শাবিপ্রবি প্রতিনিধি
অক্টোবর ২৫, ২০২১
০৩:১৩ পূর্বাহ্ন
আপডেট : অক্টোবর ২৫, ২০২১
০৪:৩৮ পূর্বাহ্ন
দীর্ঘ ১৯ মাস প্রতীক্ষা শেষে আজ সোমবার সকাল ১০টা থেকে খুলছে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) শিক্ষার্থীদের আবাসিক হল। শিক্ষার্থীদের বরণে ইতোমধ্যে হল কর্তৃপক্ষ সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে বলে জানা গেছে। তবে হলে উঠতে শিক্ষার্থীদের মানতে হবে বেশকিছু দিকনির্দেশনা। নির্দেশনা গুলোর মধ্যে রয়েছে, অন্তত টিকার এক ডোজ গ্রহণের প্রমাণপত্র ও হলের ভর্তির আইডি কার্ড সঙ্গে রাখা, স্বাস্থ্যবিধিসহ সকল নিয়ম মেনে চলা। এ সব দিকনির্দেশনা না মানলে শিক্ষার্থীরা হলে উঠতে পারবেন না বলে জানিয়েছে হল কর্তৃপক্ষ।
এ বিষয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের প্রভোস্ট মোহাম্মদ সামিউল ইসলাম বলেন, ‘নতুন হল প্রভোস্ট হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছি, তাই শিক্ষার্থীদের সংস্পর্শে আসার অনুভ‚তিটা বেশি কাজ করছে। হলে শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা, পড়াশোনার পরিবেশ, পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে কাজ করতে চাই। এজন্য সকলের সহযোগিতা প্রয়োজন।’
প্রথম ছাত্রী হলের প্রভোস্ট জায়েদা শারমিন বলেন, ‘শিক্ষার্থীরা টিকার কার্ড দেখিয়ে হলে উঠতে পারবেন। এতে অন্তত এক ডোজ টিকা দেওয়া থাকতে হবে। তাছাড়া শিক্ষার্থীদের যথাযথ স্বাস্থবিধি মেনে হলে প্রবেশ করতে হবে। ইতোমধ্যে হলের অনেক কিছু সংস্কার করা হয়েছে। আমরা শিক্ষার্থীদের বরণ করে নিতে প্রতীক্ষায় রয়েছি।’
সৈয়দ মুজতবা আলী হলের প্রভোস্ট ড. মোহাম্মদ আবু সাঈদ আরফিন খাঁন বলেন, অনেকদিন পর শিক্ষার্থীরা হলে ফিরছে। তাই শিক্ষার্থীদের বিশেষ আয়োজনে বরণ করে নিতে চাই। ইতোমধ্যে হলের ডাইনিং ও কিচেন রুমসহ পুরাতন ব্লকটি সম্পূর্ণভাবে রং করা হয়েছে। প্রতিটি ওয়াশরুমে নতুন টাইলস বসানো হয়েছে। নিরাপদ পানি নিশ্চিত করতে নতুন করে ফিল্টার প্রতিস্থাপন করা হয়েছে। হলের সৌন্দর্য বর্ধনে চারপাশ পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করে ফলজ গাছের বাগান করা হয়েছে।’
সার্বিক বিষয়ে উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘আমাদের শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে ফিরতে মুখিয়ে আছে। তাই সোমবার থেকে আমরা ক্যাম্পাস ও আবাসিক হল খুলে দিচ্ছি। এতে দীর্ঘদিন পর আবারো মুখরিত হবে আমাদের ক্যাম্পাস, ফিরবে শিক্ষার্থীদের প্রাণচাঞ্চল্যতা। ইতোমধ্যে আমরা শিক্ষার্থীদের এক ডোজ টিকা নিশ্চিতের ব্যবস্থা করেছি। তবুও কোনো শিক্ষার্থী বাদ পড়লে তাদের দ্রুত টিকা দেওয়া হবে। আমরা যেকোনো মূল্যে সব শিক্ষার্থীদের টিকার আওতায় নিয়ে আসতে চাই। এছাড়া টিকা দেওয়া এবং বৈধতা ছাড়া কোনো শিক্ষার্থী হলে থাকতে পারবেন না বলেও জানান তিনি।
উপাচার্য আরও বলেন, আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের যেসব শিক্ষার্থীর জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) নেই তাদের জন্য ক্যাম্পাস খুললে এক সপ্তাহের মধ্যে পরিচয়পত্র নিবন্ধনের ব্যবস্থা করা হবে। এজন্য নির্বাচন কমিশন, সিলেট সিটি করপোরেশনসহ সংশ্লিষ্ট সবার সাথে আলোচনা হয়েছে। তারাও ভালোভাবে সাড়া দিয়েছে। তবে সব শিক্ষার্থীকে অবশ্যই স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে।
প্রথমদিন ২৫ অক্টোবর স্নাতকোত্তর, ২৬ অক্টোবর স্নাতক চতুর্থ বর্ষ, ২৭ অক্টোবর ৩য় বর্ষ এবং ২৮ অক্টোবর ২য় বর্ষের শিক্ষার্থীরা হলে উঠতে পারবেন।
এইচএন/বিএ-০৬