বড়লেখায় আদালতের নির্দেশে কবর থেকে তোলা হলো নারীর লাশ

বড়লেখা প্রতিনিধি


নভেম্বর ০৯, ২০২১
১০:৩৪ অপরাহ্ন


আপডেট : নভেম্বর ১০, ২০২১
১২:৩৩ পূর্বাহ্ন



বড়লেখায় আদালতের নির্দেশে কবর থেকে তোলা হলো নারীর লাশ

মৌলভীবাজারের বড়লেখায় দাফনের প্রায় ৯ মাস পর আদালতের নির্দেশে হাজেরা বেগম (৮৫) নামে এক নারীর লাশ কবর থেকে উত্তোলন করেছে পুলিশ। 

সোমবার (০৮ নভেম্বর) বিকেলে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রফিকুল ইসলামের উপস্থিতিতে ওই নারীর লাশ কবর থেকে তোলা হয়। পরে লাশ ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠায় পুলিশ। হাজেরা বেগম উপজেলার সুজানগর ইউনিয়নের বড়থল গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন।  এদিকে হাজেরা হত্যা মামলার আসামি জয়নাল হোসেন ও সুমি বেগমকে ৩ দিনের রিমান্ডে শেষে সোমবার বিকেলে কারাগারে পাঠিয়েছে পুলিশ। 

জানা গেছে, চলতি বছরের ২২ জানুয়ারী বৃদ্ধা হাজেরা বেগমকে চেতনানাশক ওষুধ খাইয়ে অচেতন করে গৃহকর্মী ভিংরাজ বিবি ওরফে বেঙ্গাই বানু ওরফে বেঙ্গি ঘরের বিভিন্ন আলমারিতে থাকা নগদ টাকা ও স্বর্ণালঙ্কারসহ প্রায় ৮ লাখ টাকার মালামাল নিয়ে পালিয়ে যায়। প্রায় ১ মাস সিলেটের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় গত ২০ ফেব্রুয়ারি বৃদ্ধা হাজেরা বেগম মারা যান। পরে ময়না তদন্ত ছাড়াই তার লাশ দাফন করা হয়। এদিকে নিহত হাজেরা বেগমের ছেলে সেলিম আহমদের করা হত্যা মামলায় পুলিশ পলাতক গৃহকর্মী হবিগঞ্জ জেলার লাখাই উপজেলার মৃত আব্দুল হামিদের স্ত্রী ভিংরাজ বিবি ওরফে বেঙ্গাই বানু ওরফে বেঙ্গি, তার ছেলে জয়নাল হোসেন ও বড়লেখা উপজেলার বড়থল গ্রামের ছৈয়ব আলীর মেয়ে সুমি বেগমকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠায়।

সম্প্রতি হত্যা মামলার তদন্তের স্বার্থে হাজেরার বেগমের লাশ কবর থেকে উত্তোলনের জন্য আদালতে আবেদন করেন তদন্তকারী কর্মকর্তা সুব্রত কুমার দাস। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত কবর থেকে লাশ উত্তোলনের নির্দেশ দেন। এরপর গতকাল সোমবার জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রফিকুল ইসলামের উপস্থিতিতে ওই নারীর লাশ কবর থেকে উত্তোলন করে মর্গে পাঠায় পুলিশ। 

বড়লেখা থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) রতন দেবনাথ মঙ্গলবার বিকেলে বলেন, তদন্তের স্বার্থে আদালতের নির্দেশে একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে নিহত হাজেরা বেগমের লাশ কবর থেকে উত্তোলন করে মর্গে পাঠানো হয়েছে। এই মামলার দুই আসামীর ৩ দিনের রিমান্ড শেষে সোমবার বিকেলে আদালতে পাঠানো হয়। তার মধ্যে  আসামী সুমি বেগম আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দি দিয়েছেন। জবানবন্দি শেষে বিজ্ঞ আদালত তাদেরকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

 এ জে/বি এন-১৩