কপ২৬ জলবায়ু সম্মেলন শুরু

সিলেট মিরর ডেস্ক


নভেম্বর ০১, ২০২১
০১:১৩ অপরাহ্ন


আপডেট : নভেম্বর ০১, ২০২১
০১:১৩ অপরাহ্ন



কপ২৬ জলবায়ু সম্মেলন শুরু

স্কটল্যান্ডের গ্লাসগোতে বিশ্ব জলবায়ু সম্মেলন কপ২৬ শুরু হয়েছে। রবিবার (৩১ অক্টোবর) এ সম্মেলনে প্রায় ২০০টি দেশের প্রতিনিধিরা ২০৩০ সালের মধ্যে কীভাবে কার্বন নিঃসরণ কমাবেন ও পৃথিবী নামক গ্রহকে সাহায্য করবেন, তার ঘোষণা দেবেন।

মানুষের জীবাশ্ম জ্বালানি ব্যবহারের কারণে নির্গত গ্রিন হাউস গ্যাসে বিশ্ব ক্রমশ উষ্ণ হয়ে উঠছে, সে কারণেই বিজ্ঞানীরা জলবায়ু সংক্রান্ত ভয়াবহ বিপর্যয়কর পরিস্থিতি এড়াতে দ্রুত পদক্ষেপ চাইছেন। না হলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যেতে পারে বলে সতর্কও করেছেন তারা।

সম্মেলনের শুরুতে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেছেন, ২০৩০ সালের মধ্যে কার্বন নিঃসরণ অর্ধেকে কমিয়ে আনতে আমাদের এখনই পদক্ষেপ নিতে হবে। এ ক্ষেত্রে গড়িমসি করতে আমাদের সামনে কোনো জোরালো অজুহাত নেই। জলবায়ু পরিবর্তনের বিপর্যয় আমরা সরাসরি দেখতে পাচ্ছি। তাপপ্রবাহ, অনাবৃষ্টি থেকে শুরু করে দাবানল ও হারিকেন আমাদের ওপর আঘাত হানছে।

তিনি বলেন, যদি গ্লাসগো সম্মেলন ব্যর্থ হয়, তবে সবকিছু বিফলে যাবে।

দুসপ্তাহের এই সম্মেলনের প্রাক্কালে নেতাদেরকে তা সফল করার তাগিদ দিয়ে জনসন বলেছেন, আমরা এ মুহূর্তকে কাজে লাগাতে পারব নাকি ফসকে যেতে দেব, প্রত্যেকেই সে প্রশ্ন করছে।

বিশ্ব এক কঠিন সময়ে দাঁড়িয়ে। যেখানে জলবায়ু পরিবর্তন কুঁড়ে কুঁড়ে খাচ্ছে এই সুন্দর পৃথিবীকে। কপ-টুয়েন্টি-সিক্স সম্মেলনই এখন পৃথিবীকে রক্ষার একমাত্র আশা।

এ সম্মেলনের মাধ্যমে প্যারিস চুক্তির কার্যকারিতা নিয়ে আলোচনার পাশাপাশি কার্বন নিঃসরণ কমানোর লক্ষ্যে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তে আসতে পারেন বিশ্বনেতারা। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেছেন, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে কঠিন বাস্তবতার মুখোমুখি হতে হচ্ছে।

বিশ্লেষকরাও তুলে ধরেছেন, এখনই সচেতন না হলে, আগামীতে কতটা কঠিন সময় অপেক্ষা করছে।

জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বিশ্বজুড়ে এখন বন্যা, খরা ও দাবানলের মতো একের পর এক বিপর্যয় দেখা দিচ্ছে। বৈশ্বিক এ পরিবর্তনকে নিয়ন্ত্রণে আনা না-গেলে পরিণতি হতে পারে আরও ভয়াবহ। পৃথিবীকে বাঁচাতে তাই পদক্ষেপ নিতে হবে এখনই। সে লক্ষ্যেই স্কটল্যান্ডে আয়োজিত বিশ্ব জলবায়ু সম্মেলন কপ-টুয়েন্টি-সিক্সে এক হয়েছেন বিশ্বনেতারা।

এর আগে ২০১৫ সালে প্যারিস চুক্তির যে লক্ষ্যমাত্রা ছিল তা অর্জনে ব্যর্থ হয়েছেন বিশ্বনেতারা। এবারের কপ-২৬ সম্মেলনে ২০৩০ সালের মধ্যে কার্বন নিঃসরণ কমানোর বিষয়ে নিজেদের পরিকল্পনা জানাবেন তারা। তবে সম্মেলন শুরুর আগেই অস্ট্রেলিয়া ২০৫০ সালের মধ্যে কার্বন নিঃসরণ শূন্যের কোঠায় নিয়ে আসার ঘোষণা দিয়েছে।

এদিকে, কার্বন নিঃসরণ নিয়ে সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছে দরিদ্র দেশগুলো। ধনী দেশগুলোর তুলনায় কম কার্বন নিঃসরণ করেও দরিদ্র দেশগুলোকেই ভুগতে হচ্ছে সবচেয়ে বেশি।

অন্যদিকে ২০০৯ সালে উন্নত দেশগুলো স্বল্পোন্নত দেশগুলোর চাহিদা পূরণে বছরে ১০০ বিলিয়ন ডলার দেওয়ার যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল, তা পূরণে ব্যর্থ হয়েছে তারা। এ বিষয়টি সম্মেলনে গুরুত্ব পাবে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।

এছাড়াও সম্মেলনের জন্য যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন যে ৪টি বিষয়কে গুরুত্ব দিচ্ছেন, তার মধ্যে ১০০ বিলিয়ন ডলারের তহবিল গঠনে চুক্তিও আছে বলে জানিয়ছে বিবিসি।

আরসি-১৭