পুলিশ কনস্টেবলকে না পেয়ে থানায় নারীর বিষপান

মাধবপুর প্রতিনিধি


সেপ্টেম্বর ০৭, ২০২১
০৭:০২ অপরাহ্ন


আপডেট : সেপ্টেম্বর ০৭, ২০২১
০৭:০২ অপরাহ্ন



পুলিশ কনস্টেবলকে না পেয়ে থানায় নারীর বিষপান

হবিগঞ্জের মাধবপুর থানায় ছুটিতে থাকা পুলিশ কনস্টেবল বাবুল মিয়ার সঙ্গে দেখা করতে এসে তাকে না পেয়ে আনোয়ারা বেগম (৩২) নামের এক নারী বিষপান করেছেন। মঙ্গলবার (৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে মাধবপুর থানা প্রাঙ্গণে এ ঘটনা ঘটেছে।

আনোয়ারা বেগম কক্সবাজার জেলার রামু উপজেলার দক্ষিণ রাজারকুল গ্রামের দিদাদুল ইসলামের স্ত্রী। পুলিশ তাকে উদ্ধার করে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়েছে।

মাধবপুর থানার ডিউটি অফিসার ওয়াহিদ গাজী জানান, মঙ্গলবার দুপুরে আনোয়ারা বেগম মাধবপুর থানায় কর্মরত কনস্টেবল (কং/৩৪৭) বাবুল মিয়ার সন্ধানে মাধবপুর থানায় আসেন। কিন্তু কনস্টেবল বাবুল মিয়া তার দেশের বাড়ি কুমিল্লায় থাকায় তার সঙ্গে দেখা হয়নি। এ সময় পুলিশ তাকে কোনো অভিযোগ থাকলে থানায় জানানোর পরামর্শ দেয়। কিন্তু কোনো কিছু না বলে থানা কক্ষ থেকে বের হয়ে ব্যাগে থাকা বিষের বোতল বের করে থানার সামনে বিষপান করে ছটফট করতে থাকেন আনোয়ারা। তাৎক্ষণিক পুলিশ তাকে উদ্ধার করে প্রথমে মাধবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখান থেকে হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক আনোয়ারা বেগমকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করেন।

আনোয়ারা বেগমের স্বামী দিদারুল ইসলাম জানান, বাবুল মিয়া কক্সবাজার আদালতে কর্তব্যরত থাকাবস্থায় আনোয়ারা বেগমের সঙ্গে তার পরিচয় হয়। এই সূত্রে আনোয়ারা বেগমের কাছ থেকে বিভিন্ন কৌশলে ৫ লাখ টাকা নেন বাবুল। সম্প্রতি দিদারুল ওই টাকার বিষয়টি জানতে পারলে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে মনোমালিন্য সৃষ্টি হয়। পরে ওই টাকা আদায়ের উদ্দেশে মঙ্গলবার দুপুরে আনোয়ারা বেগম মাধবপুর থানার উদ্দেশে বাড়ি থেকে বের হন।

এ ব্যাপারে জানতে কনস্টেবল বাবুল মিয়ার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, কক্সবাজার আদালতে চাকরিকালীন সময়ে একটি মামলা সংক্রান্ত বিষয়ে আনোয়ারার সঙ্গে তার পরিচয় হয়। এ পরিচয়ের সূত্র ধরে আনোয়ারার পরিবারে তার যাতায়াত ছিল। কিছু টাকা আনোয়ারা তাকে ধার দিয়েছিলেন।

মাধবপুর থানার পুলিশ পরিদর্শক মাঈন উদ্দিন বলেন, আনোয়ারা বেগম দুপুরে মাধবপুর থানায় এলে পুলিশ তাকে অভিযোগ দিতে বলে। কিন্তু তিনি অভিযোগ না দিয়ে হঠাৎ করে সবার অগোচরে থানা এলাকায় এমন ঘটনা ঘটিয়েছেন। আমরা তাকে দ্রুত উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়েছি। 


ওএম/আরআর-০৩