দিরাই প্রতিনিধি
সেপ্টেম্বর ২৭, ২০২১
১১:১৫ অপরাহ্ন
আপডেট : সেপ্টেম্বর ২৭, ২০২১
১১:১৫ অপরাহ্ন
পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নানের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করেছে সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলা আওয়ামী লীগ। সোমবার (২৭ সেপ্টেম্বর) বেলা ২টায় স্থানীয় আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট সোহেল আহমদ।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, দিরাইয়ে আওয়ামী লীগের শক্তিশালী সংগঠন রয়েছে। কিন্তু আওয়ামী লীগ সরকারের সুবিধাভোগী পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কৃত মোশাররফ মিয়া ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের আস্থাভাজন হিসেবে এলাকায় পরিচিত সাবেক আমলা মিজানুর রহমানকে নিয়ে স্থানীয় আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে গভীর ষড়যন্ত্র করছেন। উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি প্রয়াত আছাব উদ্দিন সরদারের শোকসভা পালনের নামে আগামী ৩ অক্টোবর পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন মর্মে প্রচার চালানো হচ্ছে। উপজেলা আওয়ামী লীগকে পাশ কাটিয়ে বহিষ্কৃত নেতা ও বিএনপি ঘরানার নেতাদের আহ্বানে পরিকল্পনামন্ত্রীর আরেক সংসদীয় এলাকায় শোকসভায় আসা দলীয় শৃঙ্খলা ও সংসদীয় শিষ্টাচারের পরিপন্থী। আওয়ামী লীগের নাম ভাঙিয়ে শোকসভায় আসা এবং বীরদর্পে সরকারি প্রশাসনযন্ত্র ব্যবহার করে শোকসভার নামে শক্তির মহড়া প্রদর্শন করে আওয়ামী লীগকে দুর্বল করার এটি একটি কৌশল।
তিনি আরও বলেন, ইতোপূর্বে পরিকল্পনামন্ত্রী স্থানীয় সাংসদ ড. জয়া সেনগুপ্তা এবং জেলা, উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের উপেক্ষা করে বিএনপির এজেন্ডা বাস্তবায়নকারী হিসেবে চিহ্নিত মিজানুর রহমান গংদের আহ্বানে জগদল ২০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালটির কার্যক্রম উদ্বোধনের নামে প্রোগ্রাম করে স্থানীয় আওয়ামী লীগের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি করে। বিগত পৌর নির্বাচনে নৌকার বিরোধীতাকারী মোশাররফ মিয়াকে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের দায়ে জনসভার মাধ্যমে দল থেকে অব্যাহতি প্রদান করেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক শাখাওয়াত হোসন শফিক। এর পর থেকেই দলকে বিশৃঙ্খল করতে ষড়যন্ত্র করে আসছেন মোশাররফ। এখন তার সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন পরিকল্পনামন্ত্রীও। তিনি দলছুট নেতাদের পরামর্শে কাজ করছেন, যা বিএনপির গভীর ষড়যন্ত্র বাস্তবায়নে করা হচ্ছে বলে মনে করছে স্থানীয় আওয়ামী লীগ। মন্ত্রীর আগমনকে ঘিরে জেলা ও উপজেলা আওয়ামী লীগে ক্ষোভ ও নিন্দার ঝড় বইছে।
মন্ত্রীর দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের বিষয়টি কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দকে অবহিত করা হবে বলে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়। আওয়ামী লীগকে পাশ কাটিয়ে মন্ত্রীর সফর বিষয়ে করনীয় জেলা ও কেন্দ্রীয় নেতাদের পরামর্শে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলেও জানানো হয়।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ও জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য আলতাব উদ্দিন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট সোহেল আহমদ, সহ-সভাপতি সিরাজ-উদ দৌলা তালুকদার, সাধারণ সম্পাদক প্রদীপ রায়, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমান তালুকদার, সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট অভিরাম তালুকদার, যুগ্ম-সম্পাদক লুৎফুর রহমান এওর মিয়া, জগদিশ সামন্ত, জেলা আওয়ামী লীগের পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক হুমায়ুন রশিদ লাভলু, রফিনগর উইনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও ইউপি চেয়ারম্যান রেজুয়ান হোসেন খান, আবদুল মতিন, মিলন মিয়া, সিরাজুল ইসলাম, মকসদ আলম, ইকবাল সরদার, পারভেজ রহমানসহ উপজেলা ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ এবং অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
এএইচ/আরআর-০৩