মাধবপুরে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ৬ দিনে ৫ জনের মৃত্যু

মাধবপুর প্রতিনিধি


সেপ্টেম্বর ১৬, ২০২১
০৩:৫৯ অপরাহ্ন


আপডেট : সেপ্টেম্বর ১৬, ২০২১
০৪:০৪ অপরাহ্ন



মাধবপুরে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ৬ দিনে ৫ জনের মৃত্যু

হবিগঞ্জের মাধবপুরে গত ৬ দিনে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ২ শিশুসহ ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। 

এ নিয়ে উপজেলায় বিদ্যুৎ আতংক সৃষ্টি হয়েছে। বিদ্যুৎ বিভাগের দাবী অসচেতনতার কারণে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যুর সংখ্য বাড়ছে । 

আজ বৃহস্পতিবার (১৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরে উপজেলার বুল্লা গ্রামে পরিমল সরকার (৩৩) ঘরের চালের টিন খুলতে গিয়ে ঘরের উপর দিয়ে টানা বৈদ্যুতিক তারে জড়িয়ে মৃত্যুমুখে পতিত হয়। পরিবারের লোকজন তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন। 

মৃত পরিমল উপজেলার বরগ গ্রামের প্রমোদ সরকারের ছেলে। এছাড়া গত ১৩ সেপ্টেম্বর সোমবার মাধবপুর পৌরশহরে ৩নং ওয়ার্ডে রিক্সার গ্যারেজে বিদ্যুতায়িত হয়ে গ্যারেজ মালিক বারচান্দুরা গ্রামের সাদেক মিয়ার ছেলে সুজন মিয়া (৩০) এবং বুল্লা ইউনিয়নের চানখাবুল্লা গ্রামের মৃত কালা মিয়ার ছেলে সাহেদ মিয়া মারা যায়। 

১১ সেপ্টেম্বর পৌরশহরের ১নং ওয়ার্ডের লিটন পাঠানের শিশু ছেলে বিজয় পাঠান (১২) নিজ বাড়ীতে রিক্সার গ্যারেজের বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে মারা যায়। 

এর আগে ১০ সেপ্টেম্বর শুক্রবার দুপুরে আন্দিউড়া ইউনিয়নের মীরনগর গ্রামের মাসুক মিয়ার ছেলে ইয়াছিন মিয়া (৮) ও জিতু মিয়ার ছেলে ইমন মিয়া (৯) ঘরের বারান্দার ছাদে খেলা করতে গিয়ে বিদ্যুতায়িত হয়। বিদ্যুৎস্পৃষ্টে আহত দুই শিশুকে মাধবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ইয়াছিন মিয়াকে মৃত ঘোষণা করেন। 

থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাু(ওসি) মুহাম্মদ আব্দুর রাজ্জাক বলেন, শিশু দুটির মৃতদেহ বিনা ময়না তদন্তে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। বাকীগুলো ময়নাতদন্ত সম্পন্ন করে থানায় অপমৃত্যু মামলা রুজু হয়েছে। নিজে এবং পরিবার প্রধানদের সচেতনতাই বিদ্যুতায়িত হয়ে অকাল মৃত্যুকে রোধ করতে পারে।

এ বিষয়ে হবিগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির সিনিয়র জেনারেল ম্যানেজার মো. মোতাহার হোসেন জানান, শিশু ও যুবক মৃত্যুর ঘটনা খুবই মর্মান্তিক। অসাবধানতার কারনে আপনজনদেরকে হারাতে হচ্ছে। পল্লী বিদ্যুতের পক্ষ থেকে সচেতনতা সৃষ্টির ব্যবস্থা করা হচ্ছে। সচেতনতায় আমাদের সবাইকে ভূমিকা রাখলেই এই হৃদয় বিদারক ঘটনার সৃষ্টি হতো না। 

ও এম/বি এন-০৪