জগন্নাথপুর প্রতিনিধি
সেপ্টেম্বর ০৬, ২০২১
০২:৩৭ পূর্বাহ্ন
আপডেট : সেপ্টেম্বর ০৬, ২০২১
০২:৩৭ পূর্বাহ্ন
সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরে কুশিয়ারা নদীর ভাঙনের কবল থেকে গ্রামীণ সড়ক রক্ষায় দুটি গ্রামবাসীর অর্থায়নে সংস্কার কাজ শুরু হয়েছে। গতকাল শনিবার (৪ সেপ্টেম্বর) থেকে ওই সড়কে কাজ শুরু হয়।
স্থানীয় সরকার প্রকৌশলী ও এলাকাবাসী জানান, উপজেলার রানীগঞ্জ ইউনিয়নে কুশিয়ারা নদীর তীর ঘেঁষা রানীগঞ্জ দক্ষিণপাড় এলাকায় রয়েছে আলমপুর-রৌয়াইল সড়ক। গ্রামীণ এই সড়কে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) অর্থায়নে প্রথমবারের মতো ১ কোটি ৯০ লাখ টাকা ব্যয়ে সড়কের তিন কিলোমিটার জুড়ে চলছিল পাকাকরণের কাজ। কাজ পায় সিলেটের ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান এমআই ইঞ্জিনিয়ার। চলতি বছরের ডিসেম্বরে কাজ শেষ হওয়ার কথা। কিন্তু সম্প্রতি কুশিয়ারা নদীর ভাঙনের কবলে পড়ছে সড়কটি। ফলে সড়কের নতুন কাজ শেষ হওয়ার আগেই সড়কটি বিলীন হয়ে যাওয়ার শঙ্কা দেখা দিয়েছে। এ সড়ক দিয়ে ইউনিয়নের নোয়াগাঁও, আলমপুর, বালিশ্রী, রৌয়াইল, হরিনাকান্দি, মেঘারকান্দিসহ ১০টি গ্রামের লোকজন যাতায়াত করে আসছিলেন। ভাঙনরোধে সংশ্লিষ্টদের পক্ষ থেকে কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। অবশেষে রৌয়াইল ও বালিশ্রী গ্রামবাসীর অর্থায়নে কুশিয়ারা নদীর ভাঙন থেকে সড়কটিকে রক্ষায় বস্তায় মাটি ভরে মাটি ফেলার কাজ শুরু হয়েছে।
বালিশ্রী গ্রামের আলতাবুর রহমানসহ কয়েকজন প্রবীণ ব্যক্তি জানান, কুশিয়ারা নদীর ভাঙনে এরই মধ্যে ঘরবাড়ি, ফসলি জমি, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান, রাস্তাঘাটসহ বিভিন্ন স্থাপনা বিলীন হয়ে গেছে। এখন গ্রামবাসীর চলাচলের প্রধান সড়কটি ভাঙনের মুখে পড়েছে। ভাঙনরোধে সরকারিভাবে কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ না করায় গ্রামবাসীর টাকায় ভাঙন ঠেকাতে কাজ শুরু হয়েছে। ইতোমধ্যে ১১০ বস্তা মাটি ফেলা হয়েছে।
জগন্নাথপুর উপজেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-সহকারী প্রকৌশলী হাসান গাজী বলেন, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ভাঙনরোধে ব্যবস্থা নিতে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট একটি প্রতিবেদন পাঠানো হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী প্রকৌশলী (এলজিইডি) গোলাম সারোয়ার বলেন, নদীভাঙনের বিষয়ে জরুরিভিত্তিতে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য উপজেলা পরিষদ ও পানি উন্নয়ন বোর্ডকে অবহিত করা হয়েছে।
এএ/আরআর-১৪