সাম্প্রদায়িক সহিংসতার বিচারের দাবিতে সুজন ও সনাকের মানববন্ধন

সিলেট মিরর ডেস্ক


অক্টোবর ২৪, ২০২১
০১:৫৮ পূর্বাহ্ন


আপডেট : অক্টোবর ২৪, ২০২১
০২:১৯ পূর্বাহ্ন



সাম্প্রদায়িক সহিংসতার বিচারের দাবিতে সুজন ও সনাকের মানববন্ধন

কুমিল্লার পূজামন্ডপে কোরআন অবমাননার অভিযোগের জেরে মন্দির ও প্রতিমা ভাঙচুরসহ সাম্প্রদায়িক সন্ত্রাসের প্রতিবাদ এবং সহিংসতা বন্ধ ও দোষীদের বিচারের দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) ও টিআইবি’র অনুপ্রেরণায় গঠিত সচেতন নাগরিক কমিটি (সনাক) সিলেট। 

আজ শনিবার (২৩ অক্টোবর) বিকেলে নগরের চৌহাট্টায় সিলেট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে এই মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়। 

সুজন সিলেট জেলা সভাপতি ফারুক মাহমুদ চৌধুরীর সভাপতিত্বে এবং অ্যাডভোকেট শাহ সাহেদার পরিচালনায় শুরুতে ধারণাপত্র পাঠ করেন শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকর্ম বিভাগ অধ্যাপক তাহমিনা ইসলাম।

মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন, গণতন্ত্রী পার্টির সভাপতি ব্যারিস্টার আরশ আলী, সিলেট প্রেসক্লাব সভাপতি ইকবাল সিদ্দিকী, সিলেট জেলা প্রেসক্লাব সভাপতি আল আজাদ,  ওয়াকার্স পার্টির জেলা সভাপতি কমরেড সিকন্দর আলী, সিলেট জেলা বারের সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট এমাদউল্লাহ শহীদুল ইসলাম, অ্যাডভোকেট ইরফানুজ্জামান চৌধুরী, অ্যাডভোকেট সৈয়দা শিরীন আক্তার, সমিক শহিদ জাহান, সহিদ আহমদ খান, সিলেট জেলা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ছামির মাহমুদ, মিজানুর রহমান, সাংবাদিক ফয়সল আহমদ বাবলু, সাংবাদিক কাউসার চৌধুরী, ড. জহিরুল হক শাকিল, অ্যাডভোকেট মোহিত লাল ধর, সালেহ আহমদ, কাশমির রেজা, মোহাম্মদ তারেক মাহমুদ প্রমুখ।  

মানববন্ধনে নেতৃবৃন্দ সাত দফা দাবি তুলে ধরেন। দাবিগুলো হচ্ছে সাম্প্রদায়িকসহিংসতা অবিলম্বে বন্ধ কো, সারাদেশের সহিংসতার ঘটনাগুলোয় জড়িতদের চিহ্নিত করতে নিরপেক্ষ তদন্ত কমিটি গঠন, দোষীদের চিহ্নিত করে বিচারিক প্রক্রিয়ায় দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি, সাম্প্রদায়িক সহিংসতার বিরুদ্ধে সামাজিক প্রতিরোধ গড়ে তোলা, ধর্মনিরপেক্ষতার সঙ্গে সাংঘর্ষিক 'রাষ্ট্রধর্ম' সংবিধান থেকে বাদ দেওয়া, রাজনীতিতে ধর্মের ব্যবহার ও ধর্মভিত্তিক রাজনীতি নিষিদ্ধ করা, পরস্পরকে  দোষারোপের রাজনৈতিক সংস্কৃতি পরিহার করা।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন,‘ কুমিল্লার একটি পূজামন্ডপে পবিত্র কোরআন শরীফের অবমাননা এবং এর অভিযোগ এনে মন্দির ও প্রতিমা ভাঙচুর করা হয়। পরবর্তীতে এ ঘটনার সূত্র ধরে সারাদেশে বিভিন্ন মন্দির, বাড়ি-ঘর, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান এবং হিন্দু ধর্মাবলম্বী অনেকের ওপর শারীরিক হামলা চালানো হয়।’ বক্তারা আরও বলেন,  ‘ফেসবুকে ধর্ম অবমাননা করা হয়েছে, এমন অভিযোগ তুলে রংপুরের পীরগঞ্জে হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষের বাড়ি-ঘর পুড়িয়ে দেওয়া, ভাঙচুর করা এবং লুটপাট চালানো হয়। দেশের কোথাও কোথাও হামলা ও পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে বেশ কয়েকজন নিহতও হন।’ সম্প্রীতির বাংলাদেশে এমন ঘটনা ন্যাক্কারজনক মন্তব্য করে তারা অবিলম্বে ইন্ধনদাতাসহ অভিযুক্ত সকলকে গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমুলক শাস্তির দাবি জানান।


এএফ/০২