সুনামগঞ্জের দোয়ারায় মুক্তিযোদ্ধাসহ ‘একঘরে’ সাত পরিবার

দোয়ারাবাজার প্রতিনিধি


নভেম্বর ১৬, ২০২১
০৯:৫০ অপরাহ্ন


আপডেট : নভেম্বর ১৬, ২০২১
০৯:৫১ অপরাহ্ন



সুনামগঞ্জের দোয়ারায় মুক্তিযোদ্ধাসহ ‘একঘরে’ সাত পরিবার

সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজারে নৌকায় ভোট দেওয়ায় ৭ পরিবারকে একঘরে করে রাখা হয়েছে। এ নিয়ে এলাকাজুড়ে তোলপাড় শুরু হয়েছে।

সদ্য সমাপ্ত দোহালিয়া ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থীর নৌকা প্রতীকে ভোট দেওয়ায় আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী চেয়ারম্যান প্রার্থী ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি নুর মিয়ার নির্দেশনায় এক মুক্তিযোদ্ধা পরিবারসহ ৭ পরিবারকে গ্রাম-পঞ্চায়েতবাসী একঘরে করে রেখেছে।

গত শনিবার দিবাগত রাতে দোহালিয়া ইউনিয়নের রাজনপুর গ্রামের খোকন মিয়ার বাড়িতে প্রবাসী ছমির উদ্দিনের আয়োজনে এক বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

রাজনপুর গ্রামের আনোয়ার হোসেন মিষ্টার বলেন, গ্রামের প্রার্থীকে ভোট না দেওয়ায় গ্রামবাসী যে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন এ জন্য আমরা লজ্জাবোধ করছি। আমাদের সঙ্গে সকলের কথাবার্তা বন্ধ করে দেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। আমরা হতাশ। এ বিষয়ে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।

বৈঠক উপস্থিত থাকা রাজনপুর গ্রামের গিয়াস উদ্দিন বলেন, গ্রাম-পঞ্চায়েতবাসীর সিদ্ধান্ত ঠিক আছে। 

তবে একঘরে করে রাখার কথা অস্বীকার করেছেন প্রবাসী ছমির উদ্দিন। তিনি বলেন, একঘরে করে রাখার বিষয়টি সঠিক নয়। তাদের সঙ্গে কেউ যাতে ঝগড়াঝাটি না করে এ জন্য বৈঠক করে সবাইকে সতর্ক করেছি।

একঘরে করে রাখা পরিবারের লোকজন হচ্ছেন, রাজনপুর (আংগাঙ) গ্রামের গিয়াস উদ্দিনের ছেলে সফিক মিয়া (৩৫), মৃত হেলাল আহমদের ছেলে জুবের হেলাল (৪০) (প্রতিবন্ধি), কুতুব উদ্দিনের ছেলে হাবিবুর রহমান (৩৫), বীরমুক্তিযোদ্ধা ইসন্দর আলীর ছেলে লুৎফর রহমান (২৮), আয়াজ আলীর ছেলে আকরামুল হক সোহেল, আরশ আলীর ছেলে আনোয়ার হোসেন মিষ্টার (৪৫), চানমিয়ার  ছেলে আলীরাজ সানীয়া (২৫)। 

একঘরে করে রাখা পরিবারের লোকজন বলছেন, নির্বাচনে একই গ্রামের চেয়ারম্যান প্রার্থীকে ভোট না দিয়ে নৌকায় ভোট দেওয়ায় তাদেরকে একঘরে করে রাখা হয়েছে। তাদের সঙ্গে কেউ কথা বললে ৫শ টাকা জরিমানা ডেকেছেন গ্রামপঞ্চায়েতের মোড়লরা। 

এ বিষয়ে জানতে চাইলে পরাজিত চেয়ারম্যান প্রার্থী নুর মিয়ার মুঠোফোনে বার বার কল দিলেও তিনি রিসিভ করেননি

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দেবাংশু কুমার সিংহ বলেন, এমন ঘটনা শুনার পরই তাদের ডেকেছি। বিষয়টি খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এইচএইচ/আরসি-১৫