পরীমনিকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ

সিলেট মিরর ডেস্ক


আগস্ট ১৩, ২০২১
০৮:০৯ অপরাহ্ন


আপডেট : আগস্ট ১৩, ২০২১
০৯:১৭ অপরাহ্ন



পরীমনিকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ

মাদক মামলায় গ্রেপ্তার চিত্রনায়িকা পরীমনির জামিন আবেদন নাকচ করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। আজ শুক্রবার (১৩ আগস্ট) দুপুরে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতে এ আদেশ দেওয়া হয়। পরীমনির সহযোগী আশরাফুল ইসলাম দীপুরও জামিন আবেদন নাকচ করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন আদালত।

দুদিন রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আজ শুক্রবার বেলা ১১টা ৪০ মিনিটে পরীমনিকে একটি মাইক্রোবাসে করে হাজতখানায় আনে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। এর আগে বনানী থানায় করা মাদক মামলায় চিত্রনায়িকা পরীমনিকে গত মঙ্গলবার দুদিন রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার অনুমতি দেন আদালত।

৪ আগস্ট পরীমনিকে গ্রেপ্তার করে র‍্যাব। তাঁর বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা করা হয়। মামলার বাদী হলেন র‌্যাব-১-এর কর্মকর্তা মো. মজিবর রহমান। এ মামলায় মজিবর অভিযোগ করেন, ৪ আগস্ট তিনিসহ র‌্যাব-১-এর সদস্যরা গুলশান-১ গোলচত্বরে অবস্থান করছিলেন। বিকেল ৪টা ৫ মিনিটে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারেন, বনানীর একটি বাসায় পরীমনি সহযোগী আশরাফুল ইসলামের মাধ্যমে বিদেশি মদ সংগ্রহ করে নিজের বাসায় মজুত রেখেছেন। তাঁরা বাসায় অবস্থান করছেন। পরে বাসার পঞ্চম তলায় অভিযান চালিয়ে পরীমনির বাসা থেকে র‌্যাবের নারী সদস্যদের সহায়তায় তাঁকে আটক করা হয়। বাসার একটি কক্ষের একটি কাঠের ফ্রেমের ভেতর থেকে বিদেশি মদ জব্দ করা হয়। এ ছাড়া একটি সাদা জিপারে রাখা চার গ্রাম আইস বা ক্রিস্টাল মেথ জব্দ করা হয়। আরও জব্দ করা হয় এক ব্লট এলএসডি মাদক। পরীমনির বাসা থেকে জব্দ বিদেশি মদসহ অন্যান্য মাদকের মোট দাম দেখানো হয়েছে ২ লাখ ৭ হাজার টাকা।

মামলায় বলা হয়, পরীমনি এসব মাদকদ্রব্য কবির নামের এক ব্যক্তির মাধ্যমে সংগ্রহ করে বাসায় রাখতেন। মামলায় কবিরের পূর্ণাঙ্গ নাম-ঠিকানা উল্লেখ নেই। একই মামলায় আবার র‌্যাব দাবি করেছে, চিত্রনায়িকা পরীমনিকে জিজ্ঞাসাবাদ করে জানা যায়, তিনি প্রযোজক নজরুল ইসলাম রাজের কাছ থেকে মাদক সংগ্রহ করতেন। তবে পরীমনি ও আশরাফুল ইসলামের আইনজীবীরা আদালতে দাবি করেছেন, র‌্যাব বাসায় মাদক পাওয়ার অভিযোগে যে মামলা করেছে, তা সঠিক নয়।

মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের যে ধারায় পরীমনির বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে, তা রাষ্ট্রপক্ষ প্রমাণ করতে পারলে তাঁর সর্বোচ্চ পাঁচ বছর কারাদণ্ড হতে পারে।

বিএ-০১