মশায় অতিষ্ঠ শায়েস্তাগঞ্জ পৌরবাসী, ডেঙ্গুর শঙ্কা

শায়েস্তাগঞ্জ প্রতিনিধি


আগস্ট ১৩, ২০২১
০৯:৫৩ পূর্বাহ্ন


আপডেট : আগস্ট ১৩, ২০২১
১১:০৬ পূর্বাহ্ন



মশায় অতিষ্ঠ শায়েস্তাগঞ্জ পৌরবাসী, ডেঙ্গুর শঙ্কা

দিন নেই রাত নেই, ২৪ ঘণ্টাই চলছে মশার উপদ্রব। মশা থেকে বাঁচতে কয়েল জ্বালিয়ে, অ্যারোসল ছিটিয়েও মিলছে না শান্তি। চলছে বর্ষার মৌসুম। হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জে প্রায় প্রতিদিনই থেমে থেমে হচ্ছে বৃষ্টি। এই বৃষ্টির পানি শায়েস্তাগঞ্জের অলিগলি, ঝোপঝাড়ে আটকে থাকায় মশার উপদ্রব বেড়েছে কয়েকগুণ। শায়েস্তাগঞ্জ পৌরসভার হাট-বাজার, অফিস-আদালত, বাসা-বাড়ি সর্বত্রই মশার আধিপত্য চলছে। এর ফলে ডেঙ্গুর প্রকোপের আশঙ্কা করছেন সচেতন মহল।

মশার এমন উপদ্রবে এখন অতিষ্ঠ শায়েস্তাগঞ্জের মানুষজন। করোনাভাইরাস সংক্রমণের এই সময়ে ঘরে থাকা শিশু, বৃদ্ধ, শিক্ষার্থী সবাই মশার যন্ত্রণায় অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছেন। করোনার আতঙ্কের মধ্যেই মশার উপদ্রব বৃদ্ধি পাওয়ায় উপজেলাজুড়ে দেখা দিয়েছে ডেঙ্গি রোগের আরেক আতঙ্ক। তবে দিন দিন মশার উপদ্রব বৃদ্ধি পেলেও নির্বিকার শায়েস্তাগঞ্জ পৌর কর্তৃপক্ষ।

শায়েস্তাগঞ্জে মশার যন্ত্রণায় অতিষ্ঠ হয়ে অনেককে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট দিয়ে এ থেকে পরিত্রাণের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ আশা করতে দেখা গেছে।

পৌরসভার সাবাসপুরের বাসিন্দা আল মাহমুদ সুজাত বলেন, শান্তিমতো খাওয়া যায় না, টিভি দেখা যায় না, নামাজ পড়া যায় না। মশার উপদ্রব বাড়ায় খুব ভোগান্তিতে আছি।

পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা জমির আলী বলেন, আমাদের এলাকায় মশার উপদ্রব মারাত্মকভাবে বেড়েছে। কিন্তু এ নিয়ে কর্তৃপক্ষের তেমন কোনো মাথাব্যথা নেই। গত কয়েকদিন আগে আমি দেখেছিলাম ২ নম্বর ওয়ার্ডে ফগার মেশিন নিয়ে কয়েকজন এসেছিলেন। কিন্তু অপারেটিং সিস্টেম জানা না থাকায় তারা স্প্রে না করেই চলে যান।

পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা শফি কাইয়ুম বলেন, বৃষ্টি বেড়ে যাওয়ায় মশাও বেড়েছে। সাধারণ মানুষ জ্বরে আক্রান্ত হলেও সেটি ডেঙ্গু জ্বর কি না বোঝা যাচ্ছে না। তাই ঝুঁকিও বাড়ছে। মশা নিধনে আমি এখন পর্যন্ত পৌরসভার তেমন কোনো কার্যক্রম দেখিনি। পৌরসভায় শান্তিপূর্ণভাবে বসবাসের জন্য মশা নিধনের বিকল্প নেই।

তবে পৌর কর্তৃপক্ষ বলছে, করোনার কারণে মশক নিধন কার্যক্রম বন্ধ ছিল। তারা আবার এ কার্যক্রম শুরু করেছেন।

শায়েস্তাগঞ্জ পৌরসভার মেয়র ফরিদ আহমেদ অলি বলেন, দীর্ঘদিন করোনার কারণে আমরা মশা নিধন কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারিনি। তাই বৃষ্টিতে মশা কিছুটা বেড়ে গেছে। ইতোমধ্যে মশক নিধন কার্যক্রম শুরু হয়েছে। পর্যায়ক্রমে পৌর এলাকার ৯টি ওয়ার্ডে মশক নিধন কার্যক্রম চালানো হবে। ইতোমধ্যে ৭, ৮ ও ৯ নম্বর ওয়ার্ডে মশা মারার জন্য স্প্রে করা হয়েছে। আমাদের এ কার্যক্রম একটি চলমান প্রক্রিয়া। মশা নিধনে আমাদের কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।


এসডি/আরআর-০১