দোয়ারাবাজারে দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্কদের মধ্যে সংঘর্ষ, আহত ৪০

দোয়ারাবাজার প্রতিনিধি


নভেম্বর ১৩, ২০২১
০৯:৫৬ অপরাহ্ন


আপডেট : নভেম্বর ১৩, ২০২১
০৯:৫৬ অপরাহ্ন



দোয়ারাবাজারে দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্কদের মধ্যে সংঘর্ষ, আহত ৪০

সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজারে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দুুই চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ সংঘর্ষের ঘটনায় অন্তত ৪০ জন আহত হয়েছেন।পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ ৫৫ রাউন্ড (রাবার) বুলেট ও ৩টি টিয়ারসেল নিক্ষেপ করে।

আজ শনিবার (১৩ নভেম্বর) উপজেলার নরসিংপুর ইউনিয়নে পরাজিত দুই স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী, উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক সামছুল হক নমু ও আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী চেয়ারম্যান প্রার্থী নুরুল আমিনের সমর্থকদের মধ্যে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। 

স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, শুক্রবার দিবাগত রাতে পরাজিত চেয়ারম্যান প্রার্থী সামছুল হক নমু ভোটারদের নিয়ে বিরূপ মন্তব্য করলে নুরুল আমিন এর সমর্থকরা এতে ক্ষিপ্ত হন। এর জেরে সানিয়া, প্রতাবের গাঁওসহ আশপাশের গ্রামের ভোটার ও সমর্থক এবং সামছুল হক নমুর বালিউরা, চাটুরপাড়, ফুলকারগাঁওসহ কয়েক গ্রামের দুই পক্ষের ভোটার সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ বাঁধে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।   

স্থানীয় ইউপি সদস্য আবদুল হান্নান মিয়া জানান, পরাজিত চেয়ারম্যান প্রার্থী সামছুল হক নমু ভোটারদের নিয়ে বিরূপ মন্তব্য করায় নুরুল আমিনের এক সমর্থক গ্রামবাসীকে জানান। ওই দিন দিবাগত রাতে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে  সামছুল হক নমুর আত্মীয় ও  নবনির্বাচিত ইউপি সদস্য আবদুল হেকিম এলাকাবাসীর কাছে ছুটে যান। এ সময় নুরুল আমিনের সমর্থকরা উত্তেজিত হয়ে পড়লে দুই পক্ষের কয়েক গ্রামের লোকজনের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। পরে সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়লে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

জানতে চাইলে দোয়ারাবাজার থানার ওসি দেবদুলাল ধর বলেন, কয়েক গ্রামের লোকজন একত্রিত হয়ে সংঘর্ষে লিপ্ত হওয়া খবর পেয়ে পুলিশ দ্রুত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসে। বর্তমানে এলাকায় পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। আহতদের চিকিৎসার জন্য সিলেটসহ বিভিন্ন হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।

এইচএইচ/আরসি-১১