হত্যার দায় স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি সাদির

নিজস্ব প্রতিবেদক


অক্টোবর ২৯, ২০২১
০১:৫০ পূর্বাহ্ন


আপডেট : অক্টোবর ২৯, ২০২১
০২:০১ পূর্বাহ্ন



হত্যার দায় স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি সাদির

সিলেটের দক্ষিণ সুরমা সরকারি কলেজের শিক্ষার্থী আরিফুল ইসলাম রাহাত হত্যার দায় স্বীকার করে মামলার প্রধান আসামি সামসুদ্দোহা সাদি আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন। আজ বৃহস্পতিবার (২৮ অক্টোবর) বিকেলে তিনি এ জবানবন্দি দেন।

এদিকে বৃহস্পতিবার সকালে সাদির দেখানো স্থান থেকে হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত চাকু উদ্ধার করেছে সিআইডি সিলেট।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টায় সিলেট মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (এমএম-২) বিচারক মো. সুমন ভূইয়ার আদালতে তাকে তোলা হয়। এ সময় সাদি ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন। পরে তাকে জেলা হাজতে প্রেরণ করা হয়।

সিআইডি সিলেট জোনের উপপুলিশ পরিদর্শক ও এ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা রিপন কুমার দে সিলেট মিররকে বিষয়টি নিশ্চিত করে সিলেট মিররকে বলেন, ‘সাদি হত্যার সঙ্গে জড়িত থাকার দায় স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন। সিনিয়র-জুনিয়র দ্বন্ধের জেরে ছুরিকাঘাত করে তিনি রাহাতকে হত্যা করেছেন বলে আদালতকে বলেছেন। এছাড়া ঘটনার বিস্তারিত বিষয়ও তিনি আদালতকে বলছেন।’  

এর আগে বৃহস্পতিবার সকালে সিআইডি সিলেট মহানগর ও জেলার বিশেষ পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে এ মামলার বিষয়ে সংবাদ সম্মেলন করে সিআইডি। সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, গত বুধবার রাতে গ্রেপ্তার সাদিকে ঢাকা থেকে সিলেটে নিয়ে আসা হয়। পরে বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ছয়টার দিকে সাদিকে নিয়ে অভিযান চালিয়ে তার দেখানো স্থান দক্ষিণ সুরমা থানাধীন সিলাম হাজীপুরের একটি ডোবা থেকে হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত চাকু উদ্ধার করে সিআইডি।

এজহারনামীয় আসামিরা ছাড়া আর কেউ এ ঘটনায় জড়িত আছেন কি না এমন প্রশ্নে সিলেট জেলা ও মহানগর সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার সুজ্ঞান চাকমা বলেন, ‘প্রাথমিক ভাবে সাদি আমাদের জানিয়েছে তারা তিনজন (এজহারনামী ৩ আসামি) এ ঘটনায় জড়িত। রাহাতকে ছুরিকাঘাতের পর আরেক আসামি তানভীর ও সে মোটরসাইকেলে করে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে।’

তিনি আরও বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে জেনেছি, ভয় দেখানোর উদ্দেশ্যে রাহাতকে ছুরিকাঘাত করে সে। ঘটনার পর একটি দোকানে বসে চা খাওয়ার সময় এক সাংবাদিকের ফোনের মাধ্যমে সে জানতে পারে রাহাত মারা গেছে।’ ঘটনার সঙ্গে জড়িত বাকি দুইজনকে গ্রেপ্তারে চেষ্টা চলছে বলেও জানান তিনি।

সিআইডি সূত্রে জানা গেছে, রাহাত মারা গেছে বিষয়টি জানার পর সাদি তার বিকাশে থাকা ১ হাজার টাকা তুলে আল-বারাকা বাসে করে ঢাকার মিরপুরে চলে যান। সেখানে তার নানার বাড়িতে আত্মগোপন করেন তিনি। পরদিন কুষ্টিয়ায় এক আত্মীয়ের বাড়িতে চলে যান তিনি।

সংবাদ সম্মেলনে সুজ্ঞান চাকমা বলেন, ‘গ্রেপ্তার সাদির ভারতে পালিয়ে যাওয়ার কোনো পরিকল্পনা ছিল না। সে নিজেও বিষয়টি আমাদেরকে জানিয়েছে। কুষ্টিয়ায় এক আত্মীয়ের বাড়িতে সে আত্মগোপন করে।’

এমন চাঞ্চল্যকর ঘটনার এজহারনামীয় প্রধান আসামিকে দ্রুত সময়ের মধ্যে গ্রেপ্তার সিআইডি তথা পুলিশের উল্লেখযোগ্য অর্জন বলেও জানান তিনি। 

এনএইচ/আরসি-১৫