ধর্মপাশায় দুই ছাত্রলীগ নেতাকে মারধর

ধর্মপাশা প্রতিনিধি


আগস্ট ২২, ২০২১
০৮:০১ অপরাহ্ন


আপডেট : আগস্ট ২২, ২০২১
০৮:০১ অপরাহ্ন



ধর্মপাশায় দুই ছাত্রলীগ নেতাকে মারধর

গত ১৫ আগস্ট জুতা পায়ে রেখে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পমাল্য অর্পণ করা ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে পোস্ট দেওয়াকে কেন্দ্র করে সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা উপজেলার মধ্যনগর থানা ছাত্রলীগের যুগ্ম-আহ্বায়ক শরীফুল আলম লিমন (২২) ও মধ্যনগর সদর ইউনিয়ন  ছাত্রলীগের যুগ্ম-আহ্বায়ক মনি রাজ দাসের (১৮) ওপর অর্তকিত হামলা ও মারধরের ঘটনা ঘটেছে।

শনিবার (২১ আগস্ট) রাত ৮টার উপজেলার মধ্যনগর বাজার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনের সড়কে এ ঘটনা ঘটে। হামলার ঘটনায় জড়িতরা মধ্যনগর থানা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম খানের অনুসারী বলে অভিযোগ উঠেছে।

মধ্যনগর থানা ছাত্রলীগের যুগ্ম-আহ্বায়ক শরীফুল আলম লিমন বলেন, ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবসে মধ্যনগর থানা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম খানের নেতৃত্বে ওইদিন সকাল ১১টার দিকে তার ১০/১২ জন অনুসারী মধ্যনগর থানা আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ে থাকা বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে জুতা পায়ে রেখেই পুষ্পমাল্য অর্পণ করেন। ছাত্রলীগের একজন কর্মী ও বঙ্গবন্ধুর সৈনিক হিসেবে ঘটনাটি নিয়ে আমি ব্যথিত হই। বঙ্গবন্ধুকে অবমাননা করার বিষয়টি আমি মেনে নিতে না পেরে এই ছবিটি আমি ১৬ আগস্ট সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে আমার আইডি থেকে পোস্ট করি। আর এতে জাহাঙ্গীর আলম খান ও তার অনুসারীরা আমার ওপর ক্ষুব্ধ হন। জাহাঙ্গীর আলম খানের নির্দেশেই তার অনুসারী মনি বিশ্বাস (২৬), আশিক নূর (২৪) ও  সাকিব হাসান (২৫) সহ ৫/৬ জন আমার ওপর এবং আমার সঙ্গে থাকা মধ্যনগর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের যুগ্ম-আহ্বায়ক মনি রাজ দাসের ওপর অতর্কিত হামলা চালিয়ে আমাদেরকে কিল, ঘুষি, চড় মারেন ও বাঁশের খুঁটি দিয়ে শরীরে এলোপাতাড়ি আঘাত করে আহত করেন। আমাদের দুজনকে প্রাণনাশের হুমকিও দেওয়া হয়েছে। আমরা স্থানীয়ভাবে সাময়িক চিকিৎসা নিয়েছি। ওইদিন রাতেই এ নিয়ে আমি মধ্যনগর থানার ওসির কাছে  একটি লিখিত অভিযোগ করেছি।

মধ্যনগর থানা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম খান তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, শনিবার রাতে যে ঝগড়ার ঘটনাটি ঘটেছে সেটি পারিবারিক বিরোধ থেকে ঘটেছে। এটি রাজনৈতিক কোনো বিরোধ নয়। আমার এতে কোনো ধরনের সম্পৃক্ততা নেই। আমার রাজনৈতিক সুনাম নষ্ট করার জন্য স্থানীয় একটি কুচক্রীমহল আমাকে জড়িয়ে ও আমার অনুসারী পরিচয় দিয়ে অপপ্রচার ও গুজব রটাচ্ছে। 

মধ্যনগর থানা ছাত্রলীগের আহ্বায়ক ওয়াসিফ ইবতিজা আলভী বলেন, আমাদের ছাত্রলীগের দুজন নেতার ওপর অতর্কিত হামলা চালিয়ে তাদেরকে মারধর করার বিষয়টি কোনোভাবেই মেনে নিতে পারছি না। হামলাকারীরা যত প্রভাবশালীই হোক না কেন, তাদেরকে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি। আমি এ নিয়ে মধ্যনগর থানার ওসি সাহেবের সঙ্গেও কথা বলেছি।

মধ্যনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নির্মল দেব বলেন, মধ্যনগর থানা ছাত্রলীগের মধ্যে দুটি গ্রুপ রয়েছে। আমি যতটুকু জানতে পেরেছি, এটি রাজনৈতিক কোনো বিষয় নয়। ব্যক্তিগত বিরোধ থেকে ঘটনাটি ঘটেছে। এ ঘটনায় আমি একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। ঘটনাটি খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


এসএ/আরআর-০৭