ ওয়েলসে অতিমাত্রায় ডেলটা ভেরিয়েন্টের ঝুঁকি রয়েছে। এই অ্যাথলেটদের বেলায় কোয়ারেন্টিনের এত বাধ্যবাধকতায় ছাড় দিতে অনুরোধ করেছিল এওসি, কিন্তু সরকার সেই অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করেছে। তাঁদের বাড়তি দুই সপ্তাহ কোয়ারেন্টিনে থাকতে হচ্ছে। 

এওসির প্রধান নির্বাহী ম্যাট ক্যারল এক বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছেন, ‘আমাদের অলিম্পিয়ানরা শুধু টিকাই নেননি, তাঁরা টোকিওতে অতি উচ্চমাত্রার জৈব সুরক্ষাবলয়ের মধ্যে ছিলেন। সর্বোচ্চ সতর্কতার মধ্যেই ছিলেন। অনেক সপ্তাহ ধরে প্রতিদিন করোনা পরীক্ষা হয়েছে তাঁদের।’ কেন এসব অ্যাথলেটদের ছাড় দেওয়ার আবেদনে সাড়া দেয়নি সরকার, তা নিয়েও অবাক তিনি।’ 

মহামারি শুরুর পর অস্ট্রেলিয়ায় ৩৭ হাজারের বেশি মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে ৯৪৫ জন মারা গেছেন। অস্ট্রেলিয়ার মৃত্যুর এ হার অন্য অনেক উন্নত দেশের তুলনায় অনেক কম।

এএন/০৪