ধর্মপাশায় বজ্রপাতে ৩ কৃষি শ্রমিক আহত

ধর্মপাশা প্রতিনিধি


সেপ্টেম্বর ০৮, ২০২১
১১:০৩ অপরাহ্ন


আপডেট : সেপ্টেম্বর ০৮, ২০২১
১১:০৩ অপরাহ্ন



ধর্মপাশায় বজ্রপাতে ৩ কৃষি শ্রমিক আহত

সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা উপজেলার সেলবরষ ইউনিয়নের খলাপাড়া গ্রামের পেছনে পশ্চিমের বন্দ নামক স্থানে রোপা আমন জমিতে ধানের চারা রোপণ করতে গিয়ে বজ্রপাতে আহত হয়েছেন ৩ জন কৃষি শ্রমিক। বুধবার (৮ সেপ্টেম্বর) সকাল পৌনে ৭টার দিকে এ ঘটনা ঘটেছে।

বজ্রপাতে আহতরা হলেন- খলাপাড়া গ্রামের বাসিন্দা কৃষি শ্রমিক আবদুল মোতালিব (৫০), জাহেদ আলী (৫৫) ও শাহীন মিয়া (৪০)। তাদেরকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

এলাকাবাসী, প্রত্যক্ষদর্শী ও  উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা গেছে, বুধবার সকাল ৬টার দিকে উপজেলার সেলবরষ ইউনিয়নের খলাপাড়া গ্রামের পেছনে পশ্চিমের বন্দ নামক স্থানে রোপা আমন জমিতে ধানের চারা রোপণ করতে যান একই গ্রামের বাসিন্দা তিন কৃষি শ্রমিক। সকাল সাড়ে ৬টার দিকে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি ও বেশ কয়েকবার বজ্রপাতের বিকট শব্দ হয়। এ সময় বজ্রাঘাতে কৃষি শ্রমিক আবদুল মোতালিব, জাহেদ আলী ও শাহীন মিয়া আহত হন।  এ সময় খানিকটা দূরে খলাপাড়া গ্রামের কৃষক আহাদ মিয়া (৩৫) তার নিজের জমিতে পাওয়ার ট্রিলার (হালচাষ করার যন্ত্র) দিয়ে রোপা আমন আবাদের জন্য জমি প্রস্তুত করছিলেন। তিনি কাছে গিয়ে তিন কৃষি শ্রমিককে মাটিতে পড়ে থাকতে দেখে তা মুঠোফোনে তাদের স্বজন ও স্থানীয় লোকজনকে জানান। খবর পেয়ে স্থানীয় লোকজন ও আহতদের স্বজনেরা ঘটনাস্থলে গিয়ে আহত তিন কৃষি শ্রমিককে উদ্ধার করে সকাল ৮টার দিকে ধর্মপাশা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগে নিয়ে যান। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়ার পর চিকিৎসকরা তাৎক্ষনিকভাবে আহতদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। 

উপজেলার সেলবরষ ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আতিকুল ইসলাম বলেন, বজ্রপাতে আহত কৃষি শ্রমিক আবদুল মোতালিব কানে শুনতে পাচ্ছিলেন না। জাহেদ আলীর দুই পা অবশ হয়ে যায় এবং শাহীন মিয়ার দুই পায়ের বিভিন্ন স্থানের বেশ কিছু অংশ ঝলসে যায়। কৃষক আহাদ মিয়ার কাছ থেকে খবর পেয়ে আমরা ওই বন্দ থেকে আহতদের উদ্ধার করি। পরে তাদেরকে হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করা হয়।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের দায়িত্বে থাকা উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার রঞ্জন কিশোর চাকলাদার বলেন, আমি ও  মেডিকেল অফিসার ডা. লুবনা ম্যাডাম মিলে বজ্রপাতে আহত ওই তিনজনকে প্রাথমিক চিকিৎসাসেবা দিয়েছি। তাদেরকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। তারা এখন অনেকটাই শঙ্কামুক্ত অবস্থায় রয়েছেন।


এসএ/আরআর-০৪